• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহপাকের প্রিয় বান্দাগণের অভ্যাস

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৮

মো. এহছানুল হক মোজাদ্দেদী

শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ হলো আম্বিয়াগণের সুন্নাত। আল্লাহপাকের প্রিয় বান্দাগণের অভ্যাস। আর আল্লাহর সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপন তথা নৈকট্য ও সন্তোষ অর্জনের অন্যতম পন্থা। তাহাজ্জুদের ফজিলত প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন; এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৭৯)। তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, ‘তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদের যে রুজি দিয়েছি, তা থেকে তারা দান করে।’ (সুরা : সেজদা, আয়াত : ১৬)।

তাহাজ্জুদ নামাজ নফসের রিয়াজাত ও তরবিয়াতের এক বিশেষ মাধ্যম। কারণ প্রভুর প্রেমে গভীর রাতে সুখশয্যা ত্যাগ করেই আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হতে হয়। এ নামাজ মন ও চরিত্রকে নির্মল করে, পবিত্র করে এবং সত্য পথে অবিচল রাখে। পবিত্র কোরআনের সুরা মুজ্জাম্মিলে এর উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কোরআন পাঠ বা জিকির খুবই যথার্থ।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৬)।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ী হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল যে, তারা রাতের শেষ ভাগে আল্ল­াহ তায়ালার দরবারে চোখের পানি ফেলতেন আর ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। যেমন- কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা ছিল কঠিন পরীক্ষায় পরম ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল, সত্যের অনুসারী, পরম অনুগত। আল্লাহর পথে ধন-সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী (সুরা : আল ইমরান, আয়াত : ১৭)।

প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর হাদিস শরিফেও তাহাজ্জুদের নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লে­খ করা হয়েছে। একটি হাদিসে এসেছে, “আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি ‘আফজালুস সালাতি বাদাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি।’ অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ।” হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্ল­াহপাক প্রতিরাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন, যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ আবশ্যিক। তিনি তখন বলতে থাকেন, কে আছ যে আমায় ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব। কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বোখারি ও মুসলিম)।

লেখক : গবেষক ও মুফাসসিরে কোরআন

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads