• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
গাইবান্ধায় হেঁটেই পারি দেওয়া যাচ্ছে হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

নাব্যতা সংকটে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ১০৫টি নৌ রুট বন্ধ

গাইবান্ধায় হেঁটেই পারি দেওয়া যাচ্ছে হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নাব্যতা সংকটে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের ১০৫টি আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটসহ বন্ধ হয়েছে বালাসী-বাহাদুরাবাদ রেলওয়ে ফেরিপথ।

নদীতে নৌ চলাচলে পানি না থাকায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের ২১০টি পয়েন্ট বন্ধ হওয়ায় চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন প্রয়োজনের তাগিদে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার বালুর চর পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে থৈ-থৈ পানিতে যে ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকার মানুষের কাছে ভাঙ্গন আর ভাসিয়ে দেওয়ার আতঙ্ক  এখন প্রমত্তা নদের বুকে কেবল দিগন্ত জোড়া ধু-ধূ বালুচর। দীর্ঘদিন ডেজিং না হওয়ায় এবং উজান থেকে পানি প্রবাহ না থাকায় প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ সরু খালের রূপ নিয়েছে।  বাজার-ঘাট, পড়া-লেখাসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে গাইবান্ধাসহ আশ-পাশের কয়েক জেলার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন জেলার সাথে বাণিজ্যিকভাবে নৌ চলাচল।

গাইবান্ধা জেলার ১৬৫টি চরের ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচার জন্য পূর্ব-পশ্চিমপারের মেইন ল্যান্ডর ৬০টি হাট-বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত চরবাসী। আর পড়ালেখার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ছেলে-মেয়েকেও আসতে হয় মেইন ল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এসব এলাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াত সহজ হলেও নভেম্বর থেকে নদীতে পানি না থাকায় পায়ে হেঁটে চলতে হয়। আর সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় রোগীদের নিয়ে। সরকারি নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ অঞ্চলের চারটি নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটের কবলে পড়েছে। নদ-নদীগুলোতে অসংখ্য জেগে ওঠা ডুবোচর থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নাব্যতার কারণে বালাসীঘাট ও তিস্তামুখ খেয়াঘাট সংলগ্ন চ্যানেলটিও পলিমাটিতে ভরাট হওয়ায় বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় যোগ হয়েছে মারাত্মক দুর্ভোগ।

চলতি মৌসুমে অনেকটা আগেই অর্থাৎ গত অক্টোবর মাস থেকেই বালাসী-বাহাদুরাবাদ রেলওয়ে ফেরিপথ বন্ধ হয়েছে নাব্যতা সংকটে। ব্রহ্মপুত্র নদের কয়েকটি পয়েন্টে-এ বছর যদি ড্রেজিং করা হয় তাহলে সারা বছর ফেরি চলাচল সম্ভব বলে জানান বালাসী ফেরীঘাট রেলওয়ের মেরিন সুপারেনডেন্ট মশিউর রহমান। তিনি আরো বলেন, রেলওয়ে ফেরি চালু থাকলে জনগণ একদিকে যেমন উপকৃত হবে অন্যদিকে সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads