• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
নিয়ম

নিয়ম ভাঙাও একটা নিয়ম

আর্ট : রাকিব

মতামত

নিয়ম

  • আবদুল মতিন খান
  • প্রকাশিত ২৮ জুন ২০১৮

নিস্তার নেই যা থেকে সেটা হলো করা না করা। জীব-অণুজীব তো বটেই, নিষ্প্রাণ জড়বস্তু পর্যন্ত প্রাণীর মতোই সারাক্ষণ কিছু করছে অথবা থাকছে নিষ্ক্রিয়। করা না করা কিংবা সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় থাকা, এটাই হলো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নিয়ম। বলা যায়, নিয়মের বাইরে কিছু নেই। মজার ব্যাপার হলো, মানার মতো ভাঙাও একটা নিয়ম। নিয়ম মানায় যেমন সুবিধা আছে, ভাঙাতেও কম নেই। জড়পদার্থের নিয়ম মানা অনেকটা স্বয়ংক্রিয়। যেমন ঝড়-বাদলা। সাগরে লঘু চাপের সৃষ্টি হলে তার চতুর্দিকে বাতাস ঘুরপাক খেতে থাকে। এই ঘূর্ণির একটা কেন্দ্র আছে। কেন্দ্রসহ ঘুরপাক খাওয়া বাতাস ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হয় এবং তার গতি বাড়তে থাকে। এই গতিবেগ অনেক সময় দুইশ’ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। সাগরের এই ঘূর্ণিমেঘ পাক খেতে খেতে পার্শ্ববর্তী ভূভাগের দিকে অগ্রসর হয়। ভূভাগের যে এলাকায় আঘাত হানে তার দফা রফা হয়ে যায়। গাছপালা-ঘরবাড়ি উপড়ে পড়ে। সঙ্গে আসে প্লাবন। মানুষ ও গরুছাগল একত্রে ডুবে মরে। এরপর ঝড়টি দুর্বল হয়ে মিলিয়ে যায়। সাগরের পাশে হওয়ায় বাংলাদেশ এরকম ঝড়ের কবলে প্রতিবছরই পড়ে। ১৯৭০ সালে যে ঝড়টি আঘাত হেনেছিল তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ও পশু-পাখি নিহত হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার তাদের জন্য কিছু করল না। জীবিতরাও শেষে ধুঁকে ধুঁকে মরল। সেই অভিজ্ঞতা পৃষ্টপটে রেখে বাংলাদেশ সরকার উপকূলবর্তী অঞ্চলের স্থানে স্থানে সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করে দিয়েছে। মারাত্মক ঝড়বৃষ্টি ধেয়ে আসছে আবহাওয়া দফতর জানালে রেডিও, টিভিতে ও ঢেড়া পিটিয়ে আশু-উপদ্রুতদের জানিয়ে দেওয়ার নিয়ম হওয়ায় মাল-জানের ক্ষতি তেমন হয় না। সকলে নিরাপদ শেল্টারে গিয়ে ওঠে।

জড় জগতের নিয়ম সর্বত্রই বাঁধাধরা। মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে সেগুলোকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারে। যারা এটা বেশি পারে তারা বেশি ভালো থাকে। যারা কম পারে তার কম ভালো থাকে। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র উদ্ভাবনের পর সেগুলো চালাতে প্রথমে খনিজ কয়লা (স্টিম ইঞ্জিনের জন্য) ও পরে খনিজ তেল পেট্রোল (ইন্টারনাল কম্বাশান ইঞ্জিনের জন্য) ব্যবহার হতে থাকে। পরে ব্যবহূত হতে থাকে প্রাকৃতিক বা খনিজ গ্যাস। ব্যবহারকালীন এগুলো থেকে বের হয় কার্বন ডাই-অক্সাইড। মানুষসহ সব প্রাণী বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে বাঁচে। অক্সিজেন পুড়ে হয় কার্বন ডাই-অক্সাসাইড। কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে বেড়ে গেলে প্রাণিজগতের জন্য সমূহ বিপদ। ইন্টারনাল কম্বাশান ইঞ্জিনের আশি শতাংশ ব্যবহার করে ইউরোপ-আমেরিকার ধনী দেশগুলো। তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল করছে দূষিত। তার কুফল ভোগ করছে বিপুল অধিক তারা, যারা ওইসব ইঞ্জিন ব্যবহার করে না। এর জন্য ধনী দেশগুলো গরিব দেশগুলোকে সামান্য ক্ষতিপূরণও দেয় না। কার্বন ডাই-অক্সাইড গাছপালা তৃণলতার খাদ্য হওয়ায় দরিদ্র দেশের মানুষকে রক্ষা করে গাছপালা, তৃণলতা প্রভৃতি। গাছগাছালি, তৃণলতা প্রভৃতি কার্বন খেয়ে বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। প্রকৃতি এভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে। এ জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানো ভালো।

যাহোক, দেরিতে হলেও তাদের নিজেদের বায়ু দূষণমুক্ত রাখার তাগিদ থেকে ইউরোপীয়রা ব্যাটারিচালিত বিমান, গাড়ি, ফেরি প্রভৃতি তৈরি করবে। নরওয়ে হলো তাদের পথপ্রদর্শক। নরওয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যাটারিচালিত ছাড়া অন্যসব পরিবহন নিষিদ্ধ করবে। তারা ২০৪০ সালের মধ্যে সড়ক, নৌ ও আকাশপথের সকল যান ব্যাটারিচালিত করবে। লক্ষ করার বিষয়, ২০৪০ হলো বাংলাদেশের উচ্চতম আয়ের দেশ হওয়ার বছর। বাংলাদেশও নরওয়ের অনুসরণে, প্রয়োজনে তার প্রাযুক্তিক সহায়তা নিয়ে, দূষণমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশ এখন প্রতিবছর লক্ষ-হাজার কোটি টাকার বাজেট তৈরি করে। তার মধ্যে ব্যাটারিচালিত যান প্রচলনের ব্যবস্থা সহজেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষকরা উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হলে সরকার আনন্দে এগিয়ে আসবে সন্দেহ নেই। হাসিনা সরকার নতুন অভিনব কিছু হাতে নিতে সব সময় উদগ্রীব। এই প্রযুক্তি আয়ত্তে এলে প্রায় নিঃখরচায় যানবাহন পরিচালনা সম্ভব হবে। সড়ক দুর্ঘটনাও কমবে।

বাংলাদেশে হালে ব্যবহূত হচ্ছে খনিজ জ্বালানি সবকিছুতে, এমনকি কতিপয় শহরে রান্নায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতেও গ্যাস লাগে। লাগে সার কারখানায়। অত্যাবশ্যকীয় এসব কেন্দ্র চালু রাখতে রান্নার গ্যাসে পড়ে টান। গৃহিণীরা তখন পড়েন মস্ত বিপদে। এ অবস্থার অবসান হতে পারে সস্তায় সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করে। সেটা হলে রান্নার কাজে খনিজ গ্যাস দেওয়া তখন বন্ধ করা যাবে। আরো ভালো হয়, গৃহস্থালির কাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার।

বাংলাদেশের সর্বত্র এখন সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বড় কাজের জন্য বড় প্যানেল দরকার। সুবিধাজনক জায়গায় বড় সৌর প্যানেল স্থাপন সময়ের দাবি। গ্রামাঞ্চলে যাদের গবাদিপশু আছে এবং পশুখামার করেছেন তারা গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে রান্নার গ্যাস পান এবং পরে ওই গোবরকে জমির সার হিসেবে ব্যবহার করেন। বহু গ্রামে এখন গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার আছে। আছে মাছের খামার। সফল ও সুষ্ঠুভাবে যারা এগুলো চালাতে পারছেন তারা রীতিমতো বড়লোক, গ্রামের মানদণ্ডে। বাংলাদেশে মুরগি ও ডিমের খামার বলতে বোঝায় বিদেশি ও ব্রয়লার মুরগির খামার। হালে বিদেশি বড় মুরগি টার্কির খামারও হয়েছে। ব্রয়লার না হলেও টার্কি দেশি মুরগির মতো ছেড়ে রেখে পালন করা যায়। যারা এসব করছেন তার সুখের মুখ দেখেছেন। কিন্তু যেটা চোখে পড়ে না সেটা হলো আমাদের দেশি মুরগির খামার। দেশি মুরগির গোশত ব্রয়লারের চেয়ে খেতে ঢের স্বাদু। দেশি মুরগি আজো গৃহপালিত হওয়ায় তার সরবরাহ কম, দাম বেশি। ইচ্ছা থাকলেও অনেকে দেশি মুরগি দাম বেশি হওয়ায় কিনে খেতে পারেন না। বাংলাদেশ আজ মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাছ রফতানিও হয়। দেশি মুরগির খামার করে উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের পর রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও করা যাবে। দেশি মুরগির খামার করা সময়ের দাবি। তিতির ও টার্কির চেয়ে দেশি মুরগির গোশত বেশি জনপ্রিয় হবে বলে অধিক লাভেরও হবে। বর্তমানে যারা ব্রয়লার খেয়ে অভ্যস্ত তারা দেশি মুরগি পছন্দ করেন না তার মাংস শক্ত বলে। দেশি মুরগির গোশত শক্ত হওয়ার আদত কারণ তাদের ছেড়ে রেখে পালা। গ্রামের যারা মুরগি পোষেন তার বেলা ওঠার পর পরই মুরগির খোপের দরজা দেন খুলে। কক কক করতে করতে তারা বেরিয়ে পড়ে খাবারের খোঁজে। গৃহিণীর কাছে খুদকুঁড়ো থাকলে তিনি একটি পাত্রে পানিতে ভিজিয়ে তাদের খেতে দেন। খেয়ে তারা ছড়িয়ে পড়ে এবং সারা দিন পোকামাকড় ধরে ধরে খায়। উচ্ছিষ্ট খাবার ও পাতিলের পোড়াভাতও বাড়ির গিন্নি তাদের দেন। সন্ধ্যায় তারা ঘরে ফেরে এবং নিজ থেকে খোপে ঢোকে। এভাবে প্রতিপালিত হওয়ার কারণে তাদের মাংস হয়ে যায় শক্ত। অন্যপক্ষে ব্রয়লার মুরগি বন্ধ খাঁচায় প্রতিপালিত হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর পুষ্টিকর আহার পায়। রোগ প্রতিরোধক টিকাও তাদের দেওয়া হয়, যা গ্রামের মোরগ-মুরগির কপালে জোটে না। মড়ক দেখা দিলে তারা মরে সাফ হয়ে যায়।

এবার মাছের কথায় আসা যাক। গ্রামে যাদের পুকুর আছে অথবা আছে ডোবা বা পাগাড় যেখানে মাছ থাকে। এ মাছ আসে বন্যাকবলিত অঞ্চলে বন্যার জলের সঙ্গে পাশের নদ-নদী থেকে। বর্ষার পর পানি টেনে গেলে মাছ যাতে বেরিয়ে না যায় তার জন্য গৃহস্বামী পুকুর বা ডোবায় ‘কাঠা’ ফেলেন। কাঠা হলো বড় গাছের পাতাভর্তি বড় বড় ডাল। পানিতে পঁচে পাতা ও ছাল নরম হলে মাছ সেসব খায় ও পুষ্ট হয়। বন্যার পানি চলে গেলেও মাছ পুকুর বা ডোবাতে থেকে যায়। গৃহকর্তা প্রয়োজন হলে সেখান থেকে ঝাঁকি অথবা ঠেলাজাল ফেলে তাদের ধরে সাময়িক প্রয়োজন মেটান। যেমন হঠাৎ মাংসের প্রয়োজন দেখা দিলে মেটান ঘরে পোষা ছাগল-ভেড়া জবাই দিয়ে।

এতক্ষণ জীবনযাপনের যে নিয়মের কথা বলা হলো তা চার কুড়ি বছর আগের। এখনকার গ্রাম দ্রুত শহরের রূপ নিচ্ছে। কুঁড়ে তো দেখাই যায় না। টিনের দোতলা-চারচালার সঙ্গে দেখা যায় ইটের বেড়ার অথবা পুরোটা ইট-সিমেন্টে গাঁথা দালান। উপজেলা শহরের ঘরবাড়ি এবং রাস্তা প্রায় সব পাকা। তাদের মডেল হলো ঢাকার ধানমন্ডি, গুলশান বনানী এবং উত্তরা। তাদের হাট-বাজারের দোকানের মডেল ঢাকা এমনকি সিঙ্গাপুরের সুপার মার্কেট। সেখানে সবকিছু মেলে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মানব সমাজের নিয়ম হলো অন্যের ভালোটা দেখে শেখা এবং তা রপ্ত করা। বিশ্বজুড়ে তাই হচ্ছে। স্যাটেলাইট এবং টিভি চ্যানেলগুলো যেখানে যা হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করছে। মানুষ সব শিখে ফেলছে। মাছের উদাহরণ আবার আনা যায়। পুকুরে মাছ ছাড়লে তার বৃদ্ধির জন্য খাবার দেওয়া দরকার আগের দিনের মানুষ তা জানত না। তারা ভাবত, মাছ নদীনালায় নিজের খাবার নিজে যেমন জোগাড় করে তার পুকুরের নদীনালা থেকে ধরে আনা রুই, কাতলা, মৃগেলের পোনাও তেমনি পুকুরের শ্যাওলা ইত্যাদি খেয়ে বড় হবে। তারা এও জানত এভাবে বড় হতে অর্থাৎ তিন-চার সের ওজনের হতে হতে তিন-চার বছর লাগবে। এ কারণে তারা পুকুরের বড় মাছ বিক্রির জন্য ধরত তিন-চার বছর পর জেলে ডেকে জাল ফেলে। জেলেরাই মাছগুলো কিনে নিয়ে যেত।

মাছ প্রতিপালনের নিয়মের বিষয়ে আর একটা কথা না বললেই নয়। ষাট-সত্তর বছর আগে বর্ষাকালে বাজারে মাছ পাওয়া যেত না। পাওয়া গেলে বড় নদীর পাশের বাজারে কেবল ইলিশ। ইলিশ বর্ষার কিছু পরে আর মিলত না। তখন মনে হতো, বর্ষার প্লাবনে মাছ ছড়িয়ে পড়ায় মাছ ধরা সম্ভব না হওয়ায় বাজারে মাছ ওঠে না। এখন পরিষ্কার হচ্ছে কেন মিলত না। আগের দিনে মাছ ধরত জেলে নামক একটি ‘নিচুজাতের’ হিন্দু সম্প্রদায়। হিন্দু ধর্মের বিধান হলো, প্রত্যেক ‘জাতের’ জন্য ঠিক করে দেয়া জীবিকা অর্জনের একটি পেশা বা পন্থা। এর বাইরের একটি পেশাও জীবিকার জন্য বেছে নিতে তারা পারত না।

জেলেরা জানত মাছ ধরে তাদের বারো মাস খেতে হবে। তাই মাছের বংশ রক্ষার জন্য যা দরকার তাই তারা করত। জেলে সম্প্রদায় জৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত মাছ ধরত না। ধরা শুরু করত এর পর থেকে। আশ্বিন থেকে বৈশাখ পর্যন্ত প্রচুর মাছ নদনদী-খালবিলে থাকত। সেসব ধরে বিক্রি করে বছরের খোরাক সংগ্রহ করত।

জেলে সম্প্রদায় বলে কোনো সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশে নেই। থাকলেও সংখ্যায় তারা নগণ্য। এখন যারা মাছ ধরে তারা জেলে হলেও অন্য ধর্মাবলম্বী। তাদের জীবিকা শুধু মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা নির্বিচারে সারা বছর মাছ ধরে। এর প্রমাণ হলো, বর্ষায় ও শরতে ঢাকার বাজারে সবরকম মাছ মেলে এবং এগুলোর প্রত্যেকটির থাকে পেটভর্তি ডিম। সরকার কেবল প্রজননকালের ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে প্রহরা বসিয়েও ইলিশ রক্ষা হয় না। প্রজননকালীন অন্য মাছ শিকার নিষিদ্ধ নয়। তাই বর্ষাকালের ঢাকার বাজারে এবং অন্য জায়গার বাজারে ডিমওয়ালা সবরকম মাছ মেলে। ঢাকায় মিললে দেশের সর্বত্রই মিলবে সেটাই স্বাভাবিক। অথচ ইলিশের মতো ডিমওয়ালা অন্য সব মাছ ধরাও নিষিদ্ধ করা আশু দরকার।

বিদেশ থেকে কতিপয় উচ্চফলনশীল মাছ এনে তার চাষ হচ্ছে। বিদেশি কৈ, মাগুর, তেলাপিয়ার ব্যাপক চাষ হওয়ায় বর্ষাকালে এসব মাছ দিয়ে বাজার থাকে ভরা। মাছের বাজারে হালে দেশে উৎপাদিত রুই, কাতলা, মৃগেল প্রভৃতি ও পুকুরের পাঙাশ, কৈ, মাগুর ইত্যাদির সঙ্গে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে তাই মাছের আকাল নেই। বাঙালি যারা জীবিকার তাগিদে বিদেশে গেছে তাদের একজন দেশ থেকে তেলাপিয়ার পোনা আফ্রিকায় নিয়ে গিয়ে চাষ করে সফল হয়েছেন। তাকে নিয়ে আফ্রিকার উদ্যোক্তারা টানাটানি করছেন। আর একজন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশের সবজি চাষ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তার উৎপাদিত সবজি নিয়েও কাড়াকাড়ি হচ্ছে। এ সবই নিয়ম মেনে চলার সাফল্য। নিয়মের বাইরে গেলেই বিপদ।

লেখক : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads