• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মাস্ক নিশ্চিতে আরো কঠোর হচ্ছে সরকার

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

মাস্ক নিশ্চিতে আরো কঠোর হচ্ছে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০২০

করোনা মহামারীর মধ্যে জনগণকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে জরিমানায় কাজ না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আরো কঠিন সাজা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে। গতকাল সোমবার  সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বার বার বলার পরেও করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে মানুষ মাস্ক পরছেন না। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিষয়টি খুব স্ট্রংলি এসেছে। বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছে, তারা ম্যাসিভলি ফাইন করছেন। সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী কয়েক হাজার লোককে ফাইন করা হয়েছে। আমরা বলেছি, আরো এক সপ্তাহ দেখতে। ফাইনেও যদি কাজ না হয় তাহলে মটিভেশন করো, তারপরে আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।

মাস্ক না পরলে কী ধরনের কঠিন সাজা দেওয়া হতে পারে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ফাইন বাড়িয়ে দিতে পারে। এখন হয়ত এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করা হচ্ছে। সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করে দিল। আমরা এ বিষয়ে আরেকটু কঠোর হতে বলেছি। মাস্ক না পরার কারণে যারা ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে জরিমানা বা সাজার মুখে পড়বেন, তাদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হবে।

যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, তারা সঙ্গে মাস্ক নিয়ে যাবেন, যাতে মানুষকে জরিমানা করার পর সেগুলো দিয়ে দেওয়া যায়। গত রোববার বিভাগীয় কমিশনারের মিটিংয়ে ধর্মসচিব ছিলেন, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিবকেও বলে দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো ম্যাসিভ প্রচারের জন্য। করোনা মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্কপরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অজুহাতে এখনো অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু দিন ধরে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে খুলনা ও চট্টগ্রাম ‘স্ট্রং অ্যাকশনে যাচ্ছে’ জানিয়ে সচিব বলেন, গত রোববার ঢাকার ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবারো বলেছেন, মানুষ যেন মাস্ক ইউজ করে সেজন্য আরো বেশি বেশি করে প্রচার করো, ফোর্স করো, যেভাবেই হোক-এটা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক ইউজ না করলে ভ্যাকসিন বলেন, ওষুধ বলেন, কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে করোনা বেশি ছড়ালেও রাজধানীর বাইরে ততটা ছড়াচ্ছে না। কারণ আমরা তো হাসপাতালের কন্ডিশন দেখছি, হাসপাতালে পেশেন্ট বেড়ে গেছে। তার থেকে মনে হচ্ছে এটা আরেকটু বেড়েছে। অনেক জায়গায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলে সংক্রমণের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না--এমনটা জানানোর পর সচিব বলেন, সব জায়গায় তো পিসিআর মেশিন নেই। মেডিকেল কলেজে ১৫ দিন আগে যেখানে ৩০০ রোগী ছিল, গত রোববার সেখানে ৬০০ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads