অনেক সঙ্গীতশিল্পীর ক্ষেত্রেই এমন হয় যে অসাধারণ গীতি কবিতার, মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো সুর সঙ্গীতে গান গাওয়ার পরও শুধুই প্রচারণার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণে সেই গানটি শ্রোতা-দর্শকের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায় না। যে কারণে অনেক শিল্পীর ভালো গান সম্পর্কে শ্রোতা-দর্শকরা অবগত থাকেন না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী প্রিয়াঙ্কা গোপ ঠিক তেমনি একটি অসাধারণ গান গেয়েছেন। গানের শিরোনাম হচ্ছে ‘ভুল’। গানটি লিখেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি কবির বকুল। গানের কথা হচ্ছে ‘ভুলতো মানুষেরই হয়, তাই বলে ভাঙবে হূদয়’। গানটির সুর সঙ্গীতায়োজন করেছেন শেখ জসীম। এরই মধ্যে গানটি চলতি সপ্তাহে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে।
গানটি প্রকাশের পর থেকে পরিচিতজনদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ। তিনি জানান, দেশের প্রতিথযশা অনেক সঙ্গীতশিল্পীও এই গানটিতে প্রিয়াঙ্কার গায়কির প্রশংসা করছেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সাধারণত আমার ক্ষেত্রে এমন হয় যে গানের কথা ও সুর সঙ্গীতায়োজন ভালো না লাগলে আমি সে গান আমার কণ্ঠে তুলি না। কিন্তু মুঠোফোনে জসীম ভাইয়ের কাছে এই গানের কথা সুর শুনেই আমার এত ভালো লেগে যায় যে আমি জসীম ভাইকে বলতে বাধ্য হই যে দ্রুত এই গানটি গাইতে চাই আমি। তারপর যা হলো তাতে সত্যিই আমি মুগ্ধ। গানটি গেয়ে আমি নিজেই ভীষণ সন্তুষ্ট। অসাধারণ গীতিকবিতা লিখেছেন বকুল ভাই, আর সত্যিই মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই সুর সঙ্গীত করেছেন জসীম ভাই। দুজনের প্রতিই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
আমার পরিচিত অনেক কণ্ঠশিল্পীই আছেন যারা আমাকে গানটির জন্য প্রশংসা করেছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা আরো বলেন, ‘এটা শিল্পী হিসেবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। শ্রোতা-দর্শকের কাছ থেকে এই গানের জন্য সাড়া পেলে আরো ভালো লাগবে। তবে এটা সত্য যে যারা ক্ল্যাসিক্যাল গান শুনতে চান তাদের কথা ভাবনায় রেখেই গানটি করেছি। আমার বিশ্বাস যারাই গানটি শুনবেন, তারাই মুগ্ধ হবেন।’
মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত ‘অনিল বাগচীর একদিন’ ছবিতে পান্থ প্রসাদের কথায় ও সানী জুবায়েরের সুর সঙ্গীতে প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি প্রথম ‘রতন’ নামে একটি শর্টফিল্মে গান করেন। এরপর তিনি ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ও ‘ঘাসফুল’ ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন।
