করোনায় আক্রান্ত রোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে তারাই ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাদের থাকা ও কোয়োরেন্টাইনের জন্য অভিজাত হোটেলের ব্যবস্থা করছে সরকার।
এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি হোটেলের নাম প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পাঁচতারকা হোটেলসহ ১৯টি আবাসিক হোটেলের ৫৮০টি কক্ষ বরাদ্দে চুক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিঠিতে মিরপুরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে গ্রান্ড প্রিন্স, হোটেল শ্যামলী, হোটেল ড্রিমল্যান্ডে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঠিক করা হয়েছে উত্তরার হোটেল মেফোলিফ, হোটেল মিলিনা।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ, ঢাকা রিজেন্সি, রেডিসন ব্লু, সোনারগাঁ, লেকভিউ, লো মেরিডিয়ান হোটেলে থাকবেন।
হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁ, ফারস হোটেল ও হোটেল-৭১ এ থাকবেন পুরান ঢাকার মহানগর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যদের জন্য হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সার্কেল ইন এবং হোটেল শালিমারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন ও খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। হাসপাতালে কাজ শেষে তাদের আপাতত আবাসনের প্রয়োজনে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।