• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কাল শপথ নিচ্ছেন মনসুর-মোকাব্বির

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান

ছবি : সংগৃহীত

সংসদ

কাল শপথ নিচ্ছেন মনসুর-মোকাব্বির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ মার্চ ২০১৯

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান। এদিন বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে নির্বাচিত এ দুই সংসদ সদস্যকে শপথ পড়ানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্পিকারের একান্ত সচিব মো. কামাল বিল্লাহ বলেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক চিঠি নির্বাচিত দুই এমপির কাছে পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার স্পিকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে গণফোরামের দুই এমপি ৭ মার্চ শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ জানান।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের গণফোরামে নাম লেখান সুলতান মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্ল্যাটফর্মে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন সুলতান মনসুর।  গণফেরামের আরেক প্রার্থী মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসন থেকে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী না থাকায় বিএনপির সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি।

এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেছে তারা। দলটির নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেন শুরুতে তার দলের দুই নেতার শপথের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর বদলায়।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, তারা শপথ নিতে গেলে অবশ্যই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। দলীয় সিদ্ধান্ত ও আইনগত সিদ্ধান্ত যা নেওয়া দরকার, সেগুলো আমরা নেব। যারা যাচ্ছে তাদের মাথা খারাপ। নাহলে যেখানে মূল দল বলছে না যাওয়ার কথা, সেখানে দলের পরিপন্থী হয়ে এই কাজ করবে এটা গ্রহণযোগ্য না।

শপথ নেওয়ার বিষয়ে সুলতান মনসুরের ভাষ্য, যারা ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করেছে, তাদের মতামতের গুরুত্ব দিতেই তিনি সংসদে যাচ্ছেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি, আওয়ামী লীগের এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হন। এরপর কামাল হোসেনের সঙ্গে ভেড়েন। ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর শপথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি দাবি করেন, তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগ দেননি।

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর পদে থাকার অযোগ্য হবেন কি না, কিংবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে কি না- এ সম্পর্কিত কোনো বিতর্ক দেখা দিলে বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে এবং এক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বিবেচিত হবে।

৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তবে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।

সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান দল থেকে পদত্যাগ করেননি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদে যোগ দিলে এবং ওই অবস্থায় দল তাদের বহিষ্কার করলে পরিণতি কী হবে, সে বিষয়ে আইনে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads