• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আমার পার্টি’তে মধ্যরাতের নাটক

প্রতীকী ছবি

মতামত

আমার পার্টি’তে মধ্যরাতের নাটক

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০১৯

পাঠকদের অনেকেই সম্ভবত ‘আমার পার্টি’ শুনে অবাক হবেন। ভাববেন, এটা আবার কোন পার্টি? আসলে ‘আমার পার্টি’ নামে দেশে এখনো কোনো দল বা পার্টির আবির্ভাব ঘটেনি। অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক নামটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেছে দৈনিক বাংলাদেশের খবর। গত ১৯ জুনের প্রথম পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্রধান রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, “ ‘আমার পার্টি’র মহাসচিব যেভাবে আসেন-যান”।

রিপোর্টে ‘আমার পার্টি’ বলতে জেনারেল (অব.) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির কথা বোঝানো হয়েছে। ১৯৮৬ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কতজন নেতা ও ব্যক্তিকে দলের মহাসচিব করা হয়েছে, কতজন রাতারাতি পদটি থেকে অপসারিত হয়েছেন— তাদের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টটিতে। প্রফেসর ডা. এম এ মতিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ঠিক কতজনকে এরশাদ মহাসচিব করেছেন, তার হিসাব করতে গেলে যে কারো মাথা ঘুরে যাবে। রিপোর্টে অবশ্য শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ প্রায় সবার নামই উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কারো পক্ষেই সঠিক হিসাব বের করা সহজে সম্ভব হবে না।

এখানে উদ্দেশ্য তাই বলে জাপার মহাসচিবদের তালিকা তুলে ধরা নয়; বরং একটি কথাই জানানো যে, সবই ঘটেছে একজন মাত্র ব্যক্তির ইচ্ছায়, তিনি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ওই রিপোর্টে ‘আমার পার্টি’ বলতে এরশাদের পার্টিকেই বোঝানো হয়েছে। ভীষণ অসুস্থ এরশাদ ‘জীবন সায়াহ্নে’ পৌঁছে গেলেও জাতীয় পার্টি এখনো তার ইচ্ছাতেই চলছে। এখনো তিনি ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায়’ সিদ্ধান্ত পাল্টে নিত্যনতুন চমক দেখিয়ে চলেছেন। এ ব্যাপারে সর্বশেষ চমক দেখিয়েছেন তিনি গত ৪ মে। সেদিনের ঘটনায় এরশাদ তার প্রথম স্ত্রী এবং এতদিন পর্যন্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত রওশন এরশাদকে সরিয়ে দিয়ে তার স্থলে নিযুক্তি দিয়েছেন নিজের ভাই জিএম কাদেরকে। জেনারেল এরশাদের এ পদক্ষেপটিকেই গণমাধ্যমের খবরে ‘মধ্যরাতের নাটক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে, রওশন এরশাদকে একেবারে ছাঁটাই বা বিদায় না করা হলেও জিএম কাদেরকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে পদোন্নতি দিয়েছেন এরশাদ। গত ৪ মে মধ্যরাতে নিজের বাসভবনে জরুরিভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরকে এরশাদ শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার পদে নিযুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তই জানাননি, একই সঙ্গে ঘোষণা করেছেন, তার অবর্তমানে অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও হবেন জিএম কাদের। এ প্রসঙ্গে কৌতূহলোদ্দীপক অন্য কিছু তথ্যও জানা গেছে গণমাধ্যমের খবরে। তেমন একটি খবরে জানানো হয়েছে, এরশাদের বার্ধক্য ও মারাত্মক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে জিএম কাদের আসলে নাকি ‘মিডনাইট ক্যু’ বা মধ্যরাতের অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন— যেভাবে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদ নিজেও অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। দুজনের মধ্যে পার্থক্য হলো, সেবারের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাশাপাশি একই সঙ্গে গণতন্ত্রেরও সর্বনাশ ঘটিয়েছিলেন। অন্যদিকে জিএম কাদের দখল করেছেন জাতীয় পার্টির সকল ক্ষমতা। এরশাদের সামনে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল বিএনপি, আর জিএম কাদেরের প্রধান এবং একমাত্র প্রতিপক্ষ হলেন রওশন এরশাদ।

জাতীয় পার্টি এবং এরশাদকে বিষয়বস্তু বানানোর পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে অনির্ভরযোগ্য নেতার নাম বলতে বলা হলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম না বলে উপায় পাওয়া যাবে না। সাবেক এ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে ‘বড় সাধের’ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী মহাজোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেই এরশাদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়াটা অনুচিত, যেগুলো খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে তার বহুবার উচ্চারিত একটি ঘোষণা— যার মূলকথা হলো, দেশে সংসদ নির্বাচন হলে তার দল জাতীয় পার্টিই ক্ষমতায় আসবে। আসবেও এককভাবেই। উল্লেখ্য, এই ঘোষণা তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাক্কালে যেমন, তেমনি গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালেও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি শুধু অংশই নেয়নি, সংসদে প্রধান বিরোধী দলের অবস্থানও অর্জন করেছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে এরশাদের ‘কপাল’ সম্পূর্ণ খোলেনি। কারণ দশম জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ তাকে দলের অন্যদের সঙ্গে নিতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এরশাদের ‘ফার্স্ট লেডি’ রওশনসহ ২৮৪ জন ‘নবনির্বাচিত’ সংসদ সদস্য যেখানে দল বেঁধে ৯ জানুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন, এরশাদ সেখানে শপথ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ১১ জানুয়ারি।

শপথ নেওয়ার খবরটুকুকে পৃথকভাবে উল্লেখের বিশেষ কারণ হলো, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে অনেক নাটকীয়তা করেছিলেন এরশাদ। আওয়ামী মহাজোটের দ্বিতীয় প্রধান দলের চেয়ারম্যান হলেও এবং তার দলের কয়েকজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের প্রাক্কালে গঠিত ‘সর্বদলীয়’ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টার পদে নিযুক্তি নিলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন এরশাদ। তিনি সেই সঙ্গে জাপার যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের উদ্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছিলেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বলেছিলেন পদত্যাগ করতে। হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণ জানাতে গিয়ে এরশাদ বলেছিলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেহেতু দশম সংসদের এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বরং একতরফা নির্বাচন হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।

আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণকারী একমাত্র বড় দল হওয়ায় এরশাদের এই বর্জনের ঘোষণায় আলোড়ন উঠেছিল। তার নির্দেশে দুইশ’র বেশি দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করেছিলেন। এরশাদ নিজেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সশরীরে উপস্থিত না হওয়াসহ কিছু ‘টেকনিক্যাল’ কারণ দেখিয়ে তার সে আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। ফলে এরশাদ নিজে না চাইলেও লালমনিরহাটে তিনি প্রার্থী হিসেবে থেকে গিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদকে আগেই ঢাকার একটি আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেখানে এরশাদ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচত’ হয়েছিলেন।

সেবার এরশাদ এবং জাতীয় পার্টিকেন্দ্রিক নাটক জমিয়ে তোলার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন রওশন এরশাদ। অনেকটা আকস্মিকভাবে পর্দার অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া করেই জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে দেননি রওশন। চিকিৎসার নামে এরশাদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রওশনই দলের গুরুত্বপূর্ণ সব নেতাকে পরিচালনা করেছেন। তারা সবাই মিলে চেয়ারম্যান এরশাদের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনের মাঠে থেকে গেছেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া থেকে শপথ বাক্য পাঠ করা পর্যন্ত দৃশ্যত নাটকীয়তা যথেষ্ট থাকলেও জনগণ কিন্তু এরশাদকে বিশ্বাস করতে পারেনি। এর কারণ, সাবেক এই স্বৈরশাসক সময়ে সময়ে আরো অনেক নাটক করেছেন, বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন তার ‘ডিগবাজির’ জন্য। এ ধরনের চটকদার ও বাহারি কথাবার্তা ও ঘোষণার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনের লাইমলাইটেও এসেছিলেন এরশাদ। কিন্তু মাস না পেরোতেই রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘সর্বদলীয়’ সরকারে ঢুকে পড়েছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যে আটজনকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এরশাদ একাই পেয়েছিলেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পাঁচটি পদ। তার দলের একজন উপদেষ্টাও হয়েছিলেন। এরশাদের ভাই জিএম কাদেরও মন্ত্রীর পদে বহাল থেকেছেন। ফলে বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, কত বেশিজনকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করা হবে তা নিয়েই এতদিন দরকষাকষি করেছেন এরশাদ। বলা হয়েছিল, এটা ছিল তার আরো একটি ‘ডিগবাজি’।

‘ডিগবাজি’ তিনি আরো কয়েকবারও খেয়েছেন। কিন্তু একটি বিষয়ে পেরে ওঠেননি এরশাদ। সেখানে কঠিন প্রতিবন্ধক হয়ে থেকেছেন তারই এককালের ‘ফার্স্ট লেডি’ রওশন এরশাদ। সংসদে বিরোধী দলের নেতার আসন থেকে বহু চেষ্টা করেও রওশনকে সরাতে পারেননি এরশাদ। সে কারণে রওশন এবং এরশাদের মধ্যে প্রকাশ্যে সংঘাত হয়েছে। রওশন এমনকি জাতীয় পার্টির নেতৃত্বও দখল করতে চেয়েছেন বলে প্রচারণা রয়েছে। কখনো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে দেখা গেছে তাকে। কখনো আবার এমন ঘোষণাও প্রচারিত হয়েছে যে, এরশাদের অবর্তমানে রওশনই হবেন জাতীয় পার্টির সর্বেসর্বা।

এমন এক অনিশ্চিত ও রহস্যপূর্ণ অবস্থার মধ্যে হঠাৎ এক রাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে জিএম কাদেরকে উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছিল। কারণ পদটির অন্য দাবিদার রওশন এরশাদকে ওই সংবাদ সম্মেলেনে দেখা যায়নি। দলীয় রাজনীতিতেও তাকে দেখা যাচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরে। এরই মধ্যে কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়া রওশনের স্থলে জিএম কাদেরকে নিজের উত্তরসূরি বানানোর মধ্য দিয়ে এরশাদ একই ঢিলে অনেকগুলো পাখি মারতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সব সময় বেশি খেলেছেন বলেই জীবনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে চেষ্টা করলেও এরশাদের পক্ষে আর ‘খেলা’ সম্ভব নয়। কারণ শুধু বয়সের ভারেই ন্যুব্জ হয়ে পড়েননি তিনি, রোগাক্রান্তও হয়েছেন মারাত্মকভাবে। এখন তাই তার পক্ষে আর রাজনৈতিক অর্থে ‘খেলাধুলা’ করা সম্ভব নয়।

জীবনের বর্তমান পর্যায়ে তার দরকার ছিল এমন একজন কিংবা কয়েকজন নেতা ও সহযোগীর, যারা জাতীয় পার্টিকে এরশাদের চিন্তাধারা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু দলের ভেতরে স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকে ‘আমার পার্টি’তে পরিণত করার মাধ্যমেও এরশাদ নিজেই তেমন সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করেছেন।

বলা হচ্ছে, এখন জাতীয় পার্টির সামনে ভাঙন ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। কারণ এরশাদ মনোনীত জিএম কাদেরকে রওশন এবং তার সমর্থকরা মেনে নেবেন না। অন্যদিকে জিএম কাদেরের লোকজনও রওশনের নেতৃত্ব ও আদেশ মেনে নিতে সম্মত হবেন না। পরিণতিতে ভাঙন ঘটবে জাতীয় পার্টিতে। এটাই অবশ্য এরশাদের মতো একজন সাবেক স্বৈরশাসকের জন্য স্বাভাবিক প্রাপ্য— যিনি একটি রাজনৈতিক দলকে ‘আমার পার্টি’ বানিয়ে ফেলেছিলেন!

 

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads