• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আর নেই

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা

সংগৃহীত ছবি

শোক সংবাদ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আর নেই

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২২ নভেম্বর ২০১৮

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা (৭১) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি ডায়াবেটিকসহ বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৭ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন।

ফজিলাতুন্নেসার আত্মীয় (নাতি জামাই) আসাদ রহমান জানান, অসুস্থ হওয়ার আগে ফজিলাতুন্নেসা নড়াইলের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নূর মোহাম্মদের জন্মস্থান মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ করা হয়।

নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর, বর্তমানে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’-বিজিবি) যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরে ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান নূর মোহাম্মদ। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধের সময় শাহাদাতবরণ করেন নূর মোহাম্মদ। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads