• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে রোজা। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্যই পবিত্র রমজানের পুরো মাস রোজা পালন করা ফরজ। বিশুদ্ধভাবে রোজা পালন করতে হলে শরিয়তে এমন কতগুলো কাজ রয়েছে যা রোজার দিন ছাড়া বৈধ; কিন্তু রোজা পালনরত অবস্থায় সেগুলো করলে রোজা ভেঙে যাবে বা রোজা হবে না। যেমন, ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। আসুন আমরা জেনে নেই কী করলে বা কোন কোন কাজে রোজা ভঙ্গ হয়—

১. কোনো ব্যক্তি যদি রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয়, তাহলে তার বীর্যপাত হোক আর নাই হোক; তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ২. সহবাস ব্যতীত অন্য পন্থায় যদি কোনো রোজাদার যৌনস্বাদ নেওয়ার জন্য স্পর্শকাতর কোনো যুবতী যৌবনা নারী সংস্পর্শে আসে— তাকে চুম্বন করে; জড়িয়ে ধরে অথবা হস্তমৈথুন করে ইত্যাদির মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটায় তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। ৩. পানাহার বা নাক দিয়ে খাদ্য গ্রহণ। সেটা উপকারী হোক বা অপকারী হোক; হালাল হোক বা হারাম হোক; অল্প হোক বা বেশি হোক তাতে রোজা ভেঙে যাবে। ৪. রোজাদার যদি পানাহারের বিকল্প উপায়ে খাবার গ্রহণ করে, যেমন রক্ত গ্রহণ, শক্তিবর্ধক স্যালাইন গ্রহণ, এমন ইঞ্জেকশন যা আহারের কাজ করে অর্থাৎ গ্লুকোজ ইনজেকশন ইত্যাদি। ৫. ইচ্ছাকৃত বমি করা। রসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে সে যেন পরবর্তীতে রোজা কাজা করে নেয়। ৬. মহিলাদের হায়েজ (ঋতু) ও নেফাস (প্রসবজনিত রক্তক্ষরণ) হওয়া, এমনকি যদি ইফতারের কিছু সময় পূর্বেও হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। ৭. দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে কি হবে না তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে; তবে আসল কথা হলো দিনের বেলায় রোজা থাকা অবস্থায় এ কাজ না করাই উত্তম। ৮. নিয়ত রোজার অন্যতম শর্ত। আর সারা দিন সে নিয়ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনে জাগ্রত রাখতে হবে যে, আমি রোজাদার। কেউ রোজা না রাখার নিয়ত করলে অথবা তার নিয়ত বাতিল করলে সারা দিন পানাহার না করে উপবাস করলেও রোজা বাতিল বলে গণ্য হবে। ৯. কোনো রোজাদার যদি তার কোনো কথা, কাজের কারণে মুরতাদ (কাফের) হয়ে যায় তবে ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মতিক্রমে তার রোজা বাতিল হয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি তাওবা করে পুনরায় মুসলিম হয়, তাহলে ঐ রোজা তাকে কাজা করতে হবে; যদিও সে ঐ দিন রোজা নষ্টকারী কোনো কাজ বা কোনো জিনিস ব্যবহার করেনি। ১০. রোজাদার যদি ফজর থেকে নিয়ে মাগরিব পর্যন্ত বেহুঁশ থাকে, তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে না এবং তাকে ঐ দিনের রোজা কাজা আদায় করতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সঠিক নিয়মে রোজা পালন করে রোজার ফজিলত হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads