• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শিক্ষার জন্য করণীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত প্রাণহীন হয়ে পড়ছে

সংগৃহীত ছবি

মতামত

শিক্ষার জন্য করণীয়

  • সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০১৮

শিক্ষাক্ষেত্রে এখনই যা করা দরকার, তা হলো তিনটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া। প্রথমটি শিক্ষাকে দল ও বাণিজ্যের গ্রাস থেকে মুক্ত করা। দ্বিতীয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া। তৃতীয়টি হচ্ছে শিক্ষার মূলধারাটিকে বেগবান ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে ব্যস্ত হওয়া। বাংলাদেশে শিক্ষা আজ যেমন ও যতটা রাজনৈতিক দলের অধীনে চলে গেছে, আগে কখনো তেমনটা দেখা যায়নি। রাজনৈতিক দল বলতে এক্ষেত্রে সরকারি দলকেই প্রধানত বোঝাতে হবে। যখন যে দল সরকারে আসে সেই দলই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হস্তক্ষেপ করে থাকে। এটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কমিটি সরকারি দলের অধীনে থাকছে। স্থানীয় এমপি কিংবা তার সুপারিশের কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান হচ্ছেন। ওই ব্যবস্থাটা বাতিল করা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কর্তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন। তারাও সরকারি লোক হিসেবেই কাজ করে থাকেন। আমরা চাইব চেয়ারম্যান হবেন শিক্ষাবিদ, শিক্ষাব্রতী, পেশাজীবী, কোনো সম্মানিত বেসরকারি ব্যক্তিত্ব। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ হয়।

ব্যাপারটা আরো বেশি স্পষ্ট উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সেখানে সরকার দলীয়ভাবে নিয়োগ দেয়। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় শিক্ষকদের নিয়োগদান ও শিক্ষাঙ্গনে অসুস্থতার সৃষ্টি করেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সংবিধান নেই, সেখানে নির্বাচনও নেই, তাই দলাদলিও নেই। কিন্তু তাই বলে ওইসব প্রতিষ্ঠান যে সুস্থ রয়েছে তা নয়। যেমন বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)। সেখানে রাষ্ট্রের অর্থাৎ সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ এমন নির্মম যে, ছাত্র-শিক্ষক সবাই অনেকটা বন্দির মতো থাকে, একাংশ আবার ওই বন্দিদশাকে উপভোগ করে।

শিক্ষাক্ষেত্রে আরেক ব্যাধি- বাণিজ্য। বাংলাদেশে যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাতে চিকিৎসা, বিচার, নিরাপত্তা সবকিছুই ক্রয়-বিক্রয়ের পণ্যে পরিণত হয়েছে। বিদ্যাও তা-ই। টাকা ছাড়া শিক্ষা পাওয়া যাবে এমন ব্যবস্থা দেশে কখনো ছিল না। কিন্তু এখন তা চরম আকার ধারণ করেছে। ক্লাসরুমে শিক্ষাদান সঙ্কুচিত ও দুর্বল হচ্ছে; প্রবল হচ্ছে প্রাইভেট কোচিং। ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে পাস করা পর্যন্ত সর্বস্তরে টাকার শাসন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হু হু করে বিস্তৃত হচ্ছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা তাতে যোগ দিচ্ছেন, তাদের নাম বিজ্ঞাপিত হচ্ছে। অনেকে খণ্ডকালীন পড়াচ্ছেন। কনসালট্যান্সি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, শিক্ষাদান ও গবেষণার তুলনায়। বাণিজ্য যাকে ধরে তার আর রক্ষা থাকে না। শিক্ষাব্যবস্থাকে বাণিজ্যের বাইরে আনতে না পারলে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া কঠিন হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। আগে যে অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল তা নয়। কিন্তু এখন তাদের অবস্থা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ম্রিয়মাণ। শিক্ষাঙ্গনকে দ্বিতীয় গৃহ হিসেবে বিবেচনা করা অসঙ্গত নয়। শিক্ষার্থীরা গৃহে যে জীবন পায়, সেটা সঙ্কীর্ণ ও পারিবারিক। বিদ্যালয়ে এসে তাদের মুক্তি ঘটে। তারা সামাজিক হয়। যেমন বেড়ে ওঠে তেমনি বিস্তৃত হয়। এটা চিরকালের সত্য। একালের বাংলাদেশে গৃহ আরো সঙ্কীর্ণ হয়েছে, বিপন্ন হয়েছে। পরিবার আগের মতো নেই। শিক্ষাঙ্গনের দায়িত্ব ও কর্তব্য তাই বেড়ে গেছে। তাকে এখন দ্বিতীয় নয়, প্রথম গৃহই হতে হবে। বিকল্প নয়, পরিপূরকও নয়, অগ্রবর্তী। ছাত্রকে সে পথ দেখাবে, উদ্বুদ্ধ করবে সামাজিক হতে। শ্রেণিকক্ষে এবং তার বাইরে অনুশীলন ঘটবে যেমন বুদ্ধির ও মেধার, তেমনি পরিচর্যা ঘটবে তার সামাজিক সত্তার। সে মিলতে শিখবে, মিশতে শিখবে। তার ভেতরকার গুণগুলো সব বিকশিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা যেমন সরকারি দল এবং কুৎসিত বাণিজ্যের অধীনে দেখতে চাইব না, তেমনি চাইব না সমাজের অধস্তন করে রাখতে। কেননা তারা ইতোমধ্যেই যথেষ্ট অধঃপতিত হয়েছে, আরো হতে থাকবে। বিদ্যালয় যদি সমাজের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে সমাজে এখন যেসব বিষ কার্যকর রয়েছে, তাদের দ্বারা প্রভাবিত হবে এবং হয়তো বা ওইসব বিষক্রিয়ার বিতরণ ব্যবসারই অংশ হয়ে দাঁড়াবে।

সমাজে রয়েছে হিংস্রতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও নির্লজ্জ মুনাফাখোরী; বিদ্যালয়ের কাজ হওয়া চাই এদের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করে স্নেহ-ভালোবাসা, সামাজিকতা, সহিষ্ণুতা ও নিঃস্বার্থপরতার অনুশীলন যাতে ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ। ছেলেমেয়েরা ক্লাসে শিখবে, ক্লাসের বাইরে শিখবে। বিদ্যালয়ে আসতে পছন্দ করবে, এসে খুশি হবে এবং গৃহে খারাপ যা শিখেছে তা ভুলে যাবে।

শিক্ষকরা কাজ করবেন ক্লাসরুমে, কাজ করবেন ক্লাসের বাইরেও। ক্লাসরুমে পড়াবেন, ক্লাসের বাইরে সাংস্কৃতিক কাজ ও খেলাধুলায় ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করবেন। গান, আবৃত্তি, বিতর্ক, নাটক, লেখা, পত্রিকা প্রকাশ, পাঠচক্র, বিজ্ঞানমেলা, চিত্রকলা প্রদর্শনী, খেলাধুলা সবকিছু সমানে চলবে। মুখরিত থাকবে অঙ্গন—প্রতিযোগিতা গড়ে উঠবে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য প্রতিষ্ঠানের। তৈরি হবে নেতৃত্ব, পাওয়া যাবে বীরত্ব। এই দুয়েরই আজ খুব দরকার। তরুণ সমাজ সামনে দৃষ্টান্ত পায় না; দৃষ্টান্ত তাদের নিজেদের ভেতর থেকেই যাতে বের হয়ে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এজন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা চাই। নির্বাচনকে ভয় পেলে চলবে না। সমাজ ও রাষ্ট্রে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা রাখি তবে সে-আশার ভিত্তিটাকে গড়ে তুলতে হবে বিদ্যালয়েই। সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা চাই। নির্বাচিত ছাত্র সংসদের অধীনে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী থাকবে, যারা সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ার বিভিন্ন এলাকায় সহপাঠীদের পক্ষে অনুশীলনের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করবে। সঙ্গে শিক্ষকরাও থাকবেন। অবশ্যই। তারা উদ্বুদ্ধ করবেন, অংশ নেবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষা পাসের কেন্দ্র হবে না, হবে মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্য অনুশীলনস্থল। নইলে আমরা এগুবো কী করে?

এই দুই পদক্ষেপের সঙ্গে আরো একটি কাজে হাত দেওয়া দরকার, জরুরিভিত্তিতেই। সেটি হলো মূলধারাকে বেগবান ও শক্তিশালী করা। মূলধারা মাদরাসা শিক্ষা নয়, যেমন নয় ইংরেজি-মাধ্যমের শিক্ষাও; এটি হচ্ছে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ধারা। প্রথম কথা, মাতৃভাষার মাধ্যমে সকল স্তরে শিক্ষাদান চাই। কথাটা খুবই দুঃসাহসিক শোনাচ্ছে। কিন্তু এর তো কোনো বিকল্প নেই। মূলধারাকে শক্তিশালী করতে হলে উপরে যে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ করা হয়েছে, তার আবশ্যকতা ভোলা যাবে না। শিক্ষকদের মর্যাদাবান করতে হবে। শিক্ষাদান যে অন্য পেশা থেকে স্বতন্ত্র এই বোধটা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকের মর্যাদার জন্য তার বেতন বৃদ্ধি প্রয়োজন, আরো বড় প্রয়োজন তাকে চরিতার্থতা দান। যেন তিনি মনে করেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় তো বটেই, অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষক সম্মানের স্থান পাবেন। ছেলেমেয়েরা তাকে বীর ও নেতা হিসেবে মানবে। তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে, তাকে অনুসরণ করবে। শিক্ষকরা যাতে গৃহশিক্ষকতা না করেন, কনসালট্যান্সির পেছনে না ছোটেন, বাণিজ্য দ্বারা কবলিত না হন এবং দলীয় রাজনীতির খপ্পরে না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমাদের বড় দুই রাজনৈতিক দল সব পেশাতেই দলীয় বিভাজন নিয়ে এসেছেন, শিক্ষকতার পেশাকে যদি তারা অব্যাহতি দেন তবে জাতি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। ঘন ঘন পরীক্ষা পদ্ধতি বদল, পাঠ্যপুস্তকে নানা ধরনের পরিবর্তন আনা, সিলেবাস ও পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষামূলক রদবদল ঘটানো, এগুলো সবই অন্যায্য কাজ। এসবে শিক্ষকরা বিপাকে পড়েন, ছাত্রছাত্রীদের দুর্দশা বাড়ে। পাঠ্যপুস্তককে আকর্ষণীয় করা দরকার। এবং মনে রাখা চাই যে, মূলধারাই আসল, অন্য দুই ধারা বিচ্যুতি বৈ নয়।

কিন্তু এসব ঘটনা কে ঘটাবে? কে বলবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দলীয় করো না, হাত গোটাও। সরকার বলবে না, করবে তো নয়ই; কেননা সরকারই তো দায়ী দলীয়করণের জন্য। শিক্ষাব্যবস্থাকে বাণিজ্যমুক্ত করো—এ দাবিও সরকার তুলবে না, কেননা যে বিশ্বব্যবস্থার অধীনে সরকার কাজ করছে সেখানে বাণিজ্যই প্রধান এবং সরকার সবকিছুই ব্যক্তি মালিকানাধীন করে ফেলেছে, যার অর্থ হলো বাণিজ্যিকীকরণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণাঙ্গ, প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করার কাজেও সরকারের আগ্রহ নেই। মূলধারাকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে সরকার খুবই উদাসীন।

সরকারের কথা বার বার আসছে। কেননা সরকারই রাষ্ট্র চালায় এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ যেখানে সরাসরি নেই সেখানেও সরকার রয়েছে। নীতিনির্ধারণ রাষ্ট্রই করে, ব্যক্তি করে না। ওই যে জরুরি পদক্ষেপগুলোর কথা আমরা বললাম, সেগুলো সরকার নিতে পারে যদি তাকে বাধ্য করা যায়। বাধ্য না করলে নেবে না। এখন যেমন চলছে তেমনি চলবে এবং আমরা অধঃপতনের পথ ধরেই নামতে থাকব।

সরকারকে বাধ্য করার উপায় কী? উপদেশ পরামর্শ বিক্ষিপ্ত ধ্বনি এসবে কাজ হবে না। কাজ হবে শুধু একপথে। সেটা হলো জনমত সৃষ্টি। জনমত সৃষ্টিতে সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন। যারা লেখেন, তাদের এই আবশ্যকতার বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে হবে। যারা শিক্ষা নিয়ে ভাবেন, তাদেরকে সভা-সমিতি, সমাবেশ করে বলতে হবে কথাগুলো। ছাত্র সংগঠন থেকে দাবি তোলা চাই। পেশাজীবীরা বলবেন। অভিভাবকরা এগিয়ে আসবেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের সংগঠন গড়ে তোলা দরকার। এসব সংগঠন দেশের সাধারণ শিক্ষা সমস্যা নিয়ে ভাববে এবং অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর চোখ রাখবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ই আসলে এক-একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠান প্রাণবন্ত হবে না, যদি না সমাজের চিন্তাশীল মানুষ তার সঙ্গে যুক্ত হন।

মস্ত বড় ভূমিকা থাকবে গণমাধ্যমের। সংবাদপত্রে এই পদক্ষেপগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য সম্পর্কে লেখা থাকবে, সংবাদ আসবে, মন্তব্য ও প্রতিবেদন ছাপা হবে। সর্বোপরি টেলিভিশনে আলোচনা দরকার। কেননা টেলিভিশন সংবাদপত্রের চেয়েও শক্তিশালী।

আমরা যেন না ভুলি, শিক্ষাঙ্গনে দল ও বাণিজ্যের প্রভাব বাড়ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেবল আয়োজনের দিক থেকে নয়, প্রাণের দিক থেকেও দুর্বল হচ্ছে এবং মূলধারা তার ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক তারা অবশ্যই চিন্তিত হবেন। রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমেরও বিচার হবে শিক্ষা সম্পর্কে তারা কী ভাবছেন সেই নিরিখে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads