কক্সবাজার শহরে ব্যক্তি উদ্যোগে খুলছে দোকানপাট। শহরের হকার মার্কেটের খোলা দোকানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাদের মতে, আর কিছুদিন সরকারি নির্দেশনা মেনে লকডাউন কার্যকর থাকলে করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারবো। কিন্তু হঠাৎ করে দোকান খুললে মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলা হবে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হকার মার্কেটের অন্তত ১০টি দোকান খোলা পাওয়া যায়। এসব দোকানে কেনাকাটা করতে ভীড় করেছে কয়েকশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম ভীড় করেছে।
জানতে চাইলে পেশকার পাড়া থেকে আগত নূর জাহান বলেন, দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থেকে ভাল লাগছিল না। প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনলাম মার্কেট খুলেছে তখন একটু দেখতে আসলাম। সঙ্গে বাচ্চাদের জন্য প্রযোজনীয় কিছু কেনার ইচ্ছা আছে।
নুর পাড়া এলাকর আসমা বেগম বলেন,আমিসহ কয়েকজন মিলে দেখতে এসেছি মার্কেট কিভাবে খুলেছে। বাসার কাছেই দোকান তাই একটু দেখতে আসলাম।
এদিকে শুধু হকার মার্কেট নয় সুপার মার্কেট, ফিরোজা মার্কেট, সালাম মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের ভেতরে বেশ কিছু দোকান অল্প করে খোলা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক নেতা হোসাইনুল ইসলাম মাতবর বলেন, দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এখনো বাড়ছে। এ মূহুর্তে কক্সবাজারে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত হবে। কক্সবাজারে এপর্যন্ত ৩৭ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে তাই অবহেলা না করে কঠোরভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, কোনো দোকান বা মার্কেট না খোলার জন্য আমরা নিষেধ করেছি। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে নিষেধ না মেনে দোকান খুলছে সেটা সম্পূর্ণ তাদের দায়দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দেশে এখনো করোনা ঝুকি আছে তাই সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না।