• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

বন্ধুতা ও নৈতিকতা

  • এ জে ইকবাল আহমদ
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

পবিত্র ধর্ম ইসলামে বন্ধু নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বন্ধু হতে হবে ধর্মের নীতি অনুযায়ী। সমাজে বর্তমানে ধার্মিকতা কমে গেছে। মুমিনের বন্ধু যেন মুমিনই হয়। ভালো ও চরিত্রবান লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। কারণ উত্তম চরিত্র ধর্মেরই অংশ।

কালামে পাকে বর্ণিত আছে, ‘তোমরা মুমিনদের ছেড়ে কাফেরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তাহলে খোদা তোমাদের ধৃত করবেন।’ আল্লাহ পৃথিবীর সব বস্তু সৃষ্টি করেছেন, যেগুলো বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।

হজরত (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির মন্দ স্বভাবের জন্য মানুষ তাকে ছেড়ে দূরে চলে যায়, সে খোদার দৃষ্টিতে এক ঘৃণিত ব্যক্তি বলে গণ্য হয় এবং এও বলেছেন, নিজেদের মধ্যে হাসিমুখে মেলামেশা করাও আল্লাহর কাছে পুণ্যের কারণ হয়। পবিত্র লোকের সাহচর্য উত্তম চরিত্র লাভের উপায়। প্রত্যেক যুগে পুণ্যবান লোকেরা নিজেদের সন্তানদের এবং স্ত্রীদের পুণ্য সাহচর্য অবলম্বন করতে উপদেশ দিয়েছেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও’ (৯:১১৯)। ওই লোকদের সাহচর্য অবলম্বন কর, যারা কথায় ও কাজে ন্যায়পরায়ণ। নেক সাহচর্য চুম্বকের মতো এক আকর্ষণীয় শক্তি যা আধ্যাত্মিক প্রভাব সৃষ্টি করে।

হজরত (সা.)-এর সাহচর্য চুম্বকের মতো শক্তিশালী ছিল বলেই সাহাবায়ে কেরামরা সব পংকিলতা থেকে দূরে থাকতে পেরেছিলেন। মুমিনের বন্ধু মুমিনই হবে।

সাধারণত যে যেমন তার বন্ধু-বান্ধবও তেমনই জোটে থাকে। বন্ধুর সঙ্গে সুদিনে এবং দুর্দিনে সম্পর্ক রাখতে হবে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘সেদিন একমাত্র মুত্তাকিরা ছাড়া অন্য বন্ধুরা একে অপরের শত্রু হবে। যদিও আমাদের বন্ধুদের অবস্থা পরস্পরকে দেখানো হবে’ (৪৩:৬৮)।

বন্ধুতা হলো আত্মার সঙ্গে আত্মার মিল। যেখানে আত্মাই মেলে না, সেখানে সম্পর্ক কীভাবে মজবুত হবে! তবু আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমরা যেন বন্ধু নির্বাচনের সময় ইসলামের নীতিগুলো মেনে চলি। বন্ধু নির্বাচনের সময় বিত্ত বা প্রতিপত্তি নয়, যেন নৈতিকতার দিকটি বেশি দেখি।

আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন। আমিন।

 

লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads