• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
উইম্বলডনের রাজত্বে ফিরলেন জোকোভিচ

নোভাক জোকোভিচ

ছবি : ইন্টারনেট

টেনিস

উইম্বলডনের রাজত্বে ফিরলেন জোকোভিচ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

সাবেক যুগোস্লাভিয়ার এক অংশে এখন হূদয় ভেঙে যাওয়ার কষ্ট, অন্য অংশে চলছে আনন্দ উৎসব। লন্ডনের মাটিতে চতুর্থবারের মতো উইম্বলডন ট্রফি জিতে সার্বিয়ায় খুশির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। ঠিক ২৫০০ কিমি দূরে রাশিয়ার মস্কোতে ফ্রান্সের কাছে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি জেতার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার বেদনায় পেয়ে বসেছে ক্রোয়েশিয়াকে। সান্ত্বনা শুধু ফুটবল মহাযজ্ঞের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক লুকা মডরিচের গোল্ডেন বল প্রাপ্তি। জোকোভিচ ৬-২, ৬-২ ও ৭-৬ (৭-৩) গেমে ধরাশায়ী করেন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রতিপক্ষ কেভিন অ্যান্ডারসনকে। ২০১৬ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পর এই প্রথম কোনো মেজর ট্রফি জিতলেন ১২তম বাছাই এই সার্বিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে তার মেজর ট্রফির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ১৩। তাই মহাখুশি জোকোভিচ কোচিং টিম ও স্ত্রী জেলেনার সামনে বুনো উদযাপনে মেতে ওঠেন। সঙ্গে হাস্যকর অবাক করা এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উচ্ছ্বাসে ভেসে বেড়িয়ে সেন্টার কোর্টের ঘাস চিবিয়ে খান জোকোভিচ!

চোটের ধকল কাটিয়ে উঠতে গিয়ে ফর্মটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন জোকোভিচ। কম তো নয়, ডান কনুইয়ে অস্ত্রোপচারের কারণে ১৮ মাস ভুগতে হয়েছে তাকে। যে কারণে অনেকে জোকোভিচের বর্ণিল টেনিস ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। র্যাঙ্কিংয়ে ২০-এর নিচে পর্যন্ত নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দুঃস্বপ্ন ঝেড়ে ফেলে দুই বছরের অধিক সময়ের বিরতির পর অবশেষে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের দেখা পেলেন সাবেক এই নাম্বার ওয়ান। গত বছর ইস্টবোর্নে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম শিরোপা জিতলেন ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের উইম্বলডন জয়ী। সুবাদে পুরুষদের এককে সর্বকালের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার রয় এমারসনকে টপকে এককভাবে চতুর্থ স্থানে জোকোভিচ। সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পিট সাম্প্রাস (১৪), স্পেনের রাফায়েল নাদাল (১৭) ও সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরারের (২০) আরো একটু কাছে পৌঁছে গেলেন।

দীর্ঘ তিন বছর পর বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাকর গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসর উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের রাজ্যত্ব ফিরে পেয়েছেন ৩১ বছরের টেনিস মেগাস্টার জোকোভিচ। সুবাদে ১১ ধাপ এগিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে ফিরলেন তিনি। অথচ নিজের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে সন্দিহান ছিলেন খোদ জোকোভিচই, ‘সন্দেহের অনেক মুহূর্তের মধ্য দিয়ে গেছি। হতাশ হয়ে পড়েছি। আমি জানতাম না টেনিসের এ লেভেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব কি না। তবে এসবই পুরো রোমাঞ্চকর অভিযাত্রাকে স্পেশাল করেছে আমার জন্য। এমন ধরনের মিশ্র আবেগ আর মানসিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি একজন মানুষ। আমাদের সবাইকে এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। ক্যারিয়ারে ফর্মে ফেরার এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হয় না। উইম্বলডন হলো বিশ্ব টেনিসের তীর্থকেন্দ্র। অর্জনটা খুবই স্পেশাল।’

এই প্রথম ছেলে স্টিফানের চোখের সামনেই শিরোপা জিতলেন জোকোভিচ। তা আবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি। স্টেডিয়ামে থাকলেও কোর্টসাইডে প্লেয়ার বক্সে ছিল না সে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের নিয়ম পাঁচ বছরের নিচের কেউ কোর্টসাইডের গ্যালারিতে থাকতে পারবে না। কিন্তু তারপরও দূর থেকে বাবার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করেছে তিন বছরের স্টিফান। বিজয়ী জোকোভিচের আবেগময়ী বক্তব্যে তা উঠেও এসেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মা জেলেনার কোলে বসেই উপভোগ করেছে তনয় স্টিফান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads