বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ৫জি বিপ্লব। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে কয়েকটি দেশে। ৪জির পর ৫জি সেবা চালু করতে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম প্রজন্মের এ নেটওয়ার্ক সেবা চালু করতে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা দেবে জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)।
গত সোমবার স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আয়োজক জিএসএমএ’র সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়। জিএসএমএ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ দলে নেতৃত্ব দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বৈঠকে ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
বৈঠকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২১ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে দেশে ৫জি চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া তিনি শুরু করতে চান। এর জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি, কৌশলগত পরিকল্পনায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজনের বিষয়ে জোর দেন তিনি। ৫জির জন্য ইকোসিস্টেম তৈরিতে মোবাইল যোগাযোগ ও প্রকৌশল খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে দেশে স্বাগত জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশে ৫জি চালুর বিষয়ে এবারের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মন্ত্রীর এমন আগ্রহের প্রেক্ষিতে জিএসএমএ’র প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে ৫জি চালুর বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দেবেন বলে জানান।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির কর্মকর্তারাও ছিলেন। বৈঠকে অন্যান্য আলোচনার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের রেগুলেটরি, লাইসেন্সিং ফ্রেমওয়ার্ক ও বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন পলিসি।