• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রামে আরো ২০৬ জন করোনা শনাক্ত, ১২ থানা রেড জোন

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

চট্টগ্রামে আরো ২০৬ জন করোনা শনাক্ত, ১২ থানা রেড জোন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২০

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর ১২ থানাকে করোনার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আজ দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিআইটিআইডিতে ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৬ জন চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং ২৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৯ জন চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং ৫০ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ল্যাবে ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৭৪ জন চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং ১৩ জন অন্যান্য উপজেলার।সিভিল সার্জন জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টসহ চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৪ জন।

এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রাম জেলার ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে একজনের পজিটিভ শনাক্ত হয়।

এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২টি থানা এলাকাকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট বা রেড জোন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর উপরে শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ এসব থানাকে রেড জোন হিসেবে শনাক্ত করে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষে থাকা কোতোয়ালী থানা এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় শনাক্ত করোনা আক্রান্ত রোগী ৩২৪ জন। এছাড়া পাঁচলাইশে ২১৫, খুলশীতে ১৮৩, পতেঙ্গায় ১৬৮, হালিশহরে ১৬৭, ডবলমুরিংয়ে ১৪১, বন্দরে ১২৩, পাহাড়তলীতে ১১৪, ইপিজেডে ১১২, বন্দরে ১১১, চকবাজারে ১১১, আকবরশাহ এলাকায় ১১০ ও চান্দগাঁওয়ে ১০৬ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় এসব থানাকে রেড জোনে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ১০০ এর ওপরে যেসব থানায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে সেসব থানাকে রেড জোনে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব থানায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ৯০ এর মধ্যে সেসব থানা এলাকা হলুদ জোন, ১ থেকে ১০ জনের মধ্যে থাকা এলাকা নীল জোন এবং আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য থাকা এলাকাকে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads