• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে চায় আমাজন

ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য

বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে চায় আমাজন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এজন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে নীতিগত সহায়তা চায় প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে একথা জানায় আমাজনের প্রতিনিধিদল।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে আমাজনের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দ্বীপ সাগর, মার্চেন্ট সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের একটি প্রতিনিধিদল।

টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি করতে আগ্রহী আমাজন। তাদের গ্লোবাল প্ল্যাটফরম থেকে এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে পণ্য নিতে হলে বিদেশি ক্রেতাকে কিছুটা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। সেগুলো দূর করতে সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চেয়েছি আমরা।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাজনের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি না হলেও তাদের মুখপাত্র হিসেবে মাহফুজ বলেন, জটিলতা বলতে কাস্টমসের নীতি, ব্যাংকিং জটিলতা, স্থানীয়দের মধ্যে আমাজনের মতো মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতার অভাবকে বোঝানো হচ্ছে। এ কারণে, কাঙ্ক্ষিত লোকবল না পাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। আমরা এ বিষয়গুলোতে পরিবর্তন চাই। এতে রপ্তানির বড় একটি বাজার উন্মোচিত হবে।

বৈঠক শেষে পলক বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য বৈদেশিক বাজারে রপ্তানি করে। আমাজন যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, তা সফল হলে বিশ্ববাজারে আমাদের পণ্য রপ্তানি আরো সহজ হবে। এছাড়া অনলাইনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বড় একটি বাজার আমাদের সামনে উন্মোচিত হবে। এ প্ল্যাটফরমটিতে যুক্ত হতে পারলে, ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ করা সম্ভব। বিশেষ করে, ছোট ছোট পণ্য সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কেনাকাটার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে রয়েছে, সেগুলো দূর করতে আমরা কাজ করছি। আমরাও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে আগ্রহী।

আমাজনের নীতিগত সহায়তা প্রস্তাব সম্পর্কে বলেন, তারা আমাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে তাদের ওয়্যারহাউজে নিতে চায়। এর জন্য বারবার এলসি ইস্যু করার চেয়ে তারা একবারেই করতে চাচ্ছে। একই সঙ্গে ডলারে লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন, ব্যক্তি হিসাবে বছরে ১০ হাজার ডলার, ব্যবসায়ী হিসাবে ২০ হাজার ডলার ও এক লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার খরচ করা যায়। এর সীমাও বাড়াতে চায় তারা। সর্বোপরি, স্থানীয়দের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে চায় আমাজান।

তবে আমাজন বাংলাদেশে এখনই কোনো অফিস খুলছে না। তারা এখানেই রিটেইল ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে ইচ্ছুক কি-না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তাদের বলেছি, আমাদের সরকার উদার নীতির। স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সরাসরি আমাজনে পণ্য দিতে পারলে লাভবান হবে, সর্বোপরি দেশ লাভবান হবে। সে বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে ভাবছি। আমরা নিজেরাও বসব, এ বিষয়ে আলোচনা করব। কাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে একটি সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads