• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

সমাচার

  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৮

শতকোটি সালাম বাদ সমাচার এই যে, কাগজ প্রকাশ অর্থাৎ খবরের কাগজের আত্মপ্রকাশ বহুপ্রজ এ দেশে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সংবাদ তৈরি ও তা ছড়িয়ে দেওয়া এ নিয়ে এ দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সারাক্ষণ ব্যস্ত। বাংলাদেশে সংবাদ তৈরি ও তা ছড়িয়ে পড়ার স্থানগুলো হলো পুকুরঘাট, হাটবাজার, খেয়াঘাট, বাসটার্মিনাল, রেল ও লঞ্চ স্টেশন, বিমানবন্দর প্রভৃতি। খেয়ে কাজ নেই তাই খই ভাজার লোক সব দেশে আছে। আমাদের দেশের এসব লোক স্রেফ আলোড়ন ও চাঞ্চল্য সৃষ্টির জন্য, বলা যায় মজা করতে, কিছু একটা রটিয়ে দেয়। এ রটনাকে গুজব বলা যায়। কানকথা বা গুজব যত দ্রুত ছড়ায়, এ নিয়ে পাশ্চাত্যে অর্থাৎ ইউরোপ-আমেরিকায় গবেষণা হয়েছে। পাশ্চাত্যে যেকোনো কাজেরই অর্থমূল্য আছে। গুজব-গবেষণার ফল প্রস্তুতের আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সেটা কিনে নিতে প্রতিযোগিতা করে। যে আগে প্রকাশ করবে, তার জনগ্রাহ্যতা বাড়বে ধরে নেওয়া হয়। আমাদের দেশে আসল কাজেরই দাম মেলে না, খই ভাজার কী দাম পাওয়া যাবে? পাশ্চাত্যের গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, দু’লাখ লোকের জনপদে একটা গুজব এ-কান ও-কান হয়ে ছড়িয়ে পড়তে এক ঘণ্টা মাত্র সময় লাগে। এটা ফেসবুক, গুগল, ইন্টারনেট প্রভৃতি আবিষ্কারের আগে। আগের দিনে একটা কথা ছিল- ‘বাতাসের আগে’। কথাটা এখন বাস্তব অর্থে সত্য। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবির্ভাবের পর তার ঠোঁট-নড়া এবং হাততালি দেখেই তার কথা ছড়িয়ে যায় বিশ্বময়, বিদ্যুৎবেগে।

কথা ছড়ানোর একটি মাধ্যম হলো খবরের কাগজ। কাগজ সহজলভ্য হওয়ার পর খবর হাতে লিখে প্রচার হতো। অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন লোক ছিল হাতে গোনা। হাতে লেখা এসব কাগজের পাঠক ছিলেন এরাই। মধ্যযুগে (১৪৫৪ সালে জুয়ান গুটেনবার্গ কর্তৃক) প্রিন্টিং প্রেস জার্মানিতে তৈরি হয়। দ্রুত কাগজ তৈরির কৌশলও বের হয়। এ দুটো ঘটনা মধ্যযুগের সামন্তবাদ হটিয়ে পুঁজিবাদ বিকাশের পথ করে সুগম। এ সময় চিন্তার জগতে যেসব মতবাদ দেখা দেয়, সেগুলো ছিল সুদীর্ঘকালের প্রচলিত বিশ্বাসের উল্টো। প্রচলিত ধারণার ভিত্তি ছিল অন্ধবিশ্বাস এবং সাধারণভাবে যা দেখা যায় তা-ই। নতুন মতবাদগুলো এলো খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ থেকে। টেলিস্কোপ ও মাইক্রোস্কোপ দৃশ্যমান জগতের চিত্র দিল একদম পাল্টে। প্রচলিত ধারণাগুলো সংরক্ষণ করত ধর্ম। মধ্যযুগের প্রধান দ্বন্দ্ব ছিল বিজ্ঞানী ও পুরোহিতের মধ্যে। ইউরোপের পুরোহিত একসময় বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ মেনে নিয়ে তার প্রভাবের এলাকা গুঁটিয়ে সীমাবদ্ধ রাখলেন উপাসনালয়ের মধ্যে। তাদের বিশ্বাসের উল্টো কথা প্রচার করায় প্রথম প্রথম তারা বিজ্ঞানীদের পুড়িয়ে হত্যা করলেও পুঁজিবাদ গেড়ে বসার পর বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ও গবেষণালব্ধ ফল প্রচারে বাধা দেননি। তখন থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় ধর্ম ধর্মের জায়গায় আর বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায় আছে। প্রাচ্যের অনুন্নত সমাজে অন্ধবিশ্বাস আজ পর্যন্ত প্রবল। পুরোহিতসহ অন্ধবিশ্বাসীরা বিজ্ঞানের সব সুফল ভোগ করলেও এবং তাদের মতবাদ প্রচারে বিজ্ঞানের কলা ও কৃৎকৌশল ঢালাও ব্যবহার করলেও বিজ্ঞানকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং তার প্রচার ও বিকাশ নিরুৎসাহিত করে।

প্রিন্টিং প্রেস এবং কাগজ পুস্তক ও খবরের কাগজ প্রকাশ ত্বরান্বিত করে। প্রকাশনাশিল্প ও ব্যবসা লেখক-নির্ভর বলে ইউরোপ-আমেরিকায় লেখককে তার লেখার উচিতমূল্য গোড়া থেকেই দেওয়া হতে থাকে। কারণ পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে লেখক হাওয়া খেয়ে বাঁচতে পারেন না। এজন্য সেখানকার লেখক-শিল্পীরা তাদের মেধার যথার্থ মূল্য পান। একজন লেখক ও কবি তার রচনার জন্য পরিচিতি পেয়ে গেলে তিনি তার রচনার মূল্য অগ্রিমও পান। ইউরোপ-আমেরিকার আজকের একজন ভালো লেখক বলতে কোটিপতি। কেউ কেউ অর্ধকোটিপতি। এর বিপরীতে বাংলাদেশে লেখক ধুঁকে ধুঁকে মরেন বা বেঁচে থাকেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশকসহ যাবতীয় প্রকাশকের ধারণা লেখককে তার পারিশ্রমিক দেওয়া অর্থের অপচয় মাত্র; তার লেখা ছেপে যে তাকে পাঠকের কাছে পরিচিতির সুযোগ দিচ্ছেন, এতেই তার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

বাংলাদেশের লেখককুলও সংবাদ প্রকাশক সম্প্রদায়ের এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন না। না করার কারণ হলো বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা। বঙ্গদেশের প্রথম সংবাদপত্রটির নাম ‘সংবাদ প্রভাকর’। সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে এটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার, মাঘ ১৬, বঙ্গাব্দ। প্রকাশক ঈশ্বর গুপ্ত (১৮১২-৫৯)। তিনি প্রকাশক হলেও পত্রিকাটির আর্থিক দিকটা দেখতেন পাথুরিয়া ঘাটার যোগেন্দ্র মোহন ঠাকুর। তার মৃত্যু হলে পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। চার বছর পর ঈশ্বর গুপ্ত পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশ করতে শুরু করেন। এবারো পাথুরিয়া ঘাটার ঠাকুর পরিবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় দফায় ১৮৩৯ সালের ১৪ জুন সংবাদ প্রভাকর দৈনিক পত্রিকারূপে প্রকাশিত হতে থাকে। এর দ্বারা বাংলা প্রকাশনা জগতে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হয়। সংবাদ প্রভাকর হয় বাংলা প্রথম দৈনিক।

প্রথম দৈনিক হওয়ার গৌরবের মধ্যে সংবাদ প্রভাকর আবদ্ধ থাকেনি। ঈশ্বর গুপ্ত বাংলা সাহিত্যচর্চার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হাল আমলে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ঈদুল ফিতর ও বর্ষপঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোয় ম্যাগাজিন আকারের একটি করে সাহিত্যপত্র প্রকাশ করে। প্রতিটি পত্রিকাই এটা করে। ম্যাগাজিন আকারের এই পত্রিকায় সাহিত্য-সংস্কৃতির সকল শাখার লেখা থাকে। দেশের প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, চিত্রকর, ভাস্কর, ক্রীড়াবিদ প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রের ব্যক্তির লেখা এই ম্যাগাজিনে স্থান পায়। দৈনিক পত্রিকার এই ম্যাগাজিন প্রকাশের পথপ্রদর্শকও ঈশ্বর গুপ্ত। তিনি প্রতি মাসে এরূপ একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন। তার দৈনিক ও মাসিকপত্রে লিখতেন বাংলাদেশের প্রথম সারির চিন্তাবিদ ও কবি-সাহিত্যিকরা।

ঈশ্বর গুপ্ত দৈনিক ও সাময়িকপত্রে কী লেখা হবে এবং সমকালীন কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, তারও দিকনির্দেশনা দেন। বহু বিখ্যাত লেখকের মধ্যে তার পত্রিকায় লিখতেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও দীনবন্ধু মিত্র (নীলদর্পণখ্যাত)। ‘সংবাদ প্রভাকর’-এ লেখালেখি হতো নারীশিক্ষা বিস্তার ও (হিন্দু) বিধবা বিবাহের সমর্থনে, কৌলীন্য প্রথার বিরুদ্ধে। জমিদারদের অর্থানুকূল্যে ও পৃষ্ঠপোষকতায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো বলে জমিদারি প্রথা ও ব্রিটিশ শাসনের পক্ষে পত্রিকাটিকে থাকতে হতো। এরই মধ্যে তবু নীলকরদের নীলচাষে কৃষকদের বাধ্য করার অমানবিকতার বিরুদ্ধে পত্রিকাটিতে লেখা প্রকাশিত হতো। উনিশ শতকে বাংলায় যে একটা রেনেসাঁস বা ইউরোপীয় ধরনের পুনর্জাগরণ দেখা দিয়েছিল, ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের কারণে সেটা তার যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাতে পারেনি। সংবাদ প্রভাকর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তাতে একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে।

বাংলা সংবাদপত্র আদি থেকে সমাজ সংস্কার, সমসাময়িক সমস্যা ও তার সমাধান তুলে ধরতে থাকে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন পত্রিকার সংখ্যা বেড়ে চলে, পাশাপাশি সমান তালে চলে সেগুলোর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া। রাজনীতি দৈনিক পত্রিকার মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে ভারতবর্ষের ওপর চেপে বসা ব্রিটিশ সরকার এগুলোর কড়া নজর রাখতে শুরু করে। পত্রিকা প্রকাশ ও তার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার রেগুলেশন জারি করে। গভর্নর জেনারেল ওয়েলেসলির আমলে (১৭৯৯) জারিকৃত রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়, প্রকাশিতব্য পত্রিকায় অবশ্যই থাকতে হবে মুদ্রাকর, প্রকাশক ও সম্পাদকের নাম। এরপর ১৮২৩ সালে গভর্নর জেনারেলের এক অধ্যাদেশ বলে প্রবর্তিত হয় লাইসেন্স-প্রথা। ১৮৬০ সালে পেনাল কোড বা দণ্ডবিধি আইন জারি হয়। এতে মানহানি ও অশ্লীলতার বিষয় যুক্ত হয়। ১৮৭০ সালে যুক্ত হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিষয়। ১৮৬৭ সালে প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস অ্যাক্ট জারি হয়। এ আইনে সংবাদপত্র ও পুস্তকের নিবন্ধীকরণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৭৮ সালে জারি করা ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট সরকারকে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক যাবতীয় কর্মসংক্রান্ত সংবাদ ও লেখা প্রকাশ বন্ধ করতে ক্ষমতা দেয়। ১৮৯৮ সালে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড জারি হয়। এ আইনে যুক্ত করা হয় সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের ধারা। ১৯০৮ সালে পাস হয় নিউজপেপার (ইনসাইটমেন্ট টু অফেন্সেস) অ্যাক্ট। এ আইনের ধারা ম্যাজিস্ট্রেটকে (ইংরেজদের প্রতি) হিংসাত্মক কোনো খবর ছাপা হলে কাগজ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেয়। ১৯১০ সালে জারি হয় প্রেস অ্যাক্ট। ১৯২২ সালে হয় প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস অ্যাক্ট। এ আইনে গোপনীয় সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়।

ব্রিটিশ আমল এবং পরে পাকিস্তান আমলে সংবাদ ও সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল কঠোর। মজার ব্যাপার হলো, ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন লোক ছিল হাতে গোনা। সে সময় মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যয় ছিল খুব বেশি। এজন্য প্রকাশিত পত্রপত্রিকার মুদ্রণ সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৩০০। কেউ একজন পত্রিকা রাখলে তিনি সেটা পড়তেন এবং তাকে ঘিরে বহু শ্রোতা শুনতেন। সেই অবস্থা থেকে বর্তমানে একাধিক পত্রিকার গ্রাহক ও সেগুলোর পাঠক হাজার নয়, লক্ষ গুণ বেড়েছে। বেতার ও টিভিও পত্রিকা পাঠকের সংখ্যা কমাতে পারেনি। পত্রিকা যে বেতার-টিভির চেয়ে অধিক জনপ্রিয়, তার প্রমাণ টিভি ও বেতারের প্রতিদিন প্রকাশিত সংবাদপত্র নিয়ে আলোচনা। বেতার-টিভিতে দিনভর সংবাদ ও নানা উপভোগ্য অনুষ্ঠান দেখা সত্ত্বেও প্রত্যেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে ভোরে পাওয়া কাগজের দিকে। কাগজ পেতে দেরি হলে পাঠক হকারের গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মূল প্রতিপক্ষ সরকার। সংবাদপত্রে সরকার ও তার দলীয়দের নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি ছাপা হয়। যে সরকার জনপ্রতিনিধিত্বমূলক, তারা সংবাদপত্রের আলোচনা-সমালোচনা সহ্য করে। নিজেদের ত্রুটি সংশোধনে তৎপর হয়। যে সরকার পত্রিকার সমালোচনা পছন্দ করে ও নিজেদের ত্রুটি দূর করে চলে তারা জনপ্রিয়তা হারায় না, পরের নির্বাচনে তারা জয়ী হয়। যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না এবং নিজ ত্রুটি না শুধরিয়ে সংবাদপত্রের ওপর চড়াও হয়, তারা জনসমর্থন হারায় এবং একসময় জনতার রোষে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়। বাংলাদেশে এর একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। স্বৈরশাসকেরাই সাধারণত সংবাদপত্র কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের সামরিক শাসকরা সংবাদপত্র ব্রিটিশ আমলের মতোই বা তার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ করত। এজন্য তারা ছিল ঘৃণিত।

সংবাদপত্র বিষয়ে লিখতে গেলে সন্দেহাতীতরূপে যে সত্য বেরিয়ে আসে, সেটা হলো এর সঙ্গে যুক্ত সবাই তাদের অজান্তে এবং অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তার বেঁধে দেওয়া নীতির সঙ্গে মেলে না এমন সব বিষয় ছেপে ফেলে। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজ সাংবাদিকরাও এটা করতেন এবং করে চাকরি হারাতেন। এর কারণ হলো, সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত সবার দায়িত্বশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থের প্রতি সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ হওয়া ও দায়বদ্ধতা। এর জন্য চাকরিচ্যুত হওয়া থেকে শুরু করে তাদের কপালে কারাভোগ পর্যন্ত জুটত। ইতিহাস নির্মাণে এজন্য আদি থেকে সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিশাল ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং আধুনিক বাঙালি সমাজের অবয়ব গঠনে বিভাগপূর্বকালে দৈনিক আজাদ, ইত্তেহাদ ও সাময়িকপত্র সওগাত ও মহিলাদের বেগম এবং পাকিস্তান আমলে সাপ্তাহিক ও পরে দৈনিক ইত্তেফাক অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময়ে অসংখ্য দৈনিক ঢাকা থেকে তো বটেই, বিভাগীয় এবং জেলা-উপজেলা শহর থেকেও বের হচ্ছে। বাঙালি অসাধারণ মননশীল বলেই এটা হচ্ছে। আর্থিক প্রতিকূলতা যতই থাকুক, সংবাদপত্র প্রকাশে এটা থাকবেই, সংবাদপত্র প্রকাশ দিন দিন বাড়বে। দিন ভালো হচ্ছে বলে লেখকরাও তাদের পারিশ্রমিক পাবেন। শিল্পকারখানা ও ব্যবসায় বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে বলে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন সঙ্কটও কেটে যাবে।

লেখকঃ আবদুল মতিন খান (কলাম লেখক)

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads