• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
নামাজ কাদের ওপর ফরজ

প্রতীকী ছবি

ধর্ম

নামাজ কাদের ওপর ফরজ

  • আবু রোকাইয়া
  • প্রকাশিত ০৪ মার্চ ২০২০

একজন মানুষ ঈমান আনার পরে যে কাজটি তার জন্য প্রথম ফরজ হয়ে যায়, তা হচ্ছে নামাজ পড়া। নামাজ এমন এক ইবাদত, যা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর প্রতিদিন পাঁচবার আদায় করা আবশ্যক। যতক্ষণ একজন ব্যক্তির হুঁশ থাকে, ততক্ষণ তাকে নামাজ আদায় করতেই হবে; তা সে যতই অসুস্থ থাকুক না কেন। দাঁড়িয়ে না পারলে বসে, বসে না পারলে শুয়ে, শুয়ে না পারলে ইশারা-ইঙ্গিতে হলেও নামাজ অবশ্যই পড়া চাই। ইসলামের অন্যান্য ইবাদত অসুস্থতার কারণে ছাড়া যায়; এই ক্ষেত্রে শুধু নামাজই ব্যতিক্রম। ওজুর পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলে মাটি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে হলেও নামাজ পড়তে হবে। ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে জিহাদ বা যুদ্ধ। এই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ও নামাজ কাজা করার সুযোগ দেয়নি ইসলাম।

নামাজকে মুমিন ও কাফেরের মাঝে পার্থক্যকারী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, বান্দা এবং কুফুরির মধ্যকার পার্থক্য হলো নামাজ (মুসলিম)। আর কোনো আমলের ব্যাপারে বলা হয়নি যে, তা আদায় না করলে কাফের হয়ে যাবে। শুধু নামাজের ব্যাপারেই বলা হয়েছে, যে ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল, সে কুফুরি করল। বলা হয়েছে, যে আমাদের নামাজের মতো নামাজ আদায় করবে, আমাদের কিবলাহকে কিবলাহ মানবে এবং আমাদের জবাইকৃত পশুর গোশত আহার করবে, সেই মুসলিম; তার জন্য আল্লাহ এবং তার রাসুলের জিম্মা রয়েছে, তোমরা আল্লাহর জিম্মায় হস্তক্ষেপ করবে না।

ইসলামের বিধানগুলোর মধ্যে নামাজই ব্যতিক্রম। কমবেশি সব ইবাদতই ছাড়া যায়। কিন্তু নামাজ ছাড়ার কোনো বিধান নেই। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলেও তাকে নামাজ পড়তে হবে। এমনকি যদি কেউ বেহুঁশ থাকে তাহলেও তাকে সেই সময়ের নামাজ আদায় করতে হবে, যখন সে সুস্থ হয়ে উঠবে।

সেইসঙ্গে নামাজ শুধু আদায় করলেই হবে না বরং নামাজের মাসায়েল মোতাবেক নামাজের রোকনগুলো আদায় করার পাশাপাশি অন্তরের ইখলাস এবং নামাজের প্রতি মোহাব্বত নামাজের পূর্ণাঙ্গতার জন্য অপরিহার্য। আল্লাহর নৈকট্য ও মোহাব্বত লাভের এবং প্রেমাস্পদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথোপকথনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম নামাজ। আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘আমাকে স্মরণ করার জন্য নামাজ পড়ো’ (সুরা ত্বহা : ১৪)।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads