• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

জামায়াত নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন জামায়াতে ইসলামীকে পরিত্যাগ করার জন্য বিএনপির ওপর চাপ দিয়েছেন। এ কারণে দলটি এখন বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে বলে রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন। বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগের পরামর্শ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে দলটিকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি জামায়াতকে কেন পরিত্যাগ করেনি, এটি একটি বিরাট প্রশ্ন। অবশ্য রাজনীতির সদর-অন্দরের খবর যারা রাখেন তারা মনে করেন, রাজনৈতিক বাস্তবতায় দলীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মিত্রতার অবসান ঘটায়নি। অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের ভোটের বাস্তবতার কথা স্মরণে রেখেই বিএনপি জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গী হিসেবে ধরে রেখেছে। জামায়াতের অংশ নেওয়া নির্বাচনগুলোর ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের মোট ভোটারের পাঁচ থেকে বারো শতাংশ রয়েছে দলটির সমর্থক। বিএনপি-জামায়াত যদি ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করে, তাহলে তাদের মিলিত ভোট আওয়ামী লীগের ভোটের চেয়ে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ বেড়ে যায়। সংসদীয় নির্বাচনে এ পরিমাণ ভোট জয়-পরাজয় নির্ধারণে বেশ বড় একটি ফ্যাক্টর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটবদ্ধ নির্বাচন না করলেও বেশ কিছু আসনে সমঝোতা করেছিল। ফলে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল, জামায়াত পেয়েছিল ১৮টি আসন। আর প্রদত্ত ভোটের ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ পেয়েছিল বিএনপি, জামায়াত পেয়েছিল ১২ শতাংশ ভোট। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৮৮টি আসন ও ভোট পেয়েছিল ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ। কিন্তু ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেবার বিএনপি ও জামায়াত পৃথকভাবে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছিল। ফলাফল বিএনপি ১১৬ আসন পেয়ে পরাজিত হলো এবং ভোট পেল ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর জামায়তকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো মাত্র তিনটি আসন নিয়ে, তারা ভোট পেল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। তারা ভোট পায় ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসনে জয়লাভ করে, ভোট পায় ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর জামায়াত পায় ১৭টি আসন এবং তাদের মার্কায় ভোট পড়ে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ আসন পায় ৬৮টি, ভোট পায় ৪০ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত ভোটের এই হিসাব বিবেচনায় রেখেই বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠন করেছে। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই। দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা তারা হারিয়েছে। তবে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ২২ জন নেতা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। আসন পায়নি একটিও। 

এদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করার কাজ শুরু হয়েছে। আইনটি সংশোধন করা হয়ে গেলে আইনিভাবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে। সরকারের এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নামে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধ হলেও এর নেতাকর্মীরা বাংলাদেশেই থাকবেন এবং বৈধ নাগরিক হিসেবেই। যদি সাংবিধানিক আইনের আওতায় তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা না হয়, তাহলে তারা এ দেশে যে কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবেন অন্য দশজন নাগরিকের মতোই। সে ক্ষেত্রে তারা যদি দেশের আইন মেনে, সংবিধান লঙ্ঘন না করে নতুন নামে কোনো একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে, তাহলে সেটাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে একটি সুবিধা তাদের অনুকূলে থাকবে-ওই দলটিকে আর কেউ স্বাধীনতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের দল বলে অভিযুক্ত করতে পারবে না। এ কথাগুলো একেবারেই অনুমাননির্ভর। রাজনীতি নিয়ে যারা ভাবেন, তারা এমনটিই মনে করছেন।

বিগত কয়েক বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য বিএনপির ওপর চাপ এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। তারা বলার চেষ্টা করে আসছেন যে, বিএনপির উচিত যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে পরিত্যাগ করা। এতে নাকি বিএনপির জনসমর্থন বেড়ে যাবে। যারা জামায়াত ছাড়ার জন্য বিএনপিকে অহর্নিশ উপদেশ দেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট নয় কারো কাছেই। তারা এ উপদেশ কতটা বিএনপির ভালোর জন্য দেন, আর কতটা বিএনপিকে মিত্রহীন করার জন্য দেন, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বিএনপির কাছ থেকে জামায়াতকে দূরে সরাতে পারলে ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের যে সুবিধা তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তবে এবার জামায়াত ছাড়ার চাপ এসেছে বিএনপির নব্যসঙ্গী গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কাছ থেকে। আর এটাই এখন বিএনপির জন্য চরম অস্বস্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি গণফোরামের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে জামায়াত নেতাদের প্রার্থী করা ভুল ছিল। তাদের নিয়ে আমরা কখনো ঐক্য করব না। জামায়াতকে নিয়ে আমরা কখনো রাজনীতি করিনি, চিন্তাও করিনি।’ তিনি এও বলেছেন, বিএনপি যে জামায়াতের ২২ জন  প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেবে, এটা নাকি তিনি বা গণফোরাম নেতারা জানতেন না। স্মর্তব্য, এর আগে ড. কামাল বলেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকবে জানলে তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বই গ্রহণ করতেন না।  

ড. কামাল হোসেনের এ বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কেননা বিএনপি যাকে নেতা মেনে বর্তমানে রাজনীতির বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে, সেই ড. কামাল হোসেন বলছেন তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতকে পরিত্যাগ করতে। শুধু তা-ই নয়, বিএনপি যদি জামায়াতমুক্ত না হয়, তাহলে তারা (ড. কামাল) ভিন্ন চিন্তা করবেন-এমন আভাসও দিয়েছেন তিনি। ফলে বিএনপি বেশ বেকায়দায়ই রয়েছে এ মুহূর্তে। বলা যায় তাদের এখন ‘শ্যাম রাখি, না কুল রাখি’ অবস্থা। বিএনপি যদি জামায়াতকে নিয়েই আগামীতে রাজনীতির পথ চলতে চায়, তাহলে ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে যাওয়াটা অবধারিত। আর যদি ঐক্যফ্রন্ট টিকিয়ে রাখতে চায়, তাহলে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতকে তাদের বিদায় দিতেই হবে। তবে কর্মী-সমর্থক এবং সাংগঠনিক শক্তির বিচারে জামায়াত যে গণফোরামের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিএনপির কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং এখন দেখার বিষয় বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি সমকাল ‘জামায়াত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টে টানাপড়েন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে লিখেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের ভরাডুবির জন্য গণফোরাম নেতারা জামায়াতকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, জামায়াতের কারণে দেশে যেমন সমর্থন কমেছে, তেমনি দেশের বাইরে প্রভাবশালী দেশগুলোর সমর্থনও পাওয়া যায়নি। তারা এটাও মনে করছেন যে, আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বা পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামলে জামায়াত সঙ্গে থাকলে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যাবে না। তাই জামায়াতকে বাদ দেওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে গণফোরামের একজন নেতা পত্রিকাটিকে বলেছেন, এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি (মির্জা আলমগীর) আশ্বস্ত করেছেন, ধীরে ধীরে বিএনপি জামায়াতকে বাদ দেবে। তবে পত্রিকাটি লিখেছে- বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক কোনো জোট নেই। আছে ভোট ও আন্দোলনের জোট। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারাই এগিয়ে আসবেন, তাদেরকেই তারা স্বাগত জানাবেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর একটি অংশ, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও বিএনপি জোট ছাড়ার পক্ষে বলে ওই একই প্রতিবেদনে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে। তারা মনে করছে, বিএনপি জোটে থাকার কারণেই জামায়াত কর্মীরা সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সরকারের রোষানল থেকে বাঁচতে ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করা একটি ভালো পথ বলে তারা মনে করছে। তবে জোট ভাঙার দায়িত্ব নিতে চায় না বলেই জামায়াত এ বিষয়ে এখনো নীরব রয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচনের পরপরই জামায়াত ইস্যুতে ড. কামাল হোসেনের মন্তব্য ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। তারা ড. কামালের বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলেও মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরপরই জামায়াত ইস্যুতে ড. কামালের সরব হওয়া ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র। জামায়াত আছে জেনেই এলডিপি জোটে এসেছে, ঐক্যফ্রন্ট শরিকরাও তা-ই করেছে।’

এসব খবরের অন্তরালের কারণ সম্পর্কে রয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন, ড. কমাল হোসেন ও গণফোরাম নেতারা চান ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতরা শপথ নিয়ে এমপি হিসেবে সংসদে যান। কিন্তু বিএনপি এ ব্যাপারে রয়েছে একদম বিপরীত মেরুতে। তারা শপথ নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার পক্ষে। এ বিষয়ে গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নির্বাচিতদের শপথ নিতে বা সংসদে যোগ দিতে নিষেধ করেছেন। অন্যদিকে ড. কামাল হোসেন চাচ্ছেন গুটিকয় সদস্য নিয়েই সংসদে যোগ দিতে। এ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টে সৃষ্টি হয়েছে টানাপড়েন। পত্রিকাটি লিখেছে, এ মুহূর্তে বিএনপি কার হাতে রয়েছে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। প্রশ্ন উঠেছে— বিএনপি কার নির্দেশনা মোতাবেক চলবে? কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার, লন্ডনে অবস্থানরত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের, নাকি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের? পত্রিকাটি লিখেছে, জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির ওপর চরম ক্ষুব্ধ ড. কামাল হোসেনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতরা শেষ পর্যন্ত শপথ নিয়ে সংসদে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

প্রতিষ্ঠার পর বিএনপিকে এ পর্যন্ত নানা রকম চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। মোকাবেলা করতে হয়েছে নানামুখী সঙ্কট। কিন্তু এবারের মতো চতুর্মুখী সঙ্কটে বিএনপি আগে কখনো পড়েনি। সবচেয়ে বড় সমস্যা নেতৃত্বহীনতা। চেয়ারপারসনের কারারুদ্ধ থাকা এবং সেকেন্ডম্যান হিসেবে গণ্য সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিদেশে নির্বাসনে থাকা দলটিকে অভিভাবকহীন সংসারে পরিণত করেছে। ফলে ঘরে-বাইরে গজিয়ে উঠেছে নানা কিসিমের অভিভাবক; যারা একেকজন একেক রকম পরামর্শ দিচ্ছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি হতাশাও ঘিরে ধরছে তাদের।

এ অবস্থা থেকে দলটি কীভাবে পরিত্রাণ পাবে তা নিয়ে ভাবছেন অনেকেই। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীকে কি তারা পরিত্যাগ করবে, নাকি সঙ্গে রাখবে? কোনটাতে লাভ বেশি? ধরে রাখলে, নাকি ছেড়ে দিলে? এ এক কঠিন বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে বিএনপি। আর সেজন্যই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন ভাবাবেগ নয়, বাস্তবতার আলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপিকে। দেখা যাক, চল্লিশ বছর বয়সী দল বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads