• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

নতুন বছরে তারুণ্যের প্রত্যাশা

  • আজহার মাহমুদ
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০১৯

একটি বছর শেষ হওয়া মানে আরেকটি নতুন বছর পাওয়া। কিছু পুরাতন হয়ে গেলে নতুন কিছু পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এটাই নিয়ম। ঠিক তেমনি ২০১৮ সাল চলে গেলেও আমরা পাব নতুন একটি বছর ২০১৯ সাল। নতুন বছর মানেই নতুন কিছু। প্রত্যাশার পাল্লাটাও একটু ভারী হবে। চাওয়াটাও একটু বেশি হবে। এটা সাধারণ বিষয়। আমরা যখন নতুন কিছু নিতে যাই, তখন সবসময় ভালোটাই চাই। আমরা সবসময় পুরাতন জিনিসটার চাইতে আরো আপডেট এবং ভালো জিনিসটাই খুঁজি এবং সেটাই নিই। ঠিক সেভাবে ২০১৮ সালের সব ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমরা পেতে চাই আরো সুন্দর এবং সাজানো গোছানো একটি বছর। বছরটি শুরু হওয়ার আগেই প্রয়োজন পরিকল্পনা। আমরা জানি পরিকল্পনা ছাড়া কিছুই সঠিকভাবে সফল করা যায় না। তাই নতুন বছরটা শুরু করতে হবে সুন্দর পরিকল্পনা দিয়ে। আর এই পরিকল্পনায় থাকতে হবে তরুণদের কিছু চাওয়া। নতুন বছরটা যেন তরুণদের কথা মাথায় রেখে কাজ শুরু করে সরকার, সেটাই বর্তমান তরুণদের প্রত্যাশা। তরুণদের কথা মাথায় রাখা বলতে, তাদের নিয়ে সোনার বাংলা সাজাতে হবে। দেশের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই তরুণদের সঙ্গে নিয়ে এগুতে হবে। বেকার তরুণ যুবকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে নতুন বছর দিয়ে। এবারের নতুন বছরটি বাংলাদেশের জন্যও এক নতুন আশার আলো হবে। নতুন বছরে মানুষ পাবে নতুন সরকার। সরকার যে দলেরই হোক না কেন, তরুণদের প্রত্যাশাগুলো বাস্তবায়ন হোক। তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি কতটুকু মিলবে সেটা নতুন বছরেই বলা যাবে।

মনে রাখতে হবে তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। সোনার বাংলা গড়ার কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই তার তরুণ বয়সে দেখিয়েছেন তরুণরা কতটা করতে পারে দেশের জন্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়লেই জানতে পারব তরুণ বঙ্গবন্ধু কতটা সফল ছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বর্তমান তরুণ প্রজন্মও সফল হতে চায়। এটাই তারুণ্যের চাওয়া।

এ ছাড়া আমাদের দেশে আজ খেলার মাঠের বড় সঙ্কট। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ খেলতে পছন্দ করে। অবসর সময়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার অন্যতম উপায় খেলাধুলা। অথচ একের পর এক মাঠের জায়গা বেদখল হয়ে গড়ে উঠছে দালানকোটা। তরুণদের জন্য প্রতিটি এলাকায় একটি করে উন্মুক্ত খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে মাদকের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে চাইলে খেলার মাঠের বিকল্প নেই। আমরা যদি আশপাশে লক্ষ করি, তাহলে দেখতে পাব তারাই ভালো আছে যারা খেলাধুলা করে। আমাদের দেশে বর্তমানে মাদকের ছড়াছড়ি। প্রতিটি স্থানেই এখন মাদক পাওয়া যায়।

চাইলেই এখন মাদক সংগ্রহ করা যায়। ইয়াবা থেকে শুরু করে গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এখন হাতের নাগালে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সমাজে ভালো মানুষের মুখোশ পরে আড়ালে মাদকের ব্যবসা করাটাই এখন অনেকের আদর্শ, যা আমরা খালি চোখে দেখি না। তবে যারা দেখি তারাও বলতে পারি না ভয়ে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো দক্ষ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তা না হলে মাদকবিরোধী অভিযান চললেও মাদকের আগ্রাসন কখনো থামবে না। তাই তরুণসমাজকে রক্ষা করতে হলে মাদকের ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, তারুণ্যের চাওয়া এবং প্রত্যাশাগুলো যেন প্রাপ্তি দিয়ে পূরণ হয়।

 

লেখক : প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার

ধুযধৎসধযসঁফ৭০৫—মসধরষ.পড়স

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads