• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সূর্যের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীতে আলোর যাত্রা

আলোক কণা সৌরপৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে

ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সূর্যের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীতে আলোর যাত্রা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৮

সূর্যের কেন্দ্রে অবিরাম নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার কারণে সেখানে প্রতিনিয়ত উৎপন্ন হচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন তাপমাত্রা এবং বিপুল শক্তি। তেমনি সূর্যের তেজ বা জীবন এই ফিউশন বিক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল।

সূর্য গাঠনিকভাবে কেন্দ্রীয় অঞ্চল, বিকিরণ অঞ্চল, পরিচলন অঞ্চলে বিভক্ত। কেন্দ্রীয় অঞ্চলে সূর্যের জ্বালানি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বাকি অঞ্চলগুলো কেন্দ্রে উৎপন্ন ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন তাপমাত্রাকে বাইরে ছড়িয়ে দেয়। ফিউশন বিক্রিয়ায় সূর্যের কেন্দ্রে উৎপন্ন এই শক্তি সূর্যের বহিরাংশের দিকে ফোটন তথা তড়িচ্চুম্বক তরঙ্গ হিসেবে আলোক কণা সৌরপৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা জানি, সূর্যের কেন্দ্রের ঘনত্ব পানির ঘনত্বের ১৫ গুণ বেশি। আবার সূর্যের বিষুবীয় অঞ্চল বরাবর মোট ব্যাসার্ধ ৬,৯৫,৭০০ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর মোট ব্যাসার্ধের ১০৯ গুণ। সূর্যের কেন্দ্রে উৎপন্ন তাপ ও আলোকে এই বিশাল অঞ্চল পাড়ি দিতে হয়। আমরা পৃথিবীতে বসে আজকে যে আলো পাচ্ছি তা কয়েক লাখ বছর পূর্বে সূর্যের কেন্দ্রের ফিউশন বিক্রিয়ার ফল। বিকিরণ অঞ্চলকে পাড়ি দিতে একটি গামা রশ্মির তথা ফোটন কণার গড়ে ১,৭১,০০০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ বছর সময় লাগে, আর সৌর পৃষ্ঠ হতে পৃথিবীতে আসতে লাগে মাত্র সোয়া আট মিনিট।

সূর্যের কেন্দ্রকে ঘিরে রাখা প্লাজমার (ইলেকট্রন ও আয়নের মিশ্রণ) ঘনত্ব অনেক বেশি। তাই তো ফিউশন বিক্রিয়ায় নির্গত গামা রশ্মি (ফোটনের সর্বনিম্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য) খুব কম দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার পূর্বে ইলেকট্রন দ্বারা শোষিত হয়। এই ইলেকট্রনগুলো শোষিত ফোটনকে সকল দিকে পুনরায় নির্গমন করে, কিন্তু এই ঘটনায় কিছু পরিমাণ শক্তি খোয়া যায়। পরবর্তী সময়ে এই ফোটনগুলো বিকিরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads