• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কাজ শুরু হচ্ছে আগামী জুনে

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২

কাজ শুরু হচ্ছে আগামী জুনে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২১

দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ উৎক্ষেপণের কাজ শুরু করছে সরকার। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের জুন মাসে অর্ডার দেওয়া যাবে। সে হিসাবে দেড় বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে বা প্রথম কোয়ার্টারে আমরা স্যাটেলাইট পাঠাতে পারব।

বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারস আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে স্যাটেলাইট সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তার ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হবে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটটি কেমন হবে। তারপরেই আমরা মাঠে নামব এটি সংগ্রহ করতে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই মহাকাশে পাঠানো হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২। সে হিসাবে ২০২৩ সালে ঘটবে উৎক্ষেপণ। দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ একটি জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। এটি দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের প্রচার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ব্যবহার হচ্ছে। যোগাযোগ ছাড়াও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বা নেভিগেশনের মতো নানা কাজে নানা ধরনের স্যাটেলাইট প্রয়োজন হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কেমন হবে তা নির্ধারণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারসকে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রসঙ্গে বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান আরো বলেন, দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারেও। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি তুলবই। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ মোট ট্রান্সপন্ডার সংখ্যা ৪০। শুরুতে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, এর ২০টি দেশের জন্য রেখে বাকিগুলো বিদেশি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হবে। বিসিএসসিএল বলছে, উৎক্ষেপণের দুই বছরেও কোনো ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা যায়নি। যখন মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়, তখন পৃথিবীতে স্যাটেলাইটের সংখ্যা বেশি ছিল না। স্যাটেলাইট ব্যান্ডইউথ বা ফ্রিকোয়েন্সির দামও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু দেখা গেল এটা উঠতে উঠতে পৃথিবীর অনেক দেশ অনেক স্যাটেলাইট তুলে ফেলেছে। এতে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইডথের দাম অনেক কমে যায়। এ জন্য আমরা আগের পরিকল্পনা মতো বাইরে বিক্রি করতে পারিনি।

তবে আমাদের কাছে অফার আছে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল আমাদের অফার দিয়েছে। কিন্তু দাম অনেক কম। আমরা বলেছি এ দামে আমরা বিক্রি করব না। এ জন্য আমরা বাইরে বিক্রি করিনি। অবশ্য বিদেশে ট্রান্সপন্ডার বিক্রি না হলেও দুই বছরেই নিজের আয়ে চলা শুরু করেছে বিসিএসসিএল। বাৎসরিক আয়ের মাত্র এক শতাংশ লাগে এ কোম্পানি চালাতে। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো নিয়মিত বিল শোধ করলে এ কোম্পানি চালানো কোনো ব্যাপারই না। নিজস্ব টাকাতেই চলতে পারব।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের চিন্তা শুরু হয় ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই। এর নকশা তৈরির পরামর্শক নিয়োগ করা হয় ২০১২ সালে। নকশা প্রস্তুত হওয়ার পর প্রায় ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকায় ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনিয়ার স্পেসের কাছ থেকে কেনা হয় দেশের প্রথম স্যাটেলাইটটি। এর ছয় বছর পর ২০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে যাত্রা করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। ছয় মাস পর স্যাটেলাইটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বুঝে পায় বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads