• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আসামে সঙ্কট এবং বাংলাদেশ

তাদের সবারই জন্ম হয়েছে আসামের মাটিতে

সংরক্ষিত ছবি

মতামত

আসামে সঙ্কট এবং বাংলাদেশ

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ০৩ আগস্ট ২০১৮

ভারতের বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্য আসাম সম্ভবত দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক এ সঙ্কটের সঙ্গে অর্থনীতির পাশাপাশি ধর্মকেও জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার পেছনে কূটনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শুধু সাম্প্রদায়িক সংঘাতই হবে না, রাজ্যটি ভৌগোলিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একই কারণে বাংলাদেশেরও বিপদ বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

প্রথমে আসাম সঙ্কটের কারণ সম্পর্কে জানা যাক। ঘটনাপ্রবাহের প্রাধান্যে এসেছে দুটি কারণ। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, বলা হচ্ছে- দুটি কারণের পেছনে একই উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথম কারণটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগে দ্বিতীয় কারণের উল্লেখ করা দরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২৯ জুলাই প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, আসাম রাজ্যের দক্ষিণাংশের বরাক উপত্যকার বাঙালি-অধ্যুষিত তিন জেলা কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিকে নিয়ে পৃথক একটি রাজ্য গঠনের দাবি তুলেছেন বাঙালি নেতারা। এ বিষয়ে প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানিয়েছে ‘আকসা’— অল কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। আকসার সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় বলেছেন, অসমীয়দের বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে পৃথক রাজ্যই আসামে বসবাসকারী বাঙালিদের মুক্তির একমাত্র পথ।

পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিটিকে কেন্দ্র করে আসামের রাজনীতিতে প্রবল বিতর্কের সূচনা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি কঠোর বিরোধিতা করলেও বিশেষ করে বরাক অঞ্চলের ন্যাশনাল কংগ্রেস নীরবতা অবলম্বনের কৌশল নিয়েছে। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমারসহ অনেকে আবার দাবিটির কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আসাম রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত না করতে হয়।

আর এ প্রসঙ্গেই প্রাধান্য এসেছে প্রথম কারণটি— সেটা রাজ্য বিজেপি সরকারের উদ্যোগে তৈরি করা নতুন জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি আসামের রাজ্য সরকার ‘বৈধ নাগরিক’ হিসেবে যে এক কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার নাম প্রকাশ করেছে, সে তালিকায় অন্তত এক কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। অর্থাৎ এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে রাজ্যের তথা ভারতের বৈধ নাগরিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়াদের মধ্যে আসাম বিধান সভার চারজন সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ অনেক বিশিষ্টজনও রয়েছেন। জানা গেছে, কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দির পাশাপাশি বড়পেটা ও ধুবড়ির মতো এমন সব এলাকার অধিবাসীরাই বেশি সংখ্যায় বাদ পড়েছেন, যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অভিযোগ উঠেছে, জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের আড়ালে লাখ লাখ মুসলিমকে রাষ্ট্রহীন করার এবং বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিষয়টিকে মুসলিমবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্মরণ করা দরকার, ‘আকসা’র পক্ষ থেকে বাঙালিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানানোর অনেক আগে এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছিল ‘অ্যাকশন কমিটি ফর আসাম’ নামের এক অসাম্প্রদায়িক সংগঠন। এই অ্যাকশন কমিটির উদ্যোগে গত বছর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘুদের এক সম্মেলনে অভিযোগ উত্থাপন করতে গিয়ে বলা হয়েছিল— বিজেপি সরকার আসাম রাজ্যের ৫০ লাখ মুসলমানকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আর নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়লে ৫০ লাখ মুসলমান ভারতীয় নাগরিক থাকার সুযোগ পাবেন না। সেই সুযোগে তাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে আসাম তথা ভারত থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হবে। জোর করে ঠেলে পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

অথচ তারা কোনো বিচারেই বাংলাদেশি নন। তাদের সবারই জন্ম হয়েছে আসামের মাটিতে। সে কারণে আইনত তারা জন্মসূত্রেই আসাম তথা ভারতের নাগরিক।

কিন্তু বিজেপি সরকার এমন এক আইনকে অজুহাত বানিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত যারা আসামে এসেছে কেবল তাদেরকেই ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আপত্তি উঠেছিল একটি বিশেষ কারণে। দেখা গেছে, আইনটির আশ্রয় নিয়ে বিজেপি সরকার শুধু ২০১৪ সাল পর্যন্ত আগত মুসলিমদের ব্যাপারেই কঠোরভাবে বিরোধিতা করেছে। এই আইনের আড়ালে বিজেপি সরকার এমন মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করেছে, যারা ২০১৪ সালের অনেক আগে আসামে জন্ম নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০-এর বেশি বয়সী হাজার হাজার মুসলিমও রয়েছেন। তাদের সবাইকে বিজেপি সরকার ২০১৪ সালের পর আসামে আগত বাংলাদেশি দেখিয়ে চিহ্নিত করতে চেয়েছে।

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু সম্মেলনে আসামের হিন্দু ও মুসলিম রাজনীতিক, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় পর্যায়ের অনেক রাজনীতিকও হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, আসামের ৫০ লাখ মুসলিমকে নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নেওয়া হলে তারাও নিশ্চয়ই নীরবে বসে থাকবে না। তারা বরং প্রতিরোধের চেষ্টা চালাবে— যার পরিণামে হিংসা, মারামারি, খুনোখুনি ছড়িয়ে পড়বে। রক্ত ঝরবে আসামে। ভারতীয় মুসলিমরা তো বটেই, আসামের মুসলিমদের সমর্থনে এগিয়ে আসবে অন্য সব রাজ্যের সাধারণ মানুষও। তেমন অবস্থায় আজকের শান্ত আসাম মিয়ানমারে পরিণত হবে, যার পরিণতি রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের জন্যও অশুভ হয়ে উঠবে। সেই অশুভ পরিণতি এড়ানোর উদ্দেশ্যে হলেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আসাম রাজ্যের বিজেপি সরকারকে মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া থেকে নিবৃত্ত করা।

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু সম্মেলনের বক্তারা প্রসঙ্গক্রমে বলেছিলেন, যারা ভারতীয় নয় আমরা তাদের ভারতীয় বানাতে চাই না। কিন্তু যারা চারশ’ বছরের বেশি সময় ধরে বংশ পরম্পরায় আসামে বসবাস করে এসেছেন, তাদের কেবলই মুসলিম হওয়ার কারণে আসাম তথা ভারত থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কারণ এই মুসলিমরা কেবল আসামেই জন্ম নেননি, তাদের পূর্বপুরুষরা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশ নিয়েছেন। অনেকে এমনকি স্বাধীনতার জন্য জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করেছেন। অন্যদিকে এত বছর পর এসে বিজেপি সরকার সেই সব মুসলিমকেই ভারতীয় নয় বলে প্রচার করতে শুরু করেছে। তাদের জমা দেওয়া পঞ্চায়েত নথি পর্যন্ত মানা হচ্ছে না।

অ্যাকশন কমিটি ফর আসাম আয়োজিত দিল্লি সম্মেলনে আসামের মুসলিমদের পক্ষে আরো অনেক তথ্য-পরিসংখ্যান ও ঐতিহাসিক দলিলসহ যুক্তি হাজির করা হয়েছিল— যেগুলো প্রমাণ করে, চিহ্নিত ৫০ লাখ মুসলিম সব বিচারেই জন্মগতভাবে ভারতীয় এবং আসামের নাগরিক। দিল্লি সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ের নেতারা বলেছিলেন, এত বিপুলসংখ্যক মুসলিমকে আসাম থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর পরিকল্পনার পেছনে আসল উদ্দেশ্য মুসলিমবিরোধী ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন। কথাটা বলার কারণ, ২০১৬ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো সরকার গঠনের সময় থেকেই বিজেপি এই বলে অভিযোগ তুলে এসেছে যে, আসামে নাকি লাখ লাখ বাংলাদেশি অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। তারা শুধু বসবাসই করছে না, চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যও দখল করে নিয়েছে। মূলত এসব অবৈধ বাংলাদেশির কারণেই আসামের প্রকৃত নাগরিকরা নাকি চাকরি পাচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যেও পিছিয়ে পড়েছে তারা।

উল্লেখ্য, আসাম রাজ্যের নির্বাচনের সময় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কথিত বাংলাদেশিদের ‘গাট্টিবোঁচকা’ বেঁধে তৈরি থাকতে বলেছিলেন।

মূলত প্রধানমন্ত্রী মোদির ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি সরকার আসামে আদমশুমারির নামে প্রকৃতপক্ষে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে নাগরিক নিবন্ধনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। সে সময় বছর ও তারিখ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে নির্ধারণ করে সরকার বলেছিল, রাজ্যের বৈধ নাগরিকের স্বীকৃতি পেতে হলে প্রত্যেককে নথি ও কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, সে ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই তারিখের আগে থেকে আসামে বসবাস করে আসছে। অন্যদিকে বিশেষ করে মুসলিমরা জানিয়েছিলেন, অশিক্ষিত হওয়ায় তাদের পূর্বপুরুষরা এ ধরনের নথি বা কাগজপত্রের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি বলে সেগুলো সংরক্ষণও করেননি। এজন্যই মুসলিমদের কাছে সরকারকে দেখানোর মতো যথেষ্ট নথি বা কাগজপত্র নেই বললেই চলে। সে কারণে জাতীয় নিবন্ধন তালিকায়ও তাদের নাম ওঠেনি। এমন একটি তালিকাকেই চূড়ান্ত তালিকা হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে গত ৩০ জুলাই। আর এর ঠিক প্রাক্কালে দাবি উঠেছে বাঙালিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের।

উল্লেখ্য, একই আসাম সরকার একবার ১৯৭১ সালকে ভিত্তি বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছে আবার ২০১৪ সালের কথাও বলেছে। এর মধ্য দিয়েও পরিষ্কার হয়েছে, বিজেপি সরকারের আসল টার্গেট বাংলাভাষী মুসলিমরা। কারণ ২০১৪ সালকে সময়কাল হিসেবে নির্ধারণ করা হলেও বিজেপি সরকার শুধু মুসলিমদের ব্যাপারেই কড়াকড়ি করেছে। সরকার একই সঙ্গে এমন এক উদ্ভট দাবিও হাজির করেছে যেন এই ৫০ লাখ মুসলিমের সবাই আসামে গেছে বাংলাদেশ থেকে এবং গেছেও ২০১৪ সালের পর! এমন যুক্তি, বক্তব্য এবং দাবি ও আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতেই অ্যাকশন কমিটি ফর আসামের উদ্যোগে আয়োজিত দিল্লি সম্মেলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা সেই সঙ্গে ৫০ লাখ মুসলিমকে তাদের বাপ-দাদার ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করার জন্য আসামের বিজেপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারা বলেছিলেন, আসামকে আরো একটি মিয়ানমার বানানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। এমন আশংকাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকেই অশুভ পরিণতির শিকার হতে হবে।

বর্তমান পর্যায়ে উদ্বেগের কারণ হলো, বিভিন্ন মহলের যুক্তি, তথ্য ও আবেদন উপেক্ষা করে একদিকে আসামের রাজ্য বিজেপি সরকার নাগরিক নিবন্ধনের নামে ৫০ লাখ মুসলিমকে ভারতের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করেছে, অন্যদিকে এমন তিনটি জেলাসহ বরাক উপত্যকাকে পৃথক রাজ্য বানানোর দাবি উঠেছে, যে অঞ্চলের প্রায় একশ ভাগ নাগরিকই বাঙালি এবং মুসলিম। নাগরিক নিবন্ধনের অন্তরালে বিজেপি সরকারের মুসলিমবিরোধী উদ্দেশ্য নিয়ে শুধু নয়, তালিকা থেকে বাদ পড়া সবাইকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা থাকায় একদিকে ভারতকে আরো একটি মিয়ানমারের অশুভ পরিণতি বরণ করতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতেরই রাজনীতিকসহ বিশিষ্টজনরা। অন্যদিকে বাংলাদেশকেও রোহিঙ্গাদের মতো বিতাড়িত অসমীয় বাঙালিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এমন পরিণতি এড়ানোর জন্য এখনই তৎপর হওয়া দরকার। সরকারের উচিত আসামের রাজ্য সরকারের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করা এবং সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হওয়া। আমরা চাই, কোনো কারণেই যেন বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কে তিক্ততার সৃষ্টি হতে না পারে।

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads