• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

চলচ্চিত্রে পথচলার দুই দশক

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২০

চিত্রনায়িকা শাহনূরের সিনেমায় পথচলা শুরু হয়েছে আজ থেকে দুই দশক আগে, অর্থাৎ ২০০০ সালে। সেই বছর জিল্লুর রহমান ময়না পরিচালিত ‘জিদ্দি সন্তান’ সিনেমায় অভিনয় এবং মুক্তির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে শাহনূরের যাত্রা শুরু হয়। এই সিনেমায় তিনি রুবেলের বিপরীতে অভিনয় করে শুরুতেই বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। প্রথম সিনেমায় তার অভিনয় এবং সৌন্দর্যের জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন শাহনূর। আর এর পরের পথচলাটাও খুব মসৃণ না হলেও শাহনূর তার নিজের মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে গেছেন। এখনো সিনেমাকে ভালোবাসে সিনেমাতেই বেশি অভিনয় করছেন। দেখতে দেখতে শাহনূর সিনেমায় অভিনয়ের পথচলার দুই দশকে পা দিয়েছেন।

২০২০ সাল পেরিয়ে গেলেই তিনি সিনেমার পথচলায় দুই দশক পূর্ণ করবেন। শাহনূরের বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেই মুক্তিযোদ্ধা বাবার আদর্শকে মাথায় রেখেই তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাজনীতি তার কাছে আদর্শ, আর অভিনয় তার পেশা। যে কারণে জীবনের এই সময়ে এসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে আরো ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে রেখেছেন নিয়মিত। আবার সিনেমার কাজেও ব্যস্ত থাকছেন তিনি। এরই মধ্যে পাবনা থেকে রফিক শিকদারের ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার প্রথম লটের কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে শাহনূরের বেশকিছু সিনেমা। অবশ্য দীর্ঘ দুই দশকের পথচলায় বেশকিছু ভালো ভালো গল্পের নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি।

দুই দশকের সফল পথচলা প্রসঙ্গে শাহনূর বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে বেশ ভালোভাবেই দুটি দশক সিনেমায় অতিবাহিত করেছি। আজ এই পর্যায়ে এসে আমার প্রথম সিনেমার পরিচালক ময়না ভাইয়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছে। এরপর আরো অনেকের সিনেমাতেই কাজ করেছি, অনেকেই আজ নেই। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। দীর্ঘদিনের পথচলায় সিনিয়র শিল্পীদের কাছ থেকে আমি যে সহযোগিতা পেয়েছি সেজন্য তাদের প্রতিও ঋণী। সর্বোপরি যে সব শ্রদ্ধেয় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি এবং আমার প্রতিটি সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ সংবাদমাধ্যমের প্রতিও। আমার কাজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমার মা। আমার মা সবসময়ই অনেক অনুপ্রেরণা দিতেন। তার কারণেই নিজের ভেতর শক্তি পেতাম, সাহস পেতাম। বাবাকে খুব মিস করি।’

শাহনূর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘ফাঁসির আদেশ’, ‘স্বপ্নের বাসন’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘শেষ যুদ্ধ’, ‘রাজধানী’, ‘নয়নভরা জল’, ‘প্রেম সংঘাত’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘অপহরণ’, ‘মহাতাণ্ডব’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এম এ খালেক পরিচালিত ‘ফাঁসির আদেশ’ শাহনূরের প্রথম সিনেমা। তখন তার নাম মৌসুমী থাকলেও পরিবর্তন করে পরিচালক নাম রাখেন শাহনূর। সালে এদিকে শাহনূর এরই মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন শিগগিরই নাটক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য। শাহনূর অভিনীত প্রথম নাটক ‘কুয়াশার শেষ চিঠি’। তার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোজাফফর আলী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads