• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কলাপাড়ার নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করছে প্রশাসন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

কলাপাড়ার নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করছে প্রশাসন

প্রস্তুত ১৫৩টি সাইক্লোন শেল্টার

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৯

উপকূলীয় কলাপাড়ার সর্বত্রই চলছে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা। দূর্যোগ মোকাবলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা। রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে বলে কলাপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার জানান।

 সমুদ্র তীরবর্তী কলাপাড়ার বেড়িবাঁধের বাইরের সকল বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমনকি সাগর উত্তার হয়ে ওঠায় শনিবার সকাল থেকে কুয়াকাটা সৈকতে অবস্থানরত সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। 

বঙ্গোপসাগরে সৃস্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপক‚লীয় এলাকার নদ-নদী এবং সাগর উত্তাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। মাঝারি ও ভারি বৃস্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখে যেতে বলেছে। সৈকত সংলগ্ন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এবং জেলে পল্লীর সকলকে বেড়িবাঁধের অভ্যন্তরের নিরাপদ সড়িয়ে নিচ্ছেন নিজ উদ্যোগে। বেলা দুইটা পর্যন্ত কুয়াকাটার বেড়িবাঁধের বাইরের জেলে পল্লীর পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। শেষ বিকালের দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলে পল্লী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। 

সৈকত সংলগ্ন জেলে মো. বেল্লাল জানায়, আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে ছেলে মেয়েদেও নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো। জেলে বজলুর রহমান বলেন, জালপালা গুছিয়েছি। বিকালের দিকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারনে কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির থেকে জীবন এবং সম্পদ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সিপিপি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা তৎপর রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কলাপাড়ার ১৫৩টি সাইক্লোন শেল্টার। এছাড়াও নিরপাদ স্থাপনা গুলো সনাক্ত করে সে সকল নিরাপদ স্থানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছ উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের একটি দল উপজেলার ঝুঁকিপূণ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দিনভর উপজেলার সর্বত্রই মাইকিং করা হচ্ছে। 

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চিড়া, মুড়ি, গুড় সহ শুকনা খাবার মজুদ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মী এবং উদ্ধার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সকল স্বেচ্ছাসেবক দের শর্তক অবস্থানে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads