• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
শিশু জায়ান চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

শোক সংবাদ

চীর ঘুমে জায়ান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় গত রোববারের ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর লাশ আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বিকেল সোয়া ৫টায় বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার খেলার মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। আগামী শনিবার এই মাঠেই তার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুর আড়াইটার দিকে শেখ সেলিমের বনানীস্থ বাসভবনে যান। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সেখানে যান।

নামাজে জানাজার আগে জায়ান চৌধুরীর নানা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি সেখানে উপস্থিত তার আত্মীয়-স্বজন,আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ‘জায়ানের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। আমরা শুধু তার (জায়ানের) মুখমন্ডল দেখাতে পারলাম।’

জায়ানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘আপনারা আমার নাতির বিদেহী আত্মার শান্তির এবং একই দিনের সিরিজ বোমায় আহত হয়ে কলম্বোতে চিকিৎসাধীন জায়ানের পিতা মশিরুল হক চৌধুরীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’

জায়ানের নামাজে জানাজায় অওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র (ডিএনসিসি) মো.আতিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি, মহাপুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি, ডিএমপি’র কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া ও র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব জানাজায় ইমামতি করেন।

পরে জায়ানকে বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি শিশু জায়ান চৌধুরীর (৮) মরদেহ আজ দুপুরে দেশে পৌঁছে।

শেখ সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফ বাসস’কে বলেন, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ার ক্রাফট (ইউএল ১৮৯) জায়ানের মৃতদেহ নিয়ে আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে। পরে তার মৃতদেহ বনানীর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং জায়ানের নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি এবং শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি বিমান বন্দরে তার মরদেহ গ্রহণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে ইস্টার সানডের ভয়াবহ বোমা হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে জায়ানের পিতা মশিউল হক চৌধুরীও আহত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads