• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অর্থনীতিতে কৃষক ও নারীর গুরুত্ব

অথচ বেঁচে থাকতে হলে খাদ্যের বিকল্প নেই

আর্ট : রাকিব

মতামত

অর্থনীতিতে কৃষক ও নারীর গুরুত্ব

  • প্রকাশিত ৩১ মে ২০১৮

দেশের অর্থনীতিতে কৃষক ও নারীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে কৃষকের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার কৃষিতে ভর্তুকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। তৃণমূল পর্যায়ে দেশের অধিকাংশ কৃষক নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত। ফসল ভালো হলে হাতে তাদের বাড়তি টাকা আসে। কিন্তু তারা টাকা ধরে রাখতে পারেন না। বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ের সুবিধা না থাকায় সেই টাকা তারা খরচ করে ফেলেন। সরকার কৃষকের মাঝে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়ানোর জন্য ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করেছে। এই হিসাবের মাধ্যমে তারা ব্যাংক থেকে ঋণও নিতে পারছেন। ফলে মহাজনের করাল থাবা থেকে অনেক অসহায় কৃষকই রক্ষা পাচ্ছেন, নির্যাতনের হারও হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালায় কৃষি ঋণ বিতরণের যে পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি খুবই কৃষি এবং কৃষকবান্ধব। নীতিমালায় বর্ণিত কৃষিঋণ বিতরণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো :

কৃষিকাজে সরাসরি নিয়োজিত কৃষকই কেবল কৃষিঋণ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। পল্লী অঞ্চলে আয়-বর্ধক কর্মকাণ্ডে জড়িতরাও কৃষি ও পল্লীঋণের সংশ্লিষ্ট খাতে ঋণ সুবিধা পেতে পারেন। ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লীঋণের জন্য আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের ভিত্তিতে প্রকৃত কৃষক শনাক্ত করবে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের বিপরীতে মাত্র ১০ টাকা জমা গ্রহণপূর্বক খোলা অ্যাকাউন্টধারী কৃষকদের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে শুধু পাস বইয়ের ভিত্তিতেই প্রকৃত কৃষক শনাক্ত করা যেতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিন্তু কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড নেই, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা স্থানীয় স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক অথবা ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির দেওয়া প্রত্যয়নপত্রও প্রকৃত কৃষক শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশের সাধারণ কৃষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফরম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সময়, ফরমে যাচাই করা তথ্যের ব্যবহার এবং এর উপযোগিতা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো কৃষিঋণের, বিশেষ করে শস্য/ফসল ঋণের আবেদন ফরম সহজীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আবেদন ফরম পূরণসহ আনুষঙ্গিক কাজে যাতে কালক্ষেপণ না হয়, সে জন্য আবেদন ফরম গ্রহণের সময়ই গ্রাহককে এ-সংক্রান্ত সব ধরনের নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। সহায়ক কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে একটি মাত্র বৈঠকেই সব তথ্য গ্রাহককে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা নির্ধারিত ঋণ নিয়মাচার অনুযায়ী আবেদনকারীর বার্ষিক প্রয়োজনীয় ফসল ঋণ ও অন্যান্য ঋণ এককালীন প্রদান করবে। তবে সংশ্লিষ্ট ফসল উৎপাদনের মৌসুম শুরু হওয়ার অন্তত ১৫ দিন আগে ঋণ বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখাগুলো কৃষকদের বার্ষিক ফসল উৎপাদন পরিকল্পনাসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করবে। প্রয়োজনবোধে, পরবর্তী সময়ে কৃষকদের বার্ষিক উৎপাদন পরিকল্পনায় যুক্তিযুক্ত পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া যাবে। গ্রাহকের আবেদনপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করতে হবে। বিশেষ করে শস্য ও ফসল চাষের জন্য ঋণের আবেদন দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণের আবেদন নিষ্পত্তিকরণের সময়সীমা হবে আবেদনপত্র জমার দিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ কর্মদিবস। কৃষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ১০ টাকা প্রাথমিক জমার বিনিময়ে হিসাব খোলা যাবে। হিসাবসমূহের লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসব হিসাবের ওপর সুদহার সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাবের চেয়ে ১-২ শতাংশ বেশি হারে দেওয়ার বিষয়টি ব্যাংকগুলো বিবেচনা করবে। ব্যাংক শাখাগুলো এ ধরনের হিসাবে রক্ষিত সঞ্চয়ের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এ হিসাবগুলোতে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা এবং কোনো ধরনের চার্জ বা ফি আরোপ করা যাবে না। এ ধরনের হিসাবে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক/লেভি কর্তন রহিত করা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের জন্য একজন কৃষককে সর্বোচ্চ ১৫ বিঘা (পাঁচ একর বা দুই হেক্টর) জমি চাষাবাদের জন্য নিয়মাচারে নির্ধারিত হারে ঋণ প্রদান করা যাবে। শুধু শস্য/ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টের প্রয়োজন পড়বে না। তবে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা যাতে কৃষিঋণ না পান, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঋণ বিতরণকারী ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে। সাধারণভাবে ৫ একর পর্যন্ত জমিতে চাষাবাদের জন্য ফসল ঋণের ক্ষেত্রে শুধু সংশ্লিষ্ট ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ প্রদান করা যাবে। তবে ৫ একরের বেশি জমি চাষাবাদের জন্য ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানত গ্রহণ করা না করার বিষয়টি ব্যাংক/অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের প্রচলিত শর্তে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারণ করবে। কৃষি ও পল্লীঋণ কর্মসূচির আওতায় আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ডে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয়/ব্যক্তিগত গ্যারান্টি গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

পাশাপাশি দেশের নারী উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১’। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে গৃহীত হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। প্রযুক্তি জগতে নারীদের প্রবেশ সহজ করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মতো ইউনিয়নভিত্তিক তথ্যসেবায় উদ্যোক্তা হিসেবে একজন পুরুষের পাশাপাশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন নারী উদ্যোক্তাকেও। দেশের স্বার্থে নারীদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। স্বনির্ভর দেশগঠনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি কোনো নারী ব্যক্তিমালিকানাধীন বা প্রোপ্রাইটরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রোপ্রাইটর হন কিংবা পার্টনারশিপ বা জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত প্রাইভেট কোম্পানির অন্যূন ৫১ ভাগ শেয়ারের মালিক হন, তবে তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত হবেন। ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অর্থায়ন সংক্রান্ত সংশোধিত মাস্টার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিটি শাখায় স্বতন্ত্র ‘ওমেন এন্টারপ্রেনারস ডেডিকেটেড ডেস্ক/ হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে তাদের এসএমই খাতে অর্থায়নে সহায়ক এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। হেল্প ডেস্কের প্রধান হিসেবে সম্ভব হলে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী শিল্প উদ্যোক্তাদের সব ধরনের ঋণ আবেদন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পন্ন করবে। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টিকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রদত্ত ঋণ সুবিধা সহায়ক জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান করতে পারবে। এক্ষেত্রে গ্রুপ জামানত কিংবা সামাজিক জামানত গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া (সাবেক ১১১টি ছিটমহল) অঞ্চলের বাসিন্দাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মূলধারায় সংযুক্ত করা এবং তাদের সম্ভাবনাময় উদ্যোগ বিকশিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান এসএমই নীতিমালার আলোকে এ অঞ্চলের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দলীয়ভিত্তিক এসএমই ঋণ বিতরণের আওতাভুক্ত করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন বিষয়ে পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন, প্রচার ও পরিপালন করবে। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখা কর্তৃক শাখার আওতাধীন ন্যূনতম তিনজন উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী নারী কিংবা নারী উদ্যোক্তাকে খুঁজে বের করতে হবে, যারা আগে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করেননি। তবে এ সংখ্যা বেশি হলে সংশ্লিষ্ট শাখা প্রশংসিত হবে। নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তাদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী শিল্প/ব্যবসা/সেবা কার্যক্রম নির্বাচন, মূলধন সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় পরিচালনা, উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বা সেবা বাজারজাতকরণ, ব্যাংক হিসাব খোলা ও লেনদেনের পদ্ধতিসহ সার্বিক বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে বা যৌথভাবে প্রশিক্ষণদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে বিধি মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে কৃষকের জন্য নির্ধারিত ঋণ প্রকল্পগুলো। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে হ্রাস পাচ্ছে। একুশ শতকের এ বিশ্বায়নের যুগে বিশ্ব পরিবেশ আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। অথচ বেঁচে থাকতে হলে খাদ্যের বিকল্প নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য কৃষকের সমস্যার সমাধান সবকিছুর আগে প্রয়োজন। আমাদের কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা অত্যন্ত কৃষিবান্ধব এবং কৃষকবান্ধব। কৃষকের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংক আজ কৃষকের দোরগোড়ায়। তবে প্রকৃত কৃষকরা যেন ঋণ পায় এবং ঋণের সদ্ব্যবহার করে, সেদিকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে অবশ্যই তদারকি করতে হবে। প্রতিনিয়ত সহজ করা হচ্ছে ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া। সমন্বিত উদ্যোগের কারণে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। কৃষকের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের প্রবাহ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। নারী উদ্যোক্তারা পারবেন না- এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ইচ্ছুক নারীরা নির্দিষ্ট ছকের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে অবশ্যই দেশকে এগিয়ে নেবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রতিটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিল্পনীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অর্থায়ন বিষয়ক সার্কুলারে নারীদের ঋণ প্রদানের বিষয়ে যে নির্দেশিকা প্রদান করছে, সেগুলো সঠিকভাবে পালন করা হলে আমাদের নারীরা দেশগঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, স্বনির্ভর অর্থনীতির সহায়ক হিসেবে কৃষক এবং নারী অর্থায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রিয়াজুল হক

উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

riazul.haque02@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads