• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বিজ্ঞানী মাদাম কুরি

বিজ্ঞানী মাদাম কুরি

ছবি : ইন্টারনেট

মতামত

বিজ্ঞানী মাদাম কুরি

  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৮

পুরনো পৃথিবীর একজন নারী হিসেবে যার জীবন কাহিনী রূপকথাকেও হার মানায় তার নাম মাদাম কুরি। বিজ্ঞানের জগতে তার অবদান বিচার করলে তাকে আইনস্টাইনের পাশাপাশি স্থান দেওয়া যায়। জীবন ব্যয় করেছেন যিনি বিজ্ঞানের গবেষণায়। মারি কুরি বা মারিয়া স্কদ্ভস্কা কুরি হলেন প্রথম নারী বিজ্ঞানী, যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার জন্ম এক পরাধীন দেশে। পোল্যান্ড তখন রাশিয়ার দখলে। ভাষাগত আর অর্থগতই শোষিত জাতি তখন পোলিশরা। এমনই এক সময়ে, ১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর, পোল্যান্ডের রাজধানী ভার্সাভাতে জন্ম নেন এই মহান নারী। নাম রাখা হয় ‘মারিয়া স্কদ্ভস্কা’। পদার্থবিদ্যা আর গণিতের প্রফেসর পিতা ভাদিসভ স্কদ্ভস্কি আর পিয়ানোবাদক ও গায়িকা স্কুলটিচার মা ব্রনিসভা তাদের পাঁচ সন্তানকে নিয়ে গড়েছিলেন ছোট্ট সংসার। মারিয়া ছিলেন সবার ছোট।

১৮৯১ সালে ২৪ বছর বয়সে তিনি তার বড় বোন ব্রোনিস্লাভাকে অনুসরণ করে প্যারিসে পড়তে যান। সেখানেই তিনি তার পরবর্তী বৈজ্ঞানিক কাজ পরিচালনা করেছিলেন। ১৯০৩ সালে মারি কুরি তার স্বামী পিয়েরে কুরি এবং পদার্থবিদ হেনরি বেকেরেলের সঙ্গে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জেতেন। আবার ১৯১১ সালে রসায়নেও নোবেল পুরস্কার জেতেন মারি কুরি। আবিষ্কারের কথা বলতে গেলে, তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কৃত হলেও এর প্রকৃতি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা তখনো ছিল অজানা। স্বামীর পরামর্শে মারি কুরি ইউরেনিয়াম রশ্মির ওপর গবেষণাকেই নিজের থিসিস হিসেবে গ্রহণ করলেন। স্বামী পিয়েরে কুরি তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পনেরো বছর আগে তড়িৎ চার্জ মাপার যন্ত্র ইলেকট্রোমিটার আবিষ্কার করেছিলেন। মাদাম কুরি ইউরেনিয়াম খনিজের মধ্যে তড়িৎ চার্জের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা চালালেন। তিনি আবিষ্কার করলেন, খনিজের চারপাশে চার্জের অস্তিত্ব আছে এবং এই চার্জের পরিমাণ কেবল খনিজে ইউরেনিয়াম পরমাণুর পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। বিস্তর গবেষণা করে তিনি এ সিদ্ধান্তে আসেন যে, ইউরেনিয়াম খনিজে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এ বিকিরণ হচ্ছে না। বরং তেজস্ক্রিয়তা ইউরেনিয়াম পরমাণুরই নিজস্ব ধর্ম। তেজস্ক্রিয়তার গবেষণায় এটি ছিল এক বিরাট আবিষ্কার। আধুনিক পদার্থবিদ্যার দরজা এ আবিষ্কারই খুলে দিয়েছিল। এটি ছিল তার প্রথম মৌলিক আবিষ্কার। আর একজন নারী হিসেবে বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি অতুলনীয়। মারি কুরি ৬৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই তিনি ফ্রান্সে মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads