• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
২০১৯ সালে কর্মস্থলে নিহত ৯৪৫ শ্রমিক

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

২০১৯ সালে কর্মস্থলে নিহত ৯৪৫ শ্রমিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২০

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০১৯ সালে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৯৪৫ জন শ্রমিক নিহত ও ২৬৬ জন আহত হয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে ২৬৯ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৬৭৬ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯ শীর্ষক এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর এবং ওশির উদ্যোগে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়। ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারপারসন এস এম মোরশেদ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, গত বছর পরিবহন খাতে ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। নির্মাণ খাতে ১৫৬ জন, পোশাকশিল্পে ৪০ জন, ৯৮ জন কৃষিশ্রমিক এবং ৪৯ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জাহাজভাঙা শিল্পে কর্মরত অবস্থায় ২৩ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। বাকিরা  বিবিধ সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে নিহত হন।

হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, বয়লার ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহশ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন এবং ধাতব আঘাতের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৮) ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর আলোকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো, বয়লার পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বয়লার পরিদর্শন দপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা, কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করার সুপারিশ করে ওশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads