• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

জলবায়ু বিপর্যয় এবং ডেল্টা প্ল্যান

  • মো. আবদুল বাসিত
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

সাধারণভাবে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন, যা প্রাকৃতিক কারণে ঘটে, তাকেই জলবায়ু পরিবর্তন বোঝায়। যার ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বাতাস ইত্যাদির সূচকের পরিবর্তন হয় এবং পরবর্তী সময়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে এর প্রভাব পড়ে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীপৃষ্ঠের হিমবাহের আয়তনের হ্রাস-বৃদ্ধি। বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তন নির্ভর করে। এসবের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া এবং বহির্জগতের প্রভাব, যেমন- সৌর বিকিরণের মাত্রা, অক্ষরেখার দিকপরিবর্তন, সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর অবস্থান। তা ছাড়া বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রিনহাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর টেকসই উন্নয়ন ও মানবজাতির অস্তিত্বের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারটি একসময় আশঙ্কা মনে করা হতো, এখন সবাই এটিকে অবশ্যম্ভাবী মনে করেন, যা বর্তমান বিশ্বে একটি মারাত্মক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বৃদ্ধি, আবহাওয়ার উপাদানসমূহে পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণ এবং এর প্রভাবে জীবন ও জীবিকা আজ বিপন্ন। জলবায়ু পরিবর্তন মূলত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা; কিন্তু মানুষের কর্মকাণ্ড দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার শুরু হয়েছে। নির্বনীকরণ ও মরুকরণের ফলে  ভূমিতে ফলনশীলতার পরিবর্তন ভূপৃষ্ঠ কর্তৃক সৌরশক্তি শোষণের পরিমাণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত সালফারের অ্যারোসল মেঘমালাকে পরিবর্তন করে। ক্লোরোফ্লোরো কার্বনের কারণে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ওজন স্তরের পরিবর্তন জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাবে গত শতাব্দীতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ, মিথেনের পরিমাণ বেড়েছে ১০০ শতাংশ, নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ক্রমাগত বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণতা। বিশ্ব উষ্ণায়ন আবহাওয়ার ধরন এবং ঋতুবৈচিত্র্য পাল্টে দিচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন- খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি ঘটার সম্ভাবনা ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা, কিন্তু এর প্রভাবে বাংলাদেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। ভৌগোলিক অবস্থান, অধিক জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা  ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের বিপন্নতা খুবই ভয়াবহ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ, দেশটির মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিচু। এ ছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, খরা, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছ্বাস আমাদের নিত্যসঙ্গী। এ ছাড়া ভূমিক্ষয়ও একটি বড় সমস্যা। এদেশে নদীভাঙনের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হচ্ছে, এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি তো রয়েছেই। মানবসৃষ্ট নানা কারণে প্রাকৃতিক পানিচক্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে পানির প্রাপ্যতা ও গুণগত মান। বাড়ছে লবণাক্ততা ও মিঠাপানির স্বল্পতা। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বন্যা, খরা ও সাইক্লোনের ঝুঁকি বাড়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা আজ দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ বাস্তবতায় পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প বনায়নসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় বিবেচনায় রেখে সমন্বিতভাবে করা হয়েছে ইতিহাসের দীর্ঘতম পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান’। উৎপাদন শক্তি না কমিয়ে কৃষিজমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার, শহরাঞ্চলে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা, বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবেলা করে দেশকে কীভাবে উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০।

প্রণয়ন ও অনুমোদন : পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও নেদারল্যান্ডসের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণীত হয়। এ লক্ষ্যে গত ১৬ জুন ২০১৫ বাংলাদেশ সরকার, নেদারল্যান্ডস সরকার আইডিএ, আইএফসি এবং ২০৩০ পানিসম্পদ যুগের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে পরিকল্পনাটি শুরু হলেও দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে।

প্রণয়নের উদ্দেশ্য : সার্বিকভাবে সব উন্নয়ন খাতকে সমন্বিত করে একটি কৌশলী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। পানিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি উদ্ধার, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, কৃষি, শিল্প ও পরিবেশ খাতকে সমন্বিত করে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করণ ও সর্বোপরি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণই হচ্ছে এ পরিকল্পনা প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য।

নেপথ্যে কারণ : সত্তরের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়া সফরকালে সঙ্গে থাকা তার কন্যা শেখ হাসিনাকে বলছিলেন সুযোগ পেলে নেদারল্যান্ডস ঘুরে আসিয়ো, কারণ আমাদের মতোই নদীর দেশ নেদারল্যান্ডস। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকবার নেদারল্যান্ডস সফর করেন। সেখানকার পানি ব্যবস্থাপনা তাকে আকৃষ্ট করে। তাই তারই পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় প্রণীত হয় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। এ ছাড়া বর্ষাকালে প্রচুর পানি, শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা ডেল্টা পরিকল্পনার অন্যতম কারণ। দেশের বন্যা সমস্যা, নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতা নিরসন করা, সর্বোপরি দেশকে নিরাপদ ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

সাধারণ অর্থনৈতিক পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী পরিকল্পনাটি তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপ ২০৩০ সাল পর্যন্ত, প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খরচ হবে। দ্বিতীয় ধাপ ২০৩১-২০৫০ পর্যন্ত, প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হলে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে এবং তৃতীয় ধাপ ২০৫১-২১০০ সাল পর্যন্ত, যা দ্বিতীয় ধাপের কাজ সম্পন্ন হলে শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের কাজ অনেকখানি সম্পন্ন হয়েছে।

অর্থায়ন : ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রয়োজন হবে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। এজন্য গঠন করা হবে ডেল্টা তহবিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ২৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থায়ন সংবলিত একটি তহবিল গঠন করা হবে, যার ৮০ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে এবং ২০ শতাংশ বেসরকারি তহবিল থেকে আসবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতি বছর জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশের মতো অর্থের প্রয়োজন হবে। আর ২০৩১ সাল নাগাদ প্রতি বছর বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে যে ‘ডেল্টা তহবিল’ গঠন করা হবে, তার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত তহবিল বিশেষ করে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব। অর্থায়নের ক্ষেত্রে কস্ট রিকভারির জন্য বেনিফিশিয়ারি প্রিন্সিপাল অনুসরণ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বড় শহরগুলোয় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আদায়ের ক্ষেত্রে নীতিমালা কার্যকর করার চেষ্টা করা হবে।

গৃহীত ব্যবস্থা : বাংলাদেশ সরকার ইতিহাসের দীর্ঘতম ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। প্রথম ধাপ (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়নে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে ৮০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত। এক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সারা দেশে ছয়টি হটস্পট চিহ্নিত করে ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো উপকূলীয় অঞ্চলে ২৩টি প্রকল্পের জন্য ৮৮ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা, নগরাঞ্চলে ১২টি প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ৬৭ হাজার ১৫২ কোটি টাকা, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে ৬টি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চলে ৯টি প্রকল্পের জন্য ১৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ৮টি প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা এবং নদী ও মোহনা অঞ্চলে ৭টি প্রকল্পের জন্য ৪৮ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

এসব হটস্পটে ৩৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিকল্পনায় হটস্পটগুলোর সমস্যা সমাধানে বেশকিছু উদ্যোগ ও কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, যেমন— পর্যাপ্ত পরিমাণে ও মানসম্মত স্বাদু পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা, নদীগুলোর পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা, বন্যার ঝুঁকি কমাতে নদী ও পানিপ্রবাহের পর্যাপ্ত সুযোগ রাখা, পানি প্রবাহের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নদীগুলোকে স্থিতিশীল রাখা, নিরাপদ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকায় পানির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টেকসই জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা।

একবিংশ শতাব্দীর জলবায়ু পরিবর্তন ধীরে ধীরে বিপর্যয়ের রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে। এ বিপর্যয়  মোকাবিলায় সুদীর্ঘ ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনে আতঙ্কিত হওয়ার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণেই কল্যাণ। এটা ঠিক যে, জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের জন্য মোটেই সুখকর নয়, বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর যে নতুন ধারাবিন্যাস সৃষ্টি হচ্ছে, সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ অত্যাবশ্যকীয়। মানব বাসের এ পৃথিবীতে যাতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে না আসে, সে জন্য উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে আসবে- এটাই প্রত্যাশা।

 

লেখক : পোস্টাল অপারেটর, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads