• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

ইসলামিয়া কলেজে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীরা চুঁচুড়া সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসেন। সে সময় সাদেকুর রহমান প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে আনোয়ার হোসেন সম্পাদক হন। বগুড়া সম্মেলনেও বঙ্গবন্ধু দলবল নিয়ে উপস্থিত হন; কিন্তু সম্মেলনে যোগদান করেননি। কারণ অল ইন্ডিয়া মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মাহমুদাবাদের রাজা সাহেব ওয়াদা করেছিলেন শিগগির তিনি অ্যাডহক কমিটি করে নির্বাচন দেবেন। তিনি অ্যাডহক কমিটি করলেও তা কাগজপত্রে রয়ে গেল।

এ সময় ইসলামিয়া কলেজে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বঙ্গবন্ধু। অফিসিয়ালি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাদের পরাজিত করেন। ইসলামিয়া কলেজই ছিল বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। পরের বছরও ১৯৪৩ সালের নির্বাচনে আনোয়ার সাহেবের অফিসিয়াল ছাত্রলীগ পরাজিত হয়। তারপর তিন বছর কেউ বঙ্গবন্ধুর মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের ইলেকশন হতো। বঙ্গবন্ধু ছাত্রনেতাদের নিয়ে আলোচনা করে যাদের ঠিক করে দিতেন তারাই নমিনেশন দাখিল করত। কারণ সবাই জানত বঙ্গবন্ধুর মতের বিরুদ্ধে কারো জেতার সম্ভাবনা নেই। এ কাজে কলকাতায় জহিরুদ্দিন সাহায্য করতেন বঙ্গবন্ধুকে। ছাত্রদের ওপর তারও যথেষ্ট প্রভাব ছিল, নিঃস্বার্থ কর্মী বলে সবাই তাকে শ্রদ্ধাও করত। পাশাপাশি চমৎকার ইংরেজি, বাংলা ও উর্দুতে বক্তৃতা করতে পারত। জহির পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তিনি কিছুদিনের জন্য কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় রেডিওতে চাকরি নিয়ে চলে আসায় বঙ্গবন্ধুর খানিকটা সমস্যাও হয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads