• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উদ্ভিদের দেহঘড়ির ‘ব্যাটারি’ চিনি

উদ্ভিদ সব সময়ই তার কোষে জমা হওয়া চিনি পরিমাপ করে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

উদ্ভিদের দেহঘড়ির ‘ব্যাটারি’ চিনি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

প্রাণীর মতো গাছের জীবনেও সকাল হয়, সন্ধ্যা নামে। দিন-রাতের চক্রের সঙ্গে মানিয়ে চলতে নিজের শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহঘড়ির সঙ্গেও সমন্বয় করতে হয়। আর এই সমন্বয় করতে গিয়ে উদ্ভিদের সময় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়, গুনতে হয় ঘড়ির কাঁটাও। অথচ আলোকমুখিতার স্বভাবের কারণে উদ্ভিদ সারা দিন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকলেও সূর্যঘড়ি বোঝে না, চিনে না কাঁটার ঘড়ি বা আধুনিক স্মার্টওয়াচ। তাহলে গাছেরা দেহঘড়ির সঙ্গে দিন-রাতের চক্রের সমন্বয় করে কেমন করে? এমন প্রশ্নের জবাবই মিলেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন গবেষক মিলে নতুন এক গবেষণায় দেখেছেন, দিন-রাতের চক্র ও সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহঘড়ির সঙ্গেও সমন্বয় করতে উদ্ভিদের যে সময়-জ্ঞান দরকার হয় তা আসে চিনি থেকে। অর্থাৎ উদ্ভিদ তার শরীরের কোষে চিনির উপস্থিতির ভিত্তিতে সময় টের পায়, বুঝতে পারে কোন সময়টাতে কোন কাজ করতে হবে।

প্রাণী, উদ্ভিদ, ছত্রাক ও কিছু ব্যাকটেরিয়া সার্কেডিয়ান রিদমের মাধ্যমে দিনের বিভিন্ন ভাগের সময় হিসাব করে। তাই কৃষি বা ভেষজের ক্ষেত্রে এই সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহঘড়ি কীভাবে কাজ করে সেটি জানা বেশ জরুরি। গত ২ আগস্ট কারেন্ট বায়োলজি নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে নতুন এই গবেষণার প্রতিবেদন।

গবেষণায় দেখা গেছে, আলোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে দেহে যে চিনি উৎপন্ন হয় তা উদ্ভিদ অনুভব করতে পারে। আর চিনি উৎপাদনের হারের ওপর নির্ভর করেই শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণ করে দিনের বেলায় শক্তি সংগ্রহ করে উদ্ভিদজগৎ।

এ বিষয়ে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. অ্যান্টনি ডুড বলেন, আমাদের গবেষণায় প্রথমবারের মতো সার্কেডিয়ান রিদমের কৌশল উন্মোচন করতে পেরেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করতে এই সার্কেডিয়ান রিদম কীভাবে এগিয়ে যায় বা পিছিয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, উদ্ভিদ সব সময়ই তার কোষে জমা হওয়া চিনি পরিমাপ করে। পরে সেই তথ্য আলোকে দিন-রাতের চক্রের সঙ্গে নিজেদের দেহঘড়ির সমন্বয় করে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ভিদের দেহঘড়ি সাধারণত বেড়ে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে, ফুলের গন্ধ ছড়াতে সহায়তা করে এবং রাতের জন্য খাবার সঞ্চয় করে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এই দেহঘড়ির সহায়তায় ঋতু পরিবর্তনও বুঝতে পারে গাছেরা।

অ্যান্টনি ডুড আশা প্রকাশ করেন, এই আবিষ্কার পরবর্তী সময়ে ফসল উদপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads