• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
আজ গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক

সংগ‍ৃহীত ছবি

জাতীয়

আজ গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ এপ্রিল ২০২০

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’র মধ্যে গত ৩০ মার্চ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত না হলেও আজ সোমবার বৈঠকটি হবে। সাধারণত রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অথবা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আজকের বৈঠকটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হবে। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব (মন্ত্রিসভা বৈঠক অধিশাখা) মনিরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার তিনি জানান, সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে এজেন্ডা খুব কম, এই বৈঠকে খুব বেশি মন্ত্রী অংশ নেবেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই বৈঠকে মন্ত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার সকাল ১১টায় গণভবনে এই বৈঠক শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ২৩ মার্চ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ২২-২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করায় সেদিন মন্ত্রিসভার কর্মসূচিতে বৈঠকটি ছিল না। তবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ওই বৈঠকের দুদিন আগে সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হয় এবং ২৩ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকটিও আর হয়নি। এরপর সরকার ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব অফিস-আদালত এবং গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়। সরকার ঘোষিত ওই ‘সাধারণ ছুটির’ মধ্যে গত ৩০ মার্চও মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়নি। জানা গেছে, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে এ দুর্যোগ থেকে রক্ষায় করণীয়ই মূল আলোচনার বিষয় হবে। আর মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য যেসব মন্ত্রণালয়ের আলোচ্যসূচি চূড়ান্ত হয়েছে সেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। মূলত করোনার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকলেও মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে যে কোনো সময় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক আহ্বান করতে পারেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে রক্ষা করাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এছাড়া গতকাল রোববার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  করোনা ভাইরাসের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ তহবিল ঘোষণা করেছেন। এছাড়া করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ৯ শতাংশ সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। এর মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিক ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভর্তুকি এবং সরকার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি ইতোপূর্বে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপদকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলাম। এই প্রণোদনাসহ মোট আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনের  মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন তিনি। ব্যতিক্রমী এ সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে। তবে এতে কোনো গণমাধ্যমকর্মী এবং কোনো আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads