• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে প্রথমবারের মতো ‘গ্রিন শিপ’ এনেছে পিএইচপি

বাংলাদেশে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এসেছে গ্রিন শিপ এনেছে পিএইচপি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

বাণিজ্য

দেশে প্রথমবারের মতো ‘গ্রিন শিপ’ এনেছে পিএইচপি

  • শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
  • প্রকাশিত ০২ আগস্ট ২০১৮

বাংলাদেশে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এসেছে গ্রিন শিপ। দুই লাখ তেত্রিশ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘ওরি ভিটোরিয়া’ নামের এই বিশেষায়িত জাহাজটি এনেছে দেশের একমাত্র গ্রিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ড। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাহাজটি ইয়ার্ডে ভেড়ানো হয়।

পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বাংলাদেশের খবরকে বলেন, হংকং কনভেনশনের সব শর্ত পূরণ করেই আমরা গ্রিন ইয়ার্ড হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের জাহাজভাঙা শিল্পে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। ‘ওরি ভিটোরিয়া’র আগমনের মধ্য দিয়ে এখানে বিশেষায়িত জাহাজ আসা শুরু হয়েছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৮০ সালে বঙ্গোপসাগর উপকূলে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের ব্যবসা শুরু হয়। বিদেশ থেকে পুরনো জাহাজ আমদানি করে এনে এখানে কেটে তৈরি করা হয় লোহার রড ও পাত। বর্তমানে প্রায় ১০০টি শিপইয়ার্ড থাকলেও এখন পর্যন্ত গ্রিন শিপইয়ার্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ড’। প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হংকং কনভেনশনের সব শর্ত পূরণ করে এ ইয়ার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত এ শিপইয়ার্ডটি ইতোমধ্যে ‘নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশে’ জাহাজ কাটার জন্য ইতালির আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির (রিনা) দেওয়া গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশের কোনো শিপইয়ার্ডে আসা প্রথম গ্রিন শিপ ‘ওরি ভিটোরিয়া’ তৈরি হয়েছে ১৯৮৯ সালে জাপানের নিপ্পন কোকান শিপইয়ার্ডে। ব্রাজিলের আকরিক লোহা বহনের কাজে জাহাজটি ব্যবহূত হতো। জাহাজটি ক্রয়মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জাহাজটি শিপইয়ার্ডে ভেড়ানোর সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মকবুল হোসেন, পিএইচপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন, পরিচালক মো. মহসিন, পিএইচপি শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, পিএইচপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘গ্রিন শিপ’ হিসেবে পরিচিত বিশেষায়িত জাহাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পরিবেশ সুরক্ষা ও জাহাজ কাটার কাজে যুক্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। সাধারণত যেসব জাহাজ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিপইয়ার্ডে কাটার জন্য আনা হয় সেগুলোতে থাকা বর্জ্য সম্পর্কে আগাম কোনো তথ্য দেওয়া হয় না। যে কারণে অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী গ্রিন শিপ জাহাজ মালিকরা এ ধরনের জাহাজ বিক্রির পূর্বে জাহাজের কোন অংশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বর্জ্য রয়েছে, সে ব্যাপারে ক্রেতাদের আগাম তথ্য দিয়ে থাকেন। সাধারণ শিপইয়ার্ডের কাছে এসব বিক্রি করা হয় না। একমাত্র গ্রিন শিপইয়ার্ডের কাছে মালিকরা এসব জাহাজ বিক্রি করে থাকেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads