• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

মাহমুদুন্নবী স্মরণে গাইবেন ফাহমিদা-সামিনা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০২০

অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের শিল্পী মাহমুদুন্নবী। আধুনিক বাংলা গানের নক্ষত্র বলা হয় তাকে। তার গাওয়া তুমি যে আমার কবিতা, তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে, ও গো মোর মধুমিতা, সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম, আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে এবং গানের খাতায় স্বরলিপি লিখের মতো অসংখ্য গান আজও মানুষের মুখে মুখে।

গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুদিন আজ। তারই প্রেক্ষিতে এদিন মাহমুদুন্নবীর গাওয়া গান গাইতে একসঙ্গে একই মঞ্চে আসছেন তার দুই মেয়ে ও জনপ্রিয় শিল্পী ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী।

মূলত এই দুই শিল্পীকে দেখা যাবে চ্যানেল আইয়ের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘প্রিয় যত গান’র একটি বিশেষ পর্বে। আজ বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানে বাবার প্রিয় যত গান পরিবেশনের পাশাপাশি স্মৃতিচারণও করতে দেখা যাবে মাহমুদুন্নবীর দুই কন্যাকে। এমনটাই জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের পরিচালক অনন্যা রুমা। জানানো হয়, প্রিয় যত গানের বিশেষ পর্বটির উপস্থাপনা করবেন সাফি আহমেদ। অনুষ্ঠানের নির্বাহী প্রযোজক ইজাজ খান স্বপন।

মাহমুদুন্নবী বাংলা সংগীত জগতে কিংবদন্তি শিল্পী। অনুকরণীয় কণ্ঠশৈলীতে চমৎকার সব গান গেয়ে ষাটের দশকে আধুনিক বাংলা গানে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। তার গানের আবেদন এ যুগেও অমলিন।

মাহমুদুন্নবীর জন্ম ১৯৪০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বর্ধমানের কেতু গ্রামে। দেশবিভাগের পর সপরিবারে তারা তদানিন্তন পূর্ব বাংলায় চলে আসেন এবং খুলনায় স্থায়ী হন। তবে বাবার কর্মক্ষেত্র ফরিদপুরেই কেটেছে মাহমুদুন্নবীর শৈশব ও কৈশোর। ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ অসমাপ্ত রেখেই তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। প্রথমে কিছুকাল চট্টগ্রামে, পরে ঢাকায় চলে যান। তার চেতনা আর শিল্পী সত্তা চালিত হয়েছিল সুরের টানে। ঢাকার ইসলামপুরে একজন ওস্তাদের কাছে কিছুকাল গানের তলিম নেন তিনি। এরপর চলে যান করাচি। করাচি বেতার কেন্দ্র থেকেই প্রচারিত হয় তার প্রথম গান ‘পথে যেতে দেখি আমি যারে’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবু হেনা মোস্তফা কামালের লেখা এই গানটির মাধ্যমেই আধুনিক বাংলা গানের ভুবনে উজ্জ্বল অনুপ্রবেশ মাহমুদুন্নবীর। এর অব্যবহিত পরে শিল্পীর আটটি গান নিয়ে আধুনিক গানের একটি লং প্লে রেকর্ড প্রকাশিত হয়। ষাটের দশকের শুরুতে মাহমুদুন্নবী ঢাকায় স্থায়ী হন। এ সময় থেকে ঢাকা বেতারের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। শিল্পের প্রতি যেমন, তেমনি সমাজের প্রতিও দায়বদ্ধ ছিলেন শিল্পী মাহমুদুন্নবী। ষাটের দশকে পূর্ব বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সাথে ছিল তার সম্পৃক্ততা। এ সময় তার গাওয়া গণজাগরণমূলক বেশ কিছু গান মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করে। বাংলা ছায়াছবির অনেক জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ‘সালাম পৃথিবী’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘আয়নাতে ওই মুখ’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘ও মেয়ের নাম দেব কী’, ‘আমি ছন্দহারা এক নদীর মতো ছুটে যাই’-এমনই অনেক কালজয়ী গানের শিল্পী মাহমুদুন্নবী। বাংলা গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী এবং ফাহমিদা নবী শিল্পীর সুযোগ্য দুই কন্যা। ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর মাহমুদুন্নবী প্রয়াত হন। শুদ্ধ সংগীতের চর্চা ও বিকাশে আধুনিক বাংলা গানে তিনি একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads