• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
টেকসই উন্নয়নে বিইউবিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

টেকসই উন্নয়নে বিইউবিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

টেকসই উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার পথ-নির্দেশ ঠিক করতে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুদিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নে কাজ করা বিভিন্ন দেশের তাত্ত্বিকদের সঙ্গে দেশীয় অংশীজনদের নিয়ে গতকাল সোমবার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তরুণদের গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি এমনভাবে এগোচ্ছে, আমরা আজকে যা করছি, তা আগামী দিন অকেজো বা অতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে। মানুষের শ্রমবাজার দখলে নিচ্ছে প্রযুক্তি। সে কারণে প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের শ্রমের অভিযোজনের দিকে নজর দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে তিন হাজার থেকে একশোতে নামিয়ে আসার উদাহরণ দিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, মানুষের বদলি মানুষ হতে পারে না। সেজন্য মানুষকে পুনরায় প্রশিক্ষিত করতে হবে, নতুন কর্মপরিবেশকে গ্রহণ করার জন্য।

 বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে সেগুলো মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উপায় বের করার পরামর্শ আসে নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের জ্যেষ্ঠ ফেলো অধ্যাপক পার্থ এস ঘোষের কাছ থেকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ধনীর সঙ্গে দরিদ্রের সম্পদের ব্যবধান ব্যাপক মাত্রায় বাড়ছে, বিভিন্ন রকম প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ। তার সঙ্গে যুক্ত আছে জলবায়ু পরিবর্তন। এই তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঠিক করা জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ইউনিভার্সিটির গর্ডন ইনস্টিটিউটের ‘বিশ্বায়ন ও অর্থনীতি’ বিষয়ের শিক্ষক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘আমরা আজকে যা অর্জন করছি, তা আগামীকাল হারিয়ে যাবে। প্রযুক্তির এই এগিয়ে যাওয়ার পথে সমানতালে চলার যোগ্য হতে হবে প্রত্যেকটি দেশকে।

বিনিয়োগ ধারণায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যারা এগিয়েছে তারা অন্যদের বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করেনি। নিজেদের সম্পদের ওপর নিজেদের কৌশল ও প্রকৌশল কাজে লাগিয়েছে।

বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা জটিল রূপে এগোচ্ছে মন্তব্য করে পার্থ ঘোষ বলেন, এক দেশে পণ্যের একটি অংশ উৎপাদন হচ্ছে, আরেক দেশে উৎপাদন হচ্ছে অন্যটি। আবার অন্য কোনো দেশে সেটা সংযোজন হচ্ছে। এই ব্যবস্থার কোন পর্যায়ে আমি ভালো করতে পারি, সেটা নির্ধারণ করতে হবে এবং সেটির আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিইউবিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নত হচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মতো এসডিজি অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নিচ্ছে।’

দারিদ্র্য নিরসন, প্রাথমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবু সালেহের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিইউবিটি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক সান্তি এন ঘোষ।

‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট থ্রু ক্রস-বর্ডার কো-অপারেশন’ শীর্ষক সম্মেলনের দুই দিনে ব্যবসায়, অর্থনীতি ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর সাতটি টেকনিক্যাল সেশন হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads