• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রামে এস্কেলেটর ওভারপাস

ফাইল ছবি

জাতীয়

চট্টগ্রামে এস্কেলেটর ওভারপাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২০

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে করে অনেককেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব; আবার অনেকের ঘটছে জীবন অবসান। পথচারীদের রাস্তা পারাপারে নিরাপত্তার জন্য চট্টগ্রাম নগরে প্রথমবারের মতো বসছে এস্কেলেটর ওভারপাস। নগরীর জাকির হোসেন রোডের চট্টগ্রাম ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের সম্মুখে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আধুনিক এ ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ মাসেই ফুটওভার ব্রিজটি চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।

নগরীর জাকির হোসেন রোডের ওয়ার্লেস ও ডায়াবেটিস হাসপাতালের মাঝামাঝি স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক এস্কেলেটর ওভারপাস। এর নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এটি চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সাধারণ পথচারীদের সড়ক পারাপারে ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক ওভারপাস মানুষ ব্যবহার করলেও কিছুতে অনীহা রয়েছে। তবে অত্যাধুনিক এস্কেলেটর ওভারপাস চট্টগ্রামে এটিই প্রথম। যা নিয়ে পথচারীদের আগ্রহের শেষ নেই। এ ছাড়া হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য এ ওভারপাস অনেক উপকারে আসবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দীন বলেন, ওভারপাস এখানে খুব জরুরি ছিল। দীর্ঘদিন এখানে ওভারপাস করার জন্য সাধারণ মানুষের দাবি ছিল। ব্যস্ততম এ সড়কে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতো এত দিন। এখন আধুনিক এ ওভারপাস নির্মাণ হওয়াতে পথচারীরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারবে। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওয়ার্লেস মোড় বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কগুলোর মতোই। এ সড়কে অনেক যানবাহন চলাচল করে। এতে করে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় নানা ভয় নিয়ে পার হতে হয়। রোগী থাকলে তো আরো সমস্যা। এ ফুটওভারব্রিজ চালু হলে এ এলাকার সাধারণ মানুষ ও চলাচলরত মানুষ নির্ভয়ে রাস্তা পারুাপার হতে পারবে।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ ফুটওভারব্রিজের কার্যদিবস হস্তান্তর করা হয়। এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সিটি করপোরেশনকে প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দ দেওয়ার পর আটলান্টিক মেরিন ও ডিসিএল (জেবি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণের দায়িত্ব পান। বিদ্যুৎ লাইন সরানোর কাজ শেষ করতে প্রায় ৬ মাস অতিক্রম করতে হয়। তাই এ কাজটি অতিদ্রুত শেষ করা যায়নি। এ মাসেই ফুটওভার ব্রিজটি চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads