• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঘূর্ণিঝড় আম্পান: বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০২০

সুপার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মঙ্গলবার শেষ রাত হতে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানাতে পারে। এমন খবরে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে উপকূলী উপজেলাগুলোতে সতর্ক করে চলছে মাইকিং।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলার মানুষ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেরায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জেলা উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম ও রেডক্রিসেন্ট-সিপিপিসহ স্বেচ্চাসেবকরা। মোংলা বন্দর কর্র্তপক্ষও ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের আউটার এ্যংকরেজে অবস্থানরত জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে গত দুইদিন ধরে বাগেরহাটের জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো এবার আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে। জেলা দূর্যোগ ব্যবস্তাপনা কমিটির জরুরী সভা করে এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads