• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
নামাজ কেন এবং কীভাবে ফরজ হলো

মিরাজের শ্রেষ্ঠ উপহার নামাজ

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

নামাজ কেন এবং কীভাবে ফরজ হলো

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির একটি হচ্ছে সালাত বা নামাজ। পাঁচটি মূল ভিত্তির একটি কালেমার পরই নামাজের অবস্থান। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হচ্ছে উম্মতে মোহাম্মদির ওপর ফরজ ইবাদাত। মহানবী (সা.) তাঁর হাদিসে নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি।’

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় হজরত জিবরাইল (আ.) ও হজরত মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণসহ মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ ও জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে ফিরে আসেন। মহানবী (সা.) সশরীরে মিরাজে গেছেন। কিন্তু আল্লাহপাক মানুষের জন্য মিরাজের দরজা নামাজের মাধ্যমে খোলা রেখেছেন। মুমিনের মিরাজই হলো নামাজ। এ নামাজেই মানুষ আল্লাহর দিদার লাভ করতে সক্ষম।

মিরাজের শ্রেষ্ঠ উপহার নামাজ। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর ভয় এবং মহব্বত বাস্তবায়ন করা হলে, তখনই মানুষের ইহকাল ও পরকাল হবে সার্থক। পবিত্র আরশে গিয়ে নবী (সা.) আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হন। যেমনটি কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তিনি যা দেখেছেন অন্তর তাকে অস্বীকার করেনি (সুরা নজম, আয়াত ১১)। অন্য আয়াতে আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেছেন, তাঁর দৃষ্টি বক্র হয়নি এবং লক্ষ্যচ্যুত হয়নি (সুরা নজম, আয়াত ১৭)।

আল্লাহপাকের এই দিদারের পরে আল্লাহ তার প্রিয় হাবিবকে (সা.) উপহারস্বরূপ ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ (অবশ্য পালনীয়) হিসেবে পালন করার আদেশ করেন। আমাদের নবী যখন এই আদেশ নিয়ে ফিরছিলেন, তখন মুসা (আ.) জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ তাঁকে উপহারস্বরূপ কী দান করেছেন। জবাবে আমাদের নবী (সা.) ৫০ ওয়াক্ত নামাজের কথা বলেন। তখন তিনি আমাদের নবীর উম্মতের কথা বিবেচনা করে নামাজের পরিমাণ কমানোর সুপারিশের কথা বলেন। তখন আমাদের নবী আল্লাহর কাছে আবার ফিরে যান এবং নামাজ কমানোর দরখাস্ত করেন।

আল্লাহপাক নামাজের পরিমাণ কমিয়ে ৪০ ওয়াক্ত করে দেন। এ আদেশ নিয়ে ফেরার সময় মুসা (আ.) আবারো জানতে চান। সব শুনে তিনি পুনরায় নামাজ কমানোর পরামর্শ দেন। এভাবে কয়েকবার সুপারিশ করার পর নামাজের পরিমাণ কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত করা হয় ও এর বিনিময়ে মহান আল্লাহতায়ালা ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব দানের প্রতিশ্রুতি দেন। উম্মতে মোহাম্মদির ওপর এভাবেই নামাজ ফরজ হয়।

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads