• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

সানাই ও তার অভিযোগ

  • সালেহীন বাবু
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিতর্কিত সানাই। কথাটি এ তারকার ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য। নিজের ব্যাপারে কম সমালোচিত হননি সানাই। নারীর শারীরিক সৌন্দর্যের জায়গাতেও এই তারকা ভেলকি দেখিয়েছেন। নিজের ব্রেস্ট ইমপ্ল্যাট করিয়েছেন। এ তথ্য আবার সবাইকে জানিয়েছেন ফলাও করে। ফেসবুকে নানা অশ্লীল ভঙ্গিমায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, যা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। এভাবেই সানাই মিডিয়াসহ সবার কাছে আলোচিত থাকতে চান। জানান এর মধ্যে তার বাগদান হয়েছে। আবার  ইশারা দেন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। পরে আবার সে খবরও অস্বীকার করেন। এভাবেই সানাই আলোচনায় থাকেন। সবাই যখন সানাইয়ের মতো বিব্রত তারকাকে ভুলে যেতে বসেছেন, আবার তারকা নতুন গল্প নিয়ে হাজির।

 এবার সানাই জানান, কিছুদিন আগে তাকে হাফিজুর রহমান শফিক নামে এক ব্যক্তি নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন সানাই।

শুধু তাই নয়, প্রমাণ হিসেবে ওই প্রস্তাবের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সানাই। তিনি বলেন, ফেসবুকে তার রিকোয়েক্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর থেকেই তার অত্যাচার শুরু হয়। আমাকে হোটেলে আসতেও প্রস্তাব দেয়। তারপরই আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। জিডি করার পর চ্যাট রিমুভ করে দেয় হাফিজুর রহমান শফিক।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সানাই লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই দেখেন তো এখানে কে রিমুভ করছে চ্যাট? কোনো আইটি স্পেশালিস্ট বা সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে যখন দেখবে তারা তো প্লেস ফাইন্ড আউট করতে পারবে যে কে কোথা থেকে চ্যাট করছে, নাকি? তখন কি মিথ্যা বলে পার পাওয়া যাবে? যাই হোক, সে এতই ভয় পাইছে যে প্রোফাইল লক করে রাখছে।’

সানাই এ বিষয়ে আরো লিখেছেন, ‘আমাকে এখন ভয় পেয়ে লাভ কী? এমন শিক্ষা দেবে আইন যে জীবনে কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারবে না! এগুলার মা, বাপ কি নাই? মেয়েদের সঙ্গে জোর করে সেক্স করতে চায়! কোন পরিবার থেকে আসছে? সেই পরিবারের কি সবাই বহুগামী? এগুলা শিক্ষা পায় কোথায়? ও ভাবছে সানাই তো অনেক বোল্ড, ওকে ডাকলেই চলে আসবে শুইতে! তোর শোয়া বের করতেছি আমি! জনমের মতো মেয়ে মানুষকে কুপ্রস্তাব দেয়া বের করতেছি! অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, না হলে এই বর্বরগুলো দুই থেকে পাঁচ, ছয়, সাত বছরের শিশুদের ধর্ষণ করবে! চিহ্নিত করুন এই বহুরূপী ধর্ষকদের।’

এভাবেই সানাই তার মনোভাব ব্যক্ত করেন। সানাইয়ের এরকম প্রতিবাদী অভিযোগের প্রশংসা করেননি কেউ। অনেকে আবার মনে করছেন এটা সানাইয়ের নতুন নাটক নয়তো। কারণ বিশ্বাসযোগ্যতা একবার হারিয়ে গেলে তা আর পাওয়া যায় না। সানাই তার নিজের দোষেই মানুষের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন, বিশ্বাস হারিয়েছেন। এসব থেকে বের হতে চাইলে সানাইকে সরল পথে আসতেই হবে। কারণ বিতর্ক জন্ম দিয়ে আলোচনায় ক্ষণিকের জন্য থাকা যায়। তারকা হওয়া যায় না। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads