• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

এফডিসিতে কড়া নিরাপত্তা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এফডিসিতে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এখন এফডিসির গেট পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। আগামী ২৫ অক্টোবর এই নির্বাচন হওয়ার কথা।

এরই মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এফডিসিতে। গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের কাছে শিল্পী সমিতিতে অপমানিত হয়েছেন মৌসুমী। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার মৌসুমী এফডিসিতে বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচনী মিছিল করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।

মৌসুমী ও ড্যানিরাজের দ্বন্দ্ব্ব ও বহিরাগতদের নিয়ে মিছিলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিশা-জায়েদ প্যানেল গত বুধবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির স্টাডিরুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনারের কাছে এফডিসিতে বিশেষ নিরাপত্তা চেয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তার জন্য বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিমের সহযোগিতা চান। বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই। তাই বেশ কিছু নীতিমালাও দেওয়া হয়েছে। রাত ১০টার পর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এফডিসিতে কেউ মিছিল করতে পারবেন না। শিল্পীদের মিছিলে বহিরাগতরা অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন সুন্দর করার জন্য আমরা গেটে পুলিশ দিয়েছি। তবে এফডিসির যে কেউ প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হবে না।’

২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহসভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্ব্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্ব্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads