• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান

  • ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৮

ইসলাম আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা; বিনা দ্বিধায় তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবনযাপন করা। আর যিনি ইসলামের বিধান অনুসারে জীবনযাপন করেন, তিনি হলেন মুসলিম বা মুসলমান।

ইসলাম আল্লাহপাকের মনোনীত একমাত্র ‘দ্বীন’, যা একটি পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত এ ব্যবস্থার আলোকে একজন মুসলমানকে জীবনযাপন করতে হয়। ইসলামে রয়েছে সুষ্ঠু সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থ ব্যবস্থা। আরো আছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা। মানব চরিত্রের উৎকর্ষসাধন, ন্যায়নীতি ও সুবিচারভিত্তিক শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ গতিশীল সুন্দর সমাজ গঠন এবং সংরক্ষণে ইসলামের কোনো বিকল্প নেই, হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাপাক ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)। অন্য একটি আয়াতে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৮৫)।

হাদিস শরিফে ইসলামের একটি সংজ্ঞা ও পরিচিতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলাম হলো, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রসুল বলে সাক্ষ্য দেওয়া, সালাত আদায় করা, জাকাত প্রদান করা, রমজানের রোজা পালন করা এবং সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহ শরিফে গিয়ে হজ আদায় করা।’ (বোখারি ও মুসলিম)।

বস্তুত ইসলামই সব নবী-রসুলের অভিন্ন ধর্ম। হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত আগমনকারী সব নবী-রসুলই মানুষকে ইসলামের দিকেই আহ্বান করেছেন এবং এরই ভিত্তিতে নিজ নিজ উম্মতকে গড়ে তুলেছেন।

হজরত ইব্রাহীমই (আ.) সর্বপ্রথম নিজ ধর্মের নাম ইসলাম এবং তার উম্মতকে ‘উম্মাতে মুসলিম’ বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে বিষয়টিকে আল্লাহপাক তুলে ধরেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে মুসলিম তথা তোমার অনুগত বানাও এবং আমাদের বংশধর হতেও এক

উম্মাতে মুসলিম অর্থাৎ তোমার এক অনুগত উম্মত বানাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৮)।

হজরত ইব্রাহীম (আ.) তার সন্তানদের প্রতি অসিয়ত করে বলেন, ‘তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ কর না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৩২)।

মোটকথা, নবী-রসুলগণের প্রচারিত ধর্মে মৌলিক কোনো পার্থক্য ছিল না। কিন্তু প্রত্যেকের শরিয়ত ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আল কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫:৪৮)।

 

লেখক : আলেম ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads