• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

ভারতের গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেলেন রামেন্দু মজুমদার

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৯

ভারতের গান্ধী শান্তি প্রতিষ্ঠান প্রবর্তিত গান্ধী মেমোরিয়াল শান্তি পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। গত ১০ অক্টোবর নৈহাটিতে সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখা ও টাইমস অব ইন্ডিয়া আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান রামেন্দু মজুমদারের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।

প্রবীণ মূকাভিনেতা বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীকেও এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ঐকতানের সমরেশ বসু সেমিনার কক্ষে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ড. অনিরুদ্ধ মজুমদার। রামেন্দু মজুমদার এ অনুষ্ঠানে গান্ধী স্মারক বক্তৃতাও দেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘মহাত্মা ও বঙ্গবন্ধু : অহিংসার দুই মূর্ত প্রতীক’।

প্রসঙ্গত, রামেন্দু মজুমদার খ্যাতিমান বাংলাদেশি অভিনেতা ও মঞ্চ নির্দেশক। তিনি ঢাকার মঞ্চ নাটক আন্দোলনের পথিকৃৎ। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। রামেন্দু মজুমদারের জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে। অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার তার স্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি অধ্যাপনাকে বেছে নেন পেশা হিসেবে। চৌমুহনী কলেজে বছর তিনেক অধ্যাপনার পর পেশা পরিবর্তন করে যোগ দেন বিজ্ঞাপন শিল্পে ১৯৬৭ সালে করাচিতে। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বিটপী অ্যাডভার্টাইজিংয়ে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৩-এ প্রতিষ্ঠা করেন এক্সপ্রেশানস‌। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি এবং বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা, বিবৃতির একটি ইংরেজি সংকলন সম্পাদনা করেন। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় ও নির্দেশনার কাজ শুরু করেন। ১৯৬১ সালে বেতারে ও ’৬৫ সালে টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন। মঞ্চে অভিনয় করছেন ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। দীর্ঘকাল তিনি সংবাদ উপস্থাপনা করেছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads