• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে নগরবাসী

ভারী বৃষ্টিতে ঢাকা ডোবা এটা সবাই জানে। কিন্তু টুইটম্বুর পানির নিচে কোথায় যে ঘাপটি মেরে আছে বিপদের ফাঁদ সেটা জানা থাকে না। ঢাকার রাজপথে রয়েছে এমন হাজারো গর্ত। এর থেকে পরিত্রাণ মিলবে কবে তা কেউ জানে না। ছবি সোমবার মতিঝিল থেকে তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে নগরবাসী

রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি প্রায় দিনভর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৮

রোববার রাত ১টার পর থেকে গতকাল সোমবার সারা দিনই রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কখনো তা ছিল মুষলধারে, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। কাদা-পানিতে ভিজে একাকার হয়েছেন অনেকেই। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে মোট ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে ভোর ৬টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি।

এদিকে বৃষ্টির এমন ভাব আগামীকাল বুধবার পর্যন্তও থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস। বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তীব্র তাপদাহের পর শনিবার থেকেই রাজধানীসহ দেশের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, যা গত রোববার রাত থেকে বাড়ছে। বৃষ্টির এই প্রবণতা বুধবার পর্যন্ত একই থাকবে। অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ।

রাজধানীতে রোববার রাতের পর গতকাল সারা দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে যায়। কোথাও কোথাও তা জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। সংস্কার কাজ চলা রাস্তা ও ফুটপাতগুলো কাদা-পানির কারণে হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা আর মোড়ে মোড়ে যানজটে দুপুর ১টা থেকেই রাজধানীতে দেখা দেয় তীব্র পরিবহন সঙ্কট। বিকালে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গণপরিবহনের জন্য।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১টার পর রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়, থেমে থেমে তা চলে ভোর ৬টা পর্যন্ত। সকালেও আকাশ মেঘলা ছিল; কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে, যা ১টার পর থেকে ঝরে মুষলধারে। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়; তারপর রাত ৮টা পর্যন্ত হয় গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে।

মাঝারি মাত্রার এই ভারী বর্ষণে (৪৩ মিলিমিটার) রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও এলাকায় রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আগারগাঁওয়ের সরকারি অফিসপাড়ার ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো আরো বেহাল হয়ে যায়। খানাখন্দে পানি জমে সেগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তীব্র যানজট দেখা দেয় শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও, কাজীপাড়া থেকে চন্দ্রিমা উদ্যান পর্যন্ত সড়কে। বৃষ্টিতে বঙ্গভবনের দক্ষিণ পাশের সড়ক শুধু যানবাহনই নয়, পথচারী চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বেহাল এই সড়কে বেশ কয়েকটি বাসসহ মোটরযান বিকল হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি করে। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা না গেলেও মতিঝিল-দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তায়ও পানি জমে ছিল। এ এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে যায় পানিতে তলিয়ে থাকা গর্তে পড়ে। বিকাল ৫টা নাগাদ নগরীর অধিকাংশ সড়কের পানি সরে গেলেও সেগুলো ছিল কাদাপানিতে একাকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads