• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রমজানে বিশেষ কিছু আমল

ছবি : সংগৃহীত

ধর্ম

রমজানে বিশেষ কিছু আমল

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৯

রমজানুল মোবারক হলো মুমিন বান্দার জন্য মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের আহ্বান। কোরআন ও হাদিসের ভাষ্যমতে, রমজান পাপমোচন ও আল্লাহর রহমতের বারিধারায় সিক্ত হওয়ার মাস এবং মৃত্যু-পরবর্তী অনন্ত জীবনের জন্য সুখসৌধ নির্মাণের মাস। তাই একজন মুমিনের জন্য আবশ্যক কর্তব্য হলো, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পবিত্র রমজানে সব ধরনের গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা এবং পুণ্য কাজে আত্মনিয়োগ করা। গতকালের লেখায় নামাজের আগে ও পরে দৈনন্দিন আমলের একটা সূচি তুলে ধরেছিলাম। আজকের লেখায় হাদিসে বর্ণিত এ মাসের বিশেষ কিছু আমল সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।

রোজা রাখা : রমজান মাসের প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ইখলাসপূর্ণ রোজা রাখা। বুখারি সূত্রে বর্ণিত, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা ঈমান, সওয়াব, ইখলাসের উদ্দেশ্যে রাখবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে জানিয়েছেন রসুল (সা.)।

সদকা-খয়রাত ও রোজাদারকে ইফতার করানো : রসুল (সা.) বলেন, ‘রমজানের সদকা সবচেয়ে উত্তম সদকা।’ তিনি (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সেও রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। রোজাদারের সওয়াব মোটেও কমানো হবে না।’

তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ আদায় : মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাব তথা ঈমান, ইখলাছের সঙ্গে রমজান মাসে কিয়ামুল লাইল তথা তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার পেছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

কোরআন তিলাওয়াত : হজরত জিবরাইল (আ.) রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে রসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং রসুল (সা.) তাকে কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করে শোনাতেন। (বুখারি)।

হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করা : ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হালাল রুজি। আহার ও রুজি হারাম হলে আল্লাহর দরবারে তার কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য হয় না।

দোয়া ও ইস্তেগফার করা : হাদিসে বর্ণিত, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও স্বীয় গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না তার ওপর আল্লাহর অভিশাপ।

ইতেকাফ করা : বুখারি শরিফে বর্ণিত, হুজুর (সা.) প্রত্যেক রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছরও বিশ দিন ইতেকাফ করেন।

শবেকদর তালাশ করা : রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে শবেকদর তালাশ কর।’ অপর এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাছের সঙ্গে শবেকদরের নফল আদায় করল তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

রমজান মাসে প্রত্যেক আমলের পরিবর্তে কমপক্ষে সত্তর গুণ বেশি সওয়াব প্রদান করা হয়। সুতরাং রমজান মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার এবং অধিক পরিমাণ নেক আমল করার দৃঢ় প্রত্যয় করতে হবে। মহান মাবুদ আমাদের তাওফিক দিন।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads