• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বিরতি শেষে ফিরছেন নিপুণ

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

বিরতি শেষে ফিরছেন নিপুণ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০২০

নিপুণ। অভিনেত্রী ও মডেল। দুই বছর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে ‘বীরত্ব’ নামে নতুন সিনেমার মাধ্যমে বিরতি ভাঙলেন তিনি। বিরতির প্রসঙ্গে এই তারকা বলেন, ‘অভিনয় করব না এমন ঘোষণা কখনো দেইনি। ব্যবসায়িক কাজ নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। তার পরও যতটুকু সময় পেয়েছি, অভিনয়ের জন্য সময় বের করার চেষ্টা করেছি। সিনেমায় অভিনয় করা না হলেও নাটক ও ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। সিনেমার জন্য আসলে যে ধরনের গল্প ও চরিত্র খুঁজছিলাম, তা এতদিন পায়নি বলেই কাজ করা হয়ে ওঠেনি। একটু দেরিতে হলেও এবার পছন্দের একটি গল্পে কাজ করার হয়েছে, যে জন্য বিরতি ভেঙে আবার সিনেমায় অভিনয় শুরু করলাম।’

বীরত্ব ছবিতে নিজের চরিত্র সম্পর্কে নিপুণ বলেন, ‘আগের কোনো সিনেমার চরিত্রের সঙ্গে বীরত্বর লুৎফা চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিনেমায় ফেরার জন্য লুৎফার মতো চরিত্র খুঁজছিলাম। যে জন্য পরিচালক সাইদুল ইসলাম রানা যখন লুৎফা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন, তখন এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। গল্প, চরিত্র এবং নির্মাণ পরিকল্পনা শুনে ভালো কিছু হবে বলেই মনে হয়েছে।’

সাইদুল ইসলাম রানা এর আগে কোনো সিনেমা পরিচালনা করেননি। তার পরও বীরত্ব সিনেমা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী নিপুণ। এর কারণ হিসেবে বলেন, ‘ভালো কিংবা ভিন্ন ধরনের ছবি যেটাই বলি না কেন, তার প্রথম শর্ত গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য ভালো হতে হবে। বীরত্ব ছবির গল্প পড়েই মনে হয়েছে, এ সময়ের অন্যান্য ছবির গল্প থেকে এটি অন্য রকম। সাইদুল ইসলাম রানা এর আগে কোনো সিনেমা পরিচালনা না করলেও নির্মাণ সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারণা আছে। এর আগে ছোট পর্দার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জানেন একটি ভালো কাজের জন্য কীভাবে পরিকল্পনা সাজাতে হয়। সিনেমার পুরো টিমকে যেভাবে কাজে লাগিয়েছেন, তাতে পরিকল্পিতভাবেই কাজটি হচ্ছে। আশাবাদী হয়ে ওঠার এটাই আসল কারণ।’

বড় পর্দায় নিয়মিত হবেন কি না-প্রশ্নের উত্তরে নিপুণ বলেন, ‘সিনেমার সাফল্য বা ব্যর্থতার সঙ্গে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। যতদিন অভিনয় করব, ততদিন চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার। ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি জনসচেতনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি বলেই আগের মতো অভিনয়ে সময় দিতে পারব না। তাই বলে অভিনয় থেকে বিদায় নিচ্ছি- এটা ভাবলেও ভুল হবে।’

চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা যে আগের মতো নেই বলে মনে করেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে আমি যখন অভিনয় শুরু করি, তখনো প্রতি ঈদে ১০ থেকে ১২টি সিনেমা মুক্তি পেত। এর পর কমতে কমতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত থেকে আটটি। আর এখন তো দুই থেকে তিনটির বেশি সিনেমা মুক্তি ছবি দিতেই অনেকের ঘাম ঝরে। এত গেল সিনেমার কথা। শিল্পীদের মধ্যে আগের আন্তরিকতা চোখে পড়ে না। সবাই সবার দোষ খোঁজে। কে কী করল, না করল তা নিয়েই দিনভর আলোচনা-সমালোচনা চলে। অথচ কেউ এটা বুঝতে চায় না, একে অন্যের দোষ খোঁজার কোনো মানে নেই। বরং নিজের কাজের ভুলত্রুটি খুঁজে তা শুধরে নিলেই ভালো কিছু হবে। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতির জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে যেতে হবে।’

নিপুণ ইতিমধ্যে দুবার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন। ২০০৬ সালে তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। উচ্চমাধ্যমিকের পর তিনি ১৯৯৯ সালে রাশিয়া চলে যান। মস্কোতে নিপুণ ২০০৪ পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সাজঘর ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তারপর ২০০৯-এ চাঁদের মতো বউ সিনেমায় অভিনয় করে আরেকবার পেয়েছেন এ পুরস্কার। নিপুণের প্রথম অভিনীত ছবির নাম রত্নগর্ভা মা, যা আজও মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত পিতার আসন প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো শাহিন কবির টুটুলের এইতো ভালোবাসা, রকিবুল আল রাকিবের জান তুমি প্রাণ তুমি, অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের পরিচালনায় অন্তর্ধান। এ ছাড়া বর্তমানে শুটিং চলতি আছে অনন্য মামুনের পরিচালনায় কাছে এসে ভালোবাসো, মানিক মানবিকের পরিচালনায় শোভনের স্বাধীনতা তন্ময় তানসেনের পরিচালনায় পদ্মপাতার জল, মোহাম্মদ হোসেনের নতুন একটি ছবিসহ রফিক শিকদারের পরিচালনায় পদ্মাপাড়ের পার্বতী ছবিটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads