• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আতীক উল্লাহর খোঁজ মেলেনি ১২ দিনেও

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আতীক উল্লাহর খোঁজ মেলেনি ১২ দিনেও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৯

১২ দিনেও সন্ধান মেলেনি রাজধানীর আদাবরের মাদরাসাতুল কুরআনউল কারিমের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মওলানা মো. আতীক উল্লাহ মিনারের (৪২)। পুলিশ বলছে, তার সন্ধানে ডিবি ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। এ বিষয়ে আদাবর থানার ওসি কাউসার আহমেদ জানান, আতীক উল্লাহ নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আতীক উল্লাহর সন্ধান চলছে। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, জিডির পর থেকে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। তবে কোনো প্রকার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মওলানা আতীক উল্লার বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তার বিরুদ্ধে আমাদের থানায় কোনো অভিযোগ নেই। আতীক উল্লাহর বড় ভাই পানছড়ির মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ রিপন  জানান, গত ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী থেকে বাড্ডায় যাচ্ছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন রাজধানীর আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

রিপন আরো জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মওলানা আতীক উল্লাহর ব্যবহূত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তবে তার ফেসবুক আইডি মাঝেমধ্যে অ্যাকটিভ দেখা যায়। গত ৬ অক্টেবর আতীক উল্লাহর ফেসবুক আইডি অ্যাকটিভ দেখে আমি এবং আমার ছোট ভাই ইনবক্সে নক করেছিলাম। মেসেঞ্জারে কলও দিয়েছি। সে কোথায় জানতে চেয়ে মেসেজ পাঠানোর পর আমাকে এবং আমার ছোট ভাই প্রকৌশলী এমদাদ উল্লাহকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

রিপন জানান, তার ছোট ভাই আতীক উল্লাহ একজন শিক্ষক। তা ছাড়া তিনি একজন লেখক। তার অন্তত ২১টি বিভিন্ন গ্রন্থ, ধর্মীয় গ্রন্থ এবং অনুবাদ গ্রন্থ রয়েছে। তিনি জামেয়া পটিয়া থেকে দাওরা হদিস পাস করে আরবি সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন। পরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর মাদরাসাতুল মদিনায় আরবি সাহিত্যে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তার কোনো শত্রু নেই এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই।

মওলানা আতীক উল্লাহ ৩ ভাই ৩ বোনের মধ্যে চতুর্থ। তার বড় ভাই এবং দুই বোনও শিক্ষকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। ছোট ভাইও একজন প্রকৌশলী হিসেবে সরকারের একটি বিভাগে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা সদরে। রিপন জানিয়েছেন, তিনি ও তার পরিবার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads