• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

যে কোনো মুহূর্তে পৃথিবীতে পড়বে চীনা স্পেস ল্যাব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩১ মার্চ ২০১৮

কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাঁই সাঁই করে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে ‘তিয়াংগন-১’। চীনের পাঠানো মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা স্পেস ল্যাব হলো এই ‘তিয়াংগন-১’।

শনিবার কিংবা রবিবারের মধ্যেই তা ভেঙে পড়বে পৃথিবীতে। তবে ঠিক কোন জায়গায়, ঠিক কোন সময় তা ভেঙে পড়বে পৃথিবীতে, আছড়ে পড়বে পৃথিবীর কোথায়, কোন প্রান্তে, তা কিন্তু কেউই জানেন না। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এ খবর জানিয়েছে।

তবে কখন, কোথায় তা ভেঙে পড়বে তা বলা যাচ্ছে না কারণ, কক্ষপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে পৃথিবীর দিকে হু হু করে ছুটে আসা ওই চিনা স্পেস ল্যাবের সঙ্গে গ্রাউন্ড স্টেশনের সব যোগাযোগই ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ৪০ ফুট লম্বা ‘তিয়াংগন-১’ এখন আক্ষরিক অর্থেই লাগামহীন!

‘এসা’ জানাচ্ছে, ‘তিয়াংগন-১’-এর শেষ যে গতিবেগ মাপা সম্ভব হয়েছিল, এখনও যদি তা-ই থাকে, তা হলে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ওই চীনা স্পেস ল্যাব আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাটিতে বা সমুদ্রের জলে পড়ার আগেই তা বায়ুমণ্ডলের সংঘর্ষে ভষ্মীভূত হয়ে যাবে এটা।

তবে চীনের ম্যান্‌ড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অফিস জানাচ্ছে, ওই স্পেস ল্যাব ভেঙে পড়তে পারে ১ বা ২ এপ্রিল। এর আগে ভাবা হয়েছিল তা পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ৪ তারিখের মধ্যে।

ওই চীনা স্পেস ল্যাবের আরেকটি নাম ‘হেভেনলি প্যালেস’। চীন যে নিজেদের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে ২০২২ সালের মধ্যে। তার ‘প্রোটোটাইপ’ হিসাবে এই স্পেস ল্যাবটি উৎক্ষেপণ করেছিল ২০১১ সালে। তবে ২০১৬ সালের মার্চ থেকেই ওই স্পেস ল্যাবের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে চিনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল।

এর আগে ১৯৭৯ সালে নাসার স্পেস স্টেশন ‘স্কাইল্যাব’ ভেঙে পড়েছিল। আর ২০০১ সালে ভেঙে পড়েছিল রাশিয়ার ১৩৫ টন ওজনের ‘মির স্টেশন’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads