• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

‘ওভারটাইম’ ওয়েব সিরিজে সুইটি

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

তানভীন সুইটি বাংলাদেশের টিভি নাটক এবং মডেলিংয়ের অন্যতম একজন শিল্পী। প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন ছোটপর্দার আলোচিত এই অভিনেত্রী। ওয়েব সিরিজটির নাম ‘ওভারটাইম’। এতে কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন সুইটি। ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন সামীর। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং চলছে।

ওয়েব সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে সুইটি বলেন, ‘এই সিরিজটির গল্প এবং আমার চরিত্র দুটিই বেশ আকর্ষণীয় হওয়ায় কাজ করছি। গল্পটি করপোরেট অফিসের ভেতরকার কিছু বিষয় নিয়েই। আশা করছি এটি উপভোগ্য হবে।’

একসময় টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন দেখা যায় না সুইটিকে। বছরে হাতে গোনা কিছু কাজ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই অভিনেত্রী জাহিদ হাসানের পরিচালনায় ‘পিছুটান’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। ওই নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে বিটিভিতে। এ নাটকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

অভিনয় নিয়ে সুইটি বলেন, ‘আমি এখন আগের মতো অভিনয় করি না। ক্যারিয়ারে এই সময়ে আমাকে অনেক কাজ করতে হবে এমনটাও ভাবি না। এক সময় তো টিভি নাটকে প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম। মাসের প্রায় ৩০ দিনই শুটিং করতে হতো। এখন নতুনদের সময়। আমাদের সিনিয়ররা যেমন আমাদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন আমরাও তেমনই নতুনদের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছি। তাই টিভি নাটকে খুব কম কাজ করছি। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলেই এখন অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি পাঁচ বছর পর টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ফিরছেন সুইটি। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে রিয়েলিটি শোয়ের উপস্থাপনা করছেন এ অভিনেত্রী। এছাড়া বিজ্ঞাপনেও কাজ করছেন তিনি।

মঞ্চের একজন দাপুটে অভিনেত্রী হিসেবে তানভীন সুইটির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তার মঞ্চের সাফল্যগাথা খুব কম করেই আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় এসেছে বারবার টিভি নাটকে তার অভিনয় কিংবা বিজ্ঞাপনে তার অনবদ্য উপস্থিতি। অথচ মঞ্চই তাকে আজকের সুইটিতে পরিণত করেছে।

তানভীন সুইটি বলেন, ‘আমার আজকের এই অবস্থানে আসার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার বাবা, মা আর আমার স্বামী রিপনের। তারপর আমার শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে ২১ বছর পার হয়েছে। এই ২১টি বছর তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে ছিলেন বলেই আমি আগেও যেমন অনায়াসে কাজ করতে পেরেছি, এখনো করতে পারছি। বিশেষত রিপনের কথা উল্লেখ করতেই হয়। যে সময়ে আমি মঞ্চনাটকে তুমুল ব্যস্ত ছিলাম সেই সময় রিপন আমার পাশে থেকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার এই অবদান আমি কোনোদিনই ভুলব না।’

গুণী এই শিল্পীর মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেই বছর তিনি নাট্যদল ‘থিয়েটারের’ হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন সৈয়দ শামসুল হকের গল্পে এবং আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে। এরপর সুইটি একে একে সেই সময়ের দর্শকপ্রিয় মঞ্চনাটক ‘স্পর্ধা’, ‘ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’সহ আরো বেশকিছু মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।

অভিনয় জীবনের প্রিয় স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে সুইটি জানান, ‘অভিনয় জীবনে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। তাই যেকোনো একটা বলা অসম্ভব। সহকর্মীদের সঙ্গে বিদেশ ঘোরার স্মৃতি তো সবসময় মনে পড়ে। বহুদিন আগের ঘটনা। আমি সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সেখানে লুঙ্গি পরা এক বাংলাদেশিকে দেখতে পাই। তখন আমার কী হয়েছিল জানি না। আমি বাঙালি ভাই বলে চিৎকার করে উঠলাম। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।’

একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর কী কী গুণ থাকা জরুরি এমন প্রশ্নের জবাবে সুইটি বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর উচ্চারণ ঠিক হতে হবে। এছাড়া সময়জ্ঞান, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং জ্যেষ্ঠদের সম্মান করার মতো কিছু গুণ থাকতে হবে। ডেডিকেশন এবং সম্মান যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads